যে খবর নাড়া দেয়-পিয়াইন

একটিবারের জন্য হলেও যাদের জাফলং যাওয়া হয়েছে, পিয়াইনকে তাদের মনে থাকবে নিশ্চিত। পিয়াইনের বুকে বইছে সবুজাভ শীতল জল। দূর দিগন্তে হেলান দিয়ে আছে সবুজ পাহাড়ের সারি। সব মিলিয়ে অপূর্ব। একবার নৌকাযোগে পিয়াইন বিহারে নামলে উঠে আসতে ইচ্ছে হয় না।


সিলেটের গোয়াইনঘাটের সীমান্ত নদ পিয়াইনের ছবিটি পত্রিকার পাতায় নজর কাড়ল। পিয়াইন বরাবরের মতোই মুগ্ধ করল, সেই সঙ্গে দুঃখিতও করল খুব।
মনোহর পিয়াইন এখন হয়ে উঠতে যাচ্ছে খাসিয়াদের দুঃখের আরেক নাম। ভেঙে পড়ার দশায় পিয়াইন নদের বাঁধ। হুমকির মুখে পড়ে গেছে পিয়াইন তীরের আদিবাসী পল্লি।
পিয়াইন রূপে-গুণে অতুলনীয় হতে পারে, কিন্তু জাফলংয়ের একটা বড় আকর্ষণ তো এই খাসিয়াপল্লিই।
তবে দোষটা পিয়াইনের নয়, মানুষের। আরও একটু খোলাসা করে বললে, কতিপয় লোভী মানুষ, যারা পিয়াইনের বুকে নিষিদ্ধ ‘বোমা মেশিন’ দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে পাথর উত্তোলনের কাজ। খাসিয়াপল্লির সাহসী মানুষেরা বাস্তুভিটা রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন নিজেরাই। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছেন বাঁধ জোড়া দেওয়ার কাজে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্থানীয় বাঙালিরাও। (সূত্র: প্রথম আলো, ৩ জুলাই, ২০১২)
সিলেটের গোয়াইনঘাটের সীমান্ত নদ পিয়াইন তার রূপে-গুণে অটুট থাকুক, এটা সবাই চাইবেন। তবে তার চেয়েও বেশি জরুরি নদের তীরের খাসিয়া মানুষজন। খাসিয়া আর বাঙালিরা মিলে শুরুর সাহসটা দেখিয়েছেন। নেমেছেন বাঁধ রক্ষায়। আশা করতে ভালো লাগে তাঁদের এই কাজে স্থানীয় প্রশাসনও শামিল হবে। এতগুলো মানুষ বাস্তুভিটা হারাতে বসেছে। প্রশাসন শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে, সেটা কেমন করে হয়?
—ইকবাল হোসাইন চৌধুরী

No comments

Powered by Blogger.