ঈদের দিন-জয়ার তিন বেলা by রয়া মুনতাসীর

দুই বোনের চোখে ঘুম নেই। রাত পেরোলেই ঈদ। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সেলাই মেশিনে কাজ করে যাচ্ছেন মা। দুই মেয়ের জন্য জামা সেলাই করছেন। অপেক্ষা, কার জামাটা আগে হবে। এভাবেই রাত কেটে যেত। নিজের ঈদের স্মৃতি সম্পর্কে জানা গেল অভিনয়শিল্পী জয়া আহসানের কাছ থেকে।


তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় মাঝেমধ্যে মা আমাদের দুই বোনকে একই রকম পোশাক বানিয়ে দিতেন। যখন বানিয়ে দিতেন, তখন আমরা দুই বোনই খুব খুশি হতাম। মারটাই শ্রেষ্ঠ মনে হতো। এখনো ঈদের পোশাক কেনার সময় এ স্মৃতিটি মনে পড়ে।’
ঈদের দিনে সকালবেলায়ই তৈরি হয়ে নেন জয়া আহসান। নামাজ শেষ হওয়ার পরই অতিথিদের আসা শুরু হয়। সকালের দিকে কাজের সুবিধার্থেই সালোয়ার-কামিজ পরবেন। শিফনের কাপড়ের ওপর কালো ও হলুদ টাই-ডাই করা হয়েছে এমন একটি উজ্জ্বল রঙের কামিজই বেছে নিয়েছেন জয়া আহসান। সঙ্গে কালো ডিভাইডার। সব সময় তিনি ছোট দুটো পেনডেন্ট পরে থাকেন গলায়। কানে খুব ছোট দুল। সকালের দিকে এর বাইরে আর কিছুই পরবেন না তিনি। মেকআপটাও কামিজের সঙ্গে মানানসই হবে বলে তিনি জানান।
জয়ার পছন্দের একটি রং হচ্ছে ওয়াইন। দুপুরের দিকে তিনি এ রঙেরই একটি শাড়ি পরবেন। জয়া আহসান বলেন, ‘ওয়াইন আমার সিগনেচার রং। দোকানে গেলে আশপাশে এ রঙের কিছু থাকলে আমার দৃষ্টি সেদিকে চলে যাবেই। মসলিনের ওপর কাজ করা এ রঙেরই তিন-চারটি শাড়ি আছে আমার। এবারের ঈদেও এ রঙেরই শাড়ি পরব।’ পুরো শাড়িতেই থাকবে কাটওয়ার্কের কাজ। ব্লাউজটির হাতায় কাটওয়ার্ক আর পিঠে করা হয়েছে ফুলেল নকশার কাজ। সোনার গয়না পছন্দ করেন না জয়া। তিনি বলেন, ‘গয়নার বেলায় আমি স্ট্রিং পছন্দ করি। চুরিও পরা হয় না। বরং ব্রেসলেটে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।’ ঈদের দিন দুপুরে শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে রুবি আর গারনেটের তৈরি স্ট্রিং পরবেন গলায়। হাতে থাকবে গারনেট পাথরের ব্রেসলেট। কানে হীরার টপ। চুল খোলাই থাকবে। মেকআপটি হবে দুপুর এবং শাড়ির সঙ্গে মিলিয়েই।
জয়া আহসানের শাড়ির নকশাগুলো একরঙা (সলিড) হয়ে থাকে। তিনি মনে করেন এটিই তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানায়। শাড়িতে খুব বেশি কাজ তিনি কখনোই পছন্দ করেন না। তবে ব্লাউজগুলোয় তিনি ভিন্নধর্মী এবং আকর্ষণীয় কাজ করিয়ে নেন।
রাতের দাওয়াতের জন্য জয়া বেছে নিয়েছেন বিজ রঙের শ্যানটেলি লেইসের তৈরি শাড়িটি। এটি কেনা হয়েছিল কোরিয়া থেকে। পুরো শাড়িতেই লেসের কাজ করানো। কালো ও বিজ রঙের মিশেলেই করা হয়েছে ব্লাউজটি। গলায় পরবেন কালো টোপাজের স্ট্রিং আর কানে থাকবে হীরার টপ। হাতে কালো পুঁতির ব্রেসলেট। আঙুলে সব সময়ের মতোই হীরার আংটি দেখা যাবে। মেকআপের ক্ষেত্রে তিনি বাহুল্য আনেন না। তিনি বলেন, ‘আমি কারেকশন মেকআপে বিশ্বাস করি। চেহারা ছাপিয়ে মেকআপ পছন্দ করি না। ঈদের পোশাকগুলোর সঙ্গে তাই মেকআপও হবে মানানসই।’

No comments

Powered by Blogger.