সময়ের প্রতিবিম্ব-বিচিত্র সংকটের আবর্তে একটি বাড়ি by এবিএম মূসা

বিরোধী দল ‘সর্বাত্মক আন্দোলন’ করবে; হরতালের মাধ্যমে সেই আন্দোলন শুরু করেছেও বলা যায়। আন্দোলনের উদ্দেশ্য আপাতত মনে হয় দুটি। একটি হচ্ছে, সরকারের পতন ঘটাতে হবে, কারণ তারা সরকার পরিচালনায় ব্যর্থ। অপরটির মূলে একটি বাড়ি।


বিরোধীদলীয় নেত্রীকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের সংরক্ষিত এলাকার বাড়িটি ত্যাগ অথবা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ। একটি হরতাল হয়ে গেছে অথবা করানো হয়েছে, আরেকটি হবে। ‘হরতাল’ আন্দোলনের অতি সহজ পন্থা। বিরোধী দল একটি হরতালের ডাক দিয়ে প্রায় দুই বছর পর আমাদের জাতীয় ‘আন্দোলনের’ চিরাচরিত প্রকারটি নতুন করে ঝালাই করে নিচ্ছে।
এই তো গেল ‘সর্বাত্মক আন্দোলন’ নিয়ে একটুখানি বস্তুতান্ত্রিক আলোচনা। এখন নিরাপদ আন্দোলনরূপীয় হরতাল নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করতে হয়। ঈদের ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে ‘হরতাল’ করতে অথবা করাতে বাধ্য হয়েছিল বিরোধী দল। এই হরতাল সাধারণ জনগণের স্বার্থসংবলিত কোনো ক্ষোভের প্রকাশ নয়। তা-ই যদি হতো, তবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর মুনাফাখোরির বিরুদ্ধে ‘আন্দোলনের’ রূপের বহিঃপ্রকাশ অনেক আগেই ঘটত। অতি সাধারণ জ্ঞানেও বোঝা যায়, জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট নয়, নিতান্ত দেশনেত্রীর বাসচ্যুতির কারণেই তাঁর দল ও কর্মীরা আবেগজড়িত হরতালনামীয় আন্দোলনের সূচনা করেছে। টেলিভিশনে দেশনেত্রীর কান্না দেখে অনেকেই অবশ্যই বিচলিত হয়েছেন। আমি আশা করেছিলাম, গুলশানের বাড়িতে এসে তিনি চোখের পানি নয়, রক্তিম চোখে আগুন ঝরাবেন। টেবিল থাবড়িয়ে বলবেন, ‘আমাকে বাড়িছাড়া করেছে, দেখে নেব।’ আমার নিজের কাছে দেশনেত্রীর কান্নাকাটির এই অরাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াটি অদ্ভুত ও না-পছন্দ মনে হয়েছে। বরং ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার কষ্টে যাঁরা কেঁদেছেন, তাঁদের কান্না বাড়ি ত্যাগের কান্নার চেয়ে মর্মান্তিক মনে হয়েছে।
যা-ই হোক, বাড়ি নিয়ে নেত্রী কাঁদলেন, নেতা-কর্মীরা হরতালভিত্তিক আন্দোলন করলেন। আমি ভাবছি, নেত্রীর বাড়িছাড়া দুঃখে বিচলিত নেতা-কর্মীরা কি গত দুই বছরে জনগণের বিদ্যুতের জন্য ভোগান্তি, পানির জন্য হাহাকার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে অতিকষ্টে দিনযাপনের আর প্রাণধারণের গ্লানি টের পাননি? পাড়ায় পাড়ায় মহিলা-পুরুষ খালি কলসি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। গ্রামে আর শহরে বিদ্যুতের অফিস হাজারো মানুষ ঘেরাও করছিল। বাজার থেকে খালি থলেটি নিয়ে এখনো বিত্তহীন, নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্ত বিমর্ষ বদনে ক্ষমতাসীনদের শাপান্ত করে বাড়ি ফিরছেন। তখনই তো ছিল সর্বাত্মক আন্দোলনের মুখ্য সময়। রাজনৈতিক কৌশল অনুসরণে তখনই তো ‘সর্বাত্মক’ না হোক, স্বল্পার্থক আন্দোলনের হরতালটি দিতে পারতেন। তখনকার নিষ্ক্রিয়তা যে বর্তমানের ‘হরতালকে’ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে!
এবার বাড়ি প্রসঙ্গে কতিপয় দুর্বোধ্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখি। প্রথমে সরকারের কাছে প্রশ্ন অনেকগুলো, কিছু সংগতিপূর্ণ, কিছু সংগতিবিহীন। এক. বেগম জিয়াকে দীর্ঘদিনের বাসস্থানটি ছেড়ে দিতে অথবা বাড়িছাড়া করার জন্য সরকার অস্বাভাবিক আচম্বিতে তাড়াহুড়া করল, এমনটি মনে হয় না কি? দুই. বাড়ি উচ্ছেদ হলো উচ্চতম আদালতের নির্দেশে। সেই নির্দেশটি ছিল সরকারের সংশ্লিষ্ট নির্বাহী বিভাগের প্রতি। সাধারণভাবে উচ্ছেদকারী বলতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট বাড়িটির ক্ষেত্রে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডকে বোঝায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনকারী বাহিনী, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে অথবা নির্দেশনায় আদালতের রায় কার্যকর করা হয়ে থাকে। সাধারণ আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের বিচারিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে এমন প্রক্রিয়ার সঙ্গেই আমরা পরিচিত। ক্যান্টনমেন্টের বাড়ির ক্ষেত্রে মনে হয়, ‘ইনডিসেন্ট হেস্ট’ তথা বিসদৃশ তড়িঘড়ি ব্যবস্থার আভাস পাওয়া গেছে। অবশ্য আইনের বিধান বা আদালতের নির্দেশ পালনে এমন অতিব্যস্ততা ও অত্যুৎসাহের নজির তো আমরা বিএনপি আমলে একুশের যন্ত্রপাতি জব্দের আলামতও দেখেছি। এক-এগারোর সর্বত্র ত্রাস সৃষ্টিকারী গড়পড়তা উচ্ছেদ কার্যক্রমের উল্লেখ করলাম না। ক্যান্টনমেন্টে গৃহীত ব্যবস্থা কি সেসবের সঙ্গে তুলনা করব?
রায় কার্যকরের পদ্ধতি নিয়ে আমার মতো সাধারণ ব্যক্তির প্রশ্নোত্থাপন বেমানান। আসল প্রশ্নটি হলো, ন্যায়-অন্যায় যেভাবেই হোক, মইনুল রোডের বাড়ি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বের হয়ে যাওয়া অথবা ‘বের করে দেওয়ার’ পদ্ধতিতে কেন জানি সেনাবাহিনীকে অহেতুক বিতর্কের মধ্যে টেনে আনা হয়েছিল। আইএসপিআর—ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস, পাকিস্তান আমল থেকে সংবাদপত্রজগৎ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ বলে জানতাম। দেশরক্ষা বাহিনীর যেকোনো বিভাগের কোনো কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা দিলে, তারা জড়িত থাকলে, তাদের বক্তব্য প্রচারের প্রয়োজনেই আইএসপিআরের একটি ভূমিকা থাকে। সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে, অথবা তারও আগে এমন পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিতি ঘটেছে। সেনানিবাসে অবস্থিত বাড়ি খালি করার আদেশ দিলেন আদালত, বাস্তবায়ন করল ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অথবা হুকুম তামিল করলেন বেগম জিয়া, খবরদারি করার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন বিশেষ বাহিনীর। এর মধ্যে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রদান, প্রথম দিন গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষেধ, পরের দিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের অকুস্থল পরিদর্শন করানো—এসবের ভিন্ন মাত্রার মাজেজা সাংবাদিকেরা বোঝেন বৈকি। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণারও সৃষ্টি হতে পারে, সরকারি ও বিরোধী দল উভয়ের রাজনৈতিক বা আইনি বিবাদের মধ্যে আন্তঃবাহিনীর অহেতুক নাক গলানো কেন? এ নিয়ে অনুজ সাংবাদিক মশিউল আলম প্রথম আলোতে যে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন; কিন্তু আইএসপিআর থেকে তাঁর আলোচনার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে, খালেদা জিয়ার বাড়ি ত্যাগের পর নতুন জটিলতা দেখা দিয়েছে। সেই বাড়িকে ঘিরে অনভিপ্রেতভাবে (ক) জাতীয় রাজনীতি, (খ) সেনাবাহিনী, (গ) পরোক্ষে বিচার বিভাগ তথা প্রধান বিচারালয় আলোচনার কেন্দ্রে এসে গেছে। এ প্রসঙ্গে সরকারি ও বিরোধী দল উভয়ের ভূমিকা, কৌশল ও চিন্তাভাবনা নানা মানদণ্ডে বিচার্য ও আলোচিত হচ্ছে। প্রথমত, বেগম জিয়ার বাড়ি ত্যাগ অথবা বিতাড়নের একটি বিচারিক সূচনা ঘটেছিল। উচ্চতর আদালত তাঁকে বাড়ি ছাড়তে বলেছেন, সংক্ষুুব্ধ পক্ষ উচ্চতম আদালতের দ্বারস্থ হলে তাঁরা ২৯ নভেম্বর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন, এমনটি জানা ছিল। এখন আইনি প্রক্রিয়াটি নিয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটিয়েছে। যাঁরা বাড়ি ছাড়তে বলেছেন তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, উচ্চতম আদালত বলেননি ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় কার্যকরণ স্থগিত থাকবে। আবার দেশের শীর্ষস্থানীয় চারজন আইনজ্ঞ বলছেন, ‘উচ্চতম আদালত পুনর্বিবেচনার তারিখ নির্ধারণ করার আইনি ব্যাখ্যা যা-ই হোক, স্থগিতাদেশই স্বাভাবিক বলে ধার্য হয়।’ সরকারপক্ষ অর্থাৎ যাঁরা তড়িৎগতিতে উচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করলেন, তাঁরা বলছেন, ‘আপিল করার সাথে সাথে স্থগিতাদেশ চাওয়া প্রয়োজন ছিল।’ এই না-চাওয়াকে রহস্যজনক বলছে সরকার ও বিরোধী দলের সংশ্লিষ্ট আইনজ্ঞ মহল।
কার বক্তব্য সঠিক, আমার মনে হয়, আপিল শুনানিতে এই বিতর্কেরও একটি সুরাহা হবে। বিরোধী দলের ‘আদালত অবমাননা’ মামলার শুনানি থেকে উপরিউক্ত আইনি জটিলতার অবসান ঘটবে বলে আশা করছি। এমনকি শেষ পর্যন্ত ‘অবমাননার’ খড়্গ কার ঘাড়ে পড়বে, তাও ২৯ নভেম্বর জানা যাবে। যেমন—বিশিষ্ট পাঁচ আইনজীবীর কথা যদি সঠিক হয়, সত্যিই যদি পরবর্তী সময়ে সাক্ষাৎকালে প্রধান বিচারপতি তাঁদের ‘কথা’ দিয়ে থাকেন ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সরকার বাড়ি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে না, তবে সেই ‘কথা দেওয়া’ একটি রায় মনে করা যায় কি? তবে জন্মের পর জ্ঞানোদ্রেক সময় পর্যন্ত জেনে এসেছি, বিচারপতি যেখানে যে অবস্থায় থাকুন, সেই স্থানটিই আদালত। লিখিত বা মৌখিক যা বলবেন, সেটিই রায়। এখন জানতে হবে, প্রধান বিচারপতি এমনটি বলেছিলেন কি না, যদি বলে থাকেন তবে উচ্ছেদকারীরা অথবা ‘স্বেচ্ছায়’ বাড়ি ছাড়তে বেগম জিয়াকে যাঁরা বাধ্য করেছেন, তাঁরা আদালত অবমাননা করেছেন কি না। অথবা যদি ২৯ নভেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের রায় সরকারের পক্ষে অথবা বিপক্ষে যায়, তার প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা এখনই বলা যাবে না। তবে বাড়ি নিয়ে পরবর্তী পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে অথবা সমাধান হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে একটি বাড়ি শুধু রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেনি, আমাদের সর্বোচ্চ আদালতও আলোচনায় এসেছে। অনেক দিন পর আমরা একজন ধীমান, সুবিবেচক ও মেধাসম্পন্ন ও অবিতর্কিত প্রধান বিচারপতি পেয়েছি। আমার দুর্ভাবনা হচ্ছে, একটি বাড়ি নিয়ে ‘রাজনৈতিক বিবাদ’ কি তাঁর স্বচ্ছ ও নিষ্কলুষ ভাবমূর্তি সংকটে ফেলবে?
এবার বিরোধী দলকেও আমার ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলার আছে। বেগম জিয়াকে যেভাবেই হোক, ক্যান্টনমেন্টের বাইরে আনা তাদের জন্য শাপে বর হয়েছে। দেশনেত্রীকে সরকার দেশের মানুষের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। এক-এগারোপরবর্তী পরিস্থিতিতে সেনা-সমর্থিত সরকার বেগম জিয়াকে এই বাড়িটি থেকেই এক কাপড়ে বিনা বাধায় বাইরে এনে বিদেশে পাঠাতে চেষ্টা করেছিল। তখন তো আজকের মতো কোনো প্রতিবাদধ্বনি অথবা ‘চূড়ান্ত আন্দোলনের’ অথবা প্রতিবাদী আওয়াজ শোনা যায়নি। সে সময়ে আকস্মিকভাবে তাঁর সঙ্গে আমার টেলিফোন যোগাযোগ হয়েছিল। তাঁকে বলেছিলাম, আমার এলাকার সাংসদ অথচ আপনি থাকেন সংরক্ষিত এলাকায়, যেখানে আমজনতার প্রবেশ নিষিদ্ধ। আপনি বছরে একবার যাঁদের কাছে ভোট নিতে যান, তাঁদের বিদ্যালয়-মাদ্রাসার এমপিওভুক্তি, মুহুরী-ছিলনিয়ার পুল, পাঠানগড়ের রাস্তা পাকা করা, অমুকের ছেলের চাকরি আর তমুকের বদলির জন্য সাংসদের সুপারিশ প্রয়োজন হয়। অথচ এ জন্য এত দিন সাংসদের ধারেকাছে তাঁরা যেতে পারেননি। তিনি সেদিন আমার বক্তব্যের যৌক্তিকতা স্বীকার করে জনতার কাছাকাছি থাকবেন বলেছিলেন। সরকার ভালো-খারাপ যে পদক্ষেপই নিয়ে থাকুক, সেই পথটিই তো সুগম করে দিল।
উপরিউক্ত বক্তব্যটি বেগম জিয়ার বাড়ি ছাড়ার বা ছাড়তে বাধ্য করার পক্ষে-বিপক্ষের কোনো যুক্তি নয়। বর্তমান সরকারের নানা কার্যকলাপের, ব্যর্থতা বা অসাফল্যের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ এখন অনেকখানি প্রশমিত না হলেও অবদমিত। তা ছাড়া অনেক ভোগান্তি গা-সহা হয়ে গেছে। ফলে বিরোধী দলের ‘সর্বাত্মক আন্দোলনের’ রসদে ঘাটতি পড়েছে। সরকার গত দুই বছর সময়কালে অনেক সংকট কিছুখানি হলেও সামলে উঠেছে। তার পরও দলীয় সন্ত্রাস, দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও দলবাজি তথা বিচারপতি হাবিবুর রহমানের অনন্য শব্দচয়ন বাজিকরির খামতি ঘটেনি। এসবের বিরুদ্ধে আগে প্রতিবাদের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তাই আমার পরামর্শ, সর্বাত্মক আন্দোলনের আগে সংসদে গিয়ে লাফালাফি আর চেঁচামেচি করে প্রাথমিক পর্যায়ে আন্দোলনের একটি শক্ত পটভূমি তৈরি করতে হবে। বাড়ি নিয়ে আইনি লড়াই চলতে থাকুক। ইতিমধ্যে জনগণের দাবি আদায়ের ‘সর্বাত্মক আন্দোলন’ রাজপথে নেওয়ার পথটি সংসদের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে সুগম করতে হবে।
এবিএম মূসা: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

No comments

Powered by Blogger.