পোশাকই, তবে কাপড়ের নয়

বছর শেষে গাদা গাদা ক্যালেন্ডারের জায়গা হয় সেই ময়লার ঝুড়িতেই। বাসায় ব্যবহূত শলার ঝাড়ু যে কখনো পোশাক তৈরির উপকরণ হতে পারে, তা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হবে। একবার ব্যবহার করা যায় এমন গ্লাস ও প্লেট দিয়ে নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয়তো মনে হবে হাস্যকর।


তবে এসবই করে দেখিয়েছেন শান্ত-মারিয়ম ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের একদল শিক্ষার্থী। তাঁদের তৈরি এসব পোশাক নিয়ে ২১ থেকে ২৩ জুন ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে হয়ে গেল এক প্রদর্শনী।
মায়ামী মিথিলির করা সাদার ওপর কালো স্টোনের ব্যবহারে তৈরি পোশাক দেখলে যে কেউ চাইবে সেটি সংগ্রহ করতে। আর অবাক হবে তখন, যখন শুনবে এই সাদা অংশটুকু আসলে চালের বস্তা। ‘প্রতিটি উপাদানের নিচে দেওয়া হয়েছে সুতি কাপড়, যেন পরতে সুবিধা হয়।’ বললেন মিথিলি।
মাজুনি আর গাড়ি মোছার পাখনার ঝাড়ন, সেটারও শৈল্পিক ব্যবহার করেছেন আরেক শিক্ষার্থী জেসমিন আকতার। ‘মাজুনি বেশ শক্ত, তাই নিজে কাজ করে এটাকে নরম করেছি।’
সুব্রত তৈরি করেছেন খড় দিয়ে পোশাক। অভিজিতের করা রংচঙে আর্ট পেপার দিয়ে তৈরি পোশাকটি একবার দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। আর্ট পেপারগুলো একটা নির্দিষ্ট আকারে এনে তারপর পাঞ্চ মেশিন দিয়ে করা হয়েছে ছিদ্র। কল্লোলের করা ব্যাগে ব্যবহূত কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাক এককথায় অসাধারণ। পুরোটা গোলাপি হওয়ায় একটা স্নিগ্ধ সৌন্দর্য এসেছে পোশাকে। কাঠের টুকরা, ভুট্টার খোসা আর গমের ডাঁটা দিয়ে পোশাক বানিয়েছেন সুমাইয়া আর রাহনুমা ইসলামের খাবার টেবিলে ব্যবহারের নানা পণ্য দিয়ে তৈরি পোশাক ছিল নজরকাড়া।
শান্ত-মারিয়ামের শিক্ষক জাভেদ তপন বলেন, ‘ওরা সবাই শান্ত-মারিয়ামের সিটি ক্যাম্পাস লালমাটিয়ার ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এবার ওদের একটা কোর্স ছিল, যার নাম ম্যাটেরিয়াল ড্রেস। তারই একটা অংশ এই কাজগুলো।’

No comments

Powered by Blogger.