বৈশ্বিক মন্দা ও অর্থনীতির কালো ছায়া by ড. জাহাঙ্গীর আলম

একে দীর্ঘ মন্দা অথবা মহামন্দা যা-ই বলা হোক না কেন, বিশ্বের মানুষ এখনো একটা নিদারুণ অর্থনৈতিক সংকট অতিক্রম করছে। ধারণা করা হয়েছিল, ২০০৭ সালে সৃষ্ট মন্দাটির যবনিকা হবে ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে, কিন্তু তা হয়নি। ২০০৯ সালে এর তেজ কিছুটা স্তিমিত হলেও ২০১০-১১ সালে তা আবার ফুঁসে উঠেছে।


এর ক্রোধ এখনো চলমান আছে। ক্রমাগত উচ্চ হারের বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি, ঋণগ্রস্ততা, বিনিয়োগের ক্রমহ্রাস এবং তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে এখন এক ভয়াবহ অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর কালো ছায়া এসে পড়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতির ওপর।
বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা নতুন কোনো ঘটনা নয়। যুগে যুগে মন্দা ও মহামন্দার অভিঘাতে দুর্বিষহ জীবন কাটিয়েছে বিশ্বের মানুষ। একসময় তা কেটে গিয়ে সুবাতাসও প্রবাহিত হয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতির অঙ্গনে। সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে এসেছে মানুষের জীবনে। এরপর বিশ্ববাসীকে আবার মুখোমুখি হতে হয়েছে মন্দাগ্রস্ত অর্থনীতির। এ মন্দা বারবার ফিরে এসেছে। যতটুকু গ্রন্থিত হয়েছে, ১৮৭৩ থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত ছিল তেমনই এক দীর্ঘ মন্দাকাল। এর সূত্রপাত হয়েছিল ইউরোপ ও আমেরিকায়। এর পশ্চাতে ছিল শেয়াবাজারে ধস। ১৯৭৩ সালে প্রথমে ভিয়েনা এবং পরে নিউ ইয়র্ক স্টক মার্কেট বন্ধ হয়ে গেলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। থমকে যায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ। দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের পর উন্নত বিশ্বে শিল্পের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ওই শতাব্দীর মধ্যভাগ নাগাদ মুক্তবাজার-ব্যবস্থার অধীনে দ্রুত বেড়ে যায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। এতে অবদমিত হয় দ্রব্যমূল্য। মুনাফা হ্রাস পায় শিল্পপতিদের। নিয়োগ ও বিনিয়োগ কমে যায়। শুরু হয় বেকারত্ব। এ মন্দাকে অনেকে অভিহিত করেছেন মহামন্দা বলে। এটি ছিল উদার অর্থনীতি ও বিশ্বায়ন প্রতিষ্ঠার প্রথম অভিঘাত। এরপর ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালিসহ ইউরোপীয় অনেক দেশ মুক্তবাণিজ্য ছেড়ে ফিরে যায় প্রতিরক্ষণ প্রক্রিয়ায়। ব্রিটেনে সোচ্চার হয়ে ওঠে 'ফেয়ার ট্রেড' এবং শুল্ক সংস্কারের দাবি। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে বৈশ্বিক অর্থনীতি।
বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় বৃহৎ এক মন্দা অনুভূত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে, ১৯২৯ সালে। এটি চলতে থাকে ১৯৩০ সাল, এমনকি চলি্লশের দশক পর্যন্ত। রাষ্ট্র ও অঞ্চলভেদে পার্থক্য ঘটেছে এ মন্দার গভীরতা ও সময়কালের। এর সূত্রপাত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। এর পেছনেও ছিল শেয়ারবাজার ধস। অতি দ্রুত এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হ্রাস পায় প্রায় ৫০ শতাংশ। শিল্পের উৎপাদন কমে যায় অনেক দেশে। মানুষের ব্যক্তিগত আয়, সরকারের কর আয়, দ্রব্যমূল্য ও মুনাফা- সবই মারাত্মক হ্রাস পায়। মার্কিন যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ২৫ শতাংশে। অন্যান্য দেশে তা বেড়ে যায় ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত। শস্যের মূল্য প্রায় ৬০ ভাগ কমে যাওয়ায় দারুণ এক আর্থিক সংকটে নিপতিত হন কৃষকরা। হ্রাস পায় জাতীয় আয়। এ সংকট উত্তরণের জন্য কেইনস রাষ্ট্রীয়ভাবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুপারিশ করেন। তিনি বেকারত্ব দূরীকরণে বিস্তৃত করতে বলেন সরকারি কর্মসূচি। এর পর থেকে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় শুরু হয় সরকারি বা রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ।
বিশ্বের অর্থনীতি আরেক মন্দার সম্মুখীন হয় সত্তরের দশকে। ১৯৭২-৭৩ এবং ১৯৭৯-৮০ সালে দুইবার তেল সংকটের ফলে তেলের আন্তর্জাতিক মূল্য বেড়ে যায়। এ দশকের প্রথম দিকে প্রাকৃতিক তথা আবহাওয়ার বৈপরীত্যের কারণে মার খায় কৃষির উৎপাদন। বেড়ে যায় দ্রব্যমূল্য। দেশে দেশে ঋণগ্রস্ততা বেড়ে যায়। বিশ্বব্যাপী সমস্যা দেখা দেয় অর্থায়নে। ফলে বিনিয়োগ কমে যায়। হ্রাস পায় জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি। এ অর্থনৈতিক বন্ধ্যত্ব ও মূল্যস্ফীতিকে একসঙ্গে আখ্যায়িত করা হয় 'স্টেগফ্লেশন' হিসেবে। অনুরূপ স্থবিরতা থেকে ক্রমেই মতামত সোচ্চার হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে। অর্থনৈতিক উদারীকরণের ঢেউ বয়ে যায় সমগ্র বিশ্বে। মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা ক্রমেই জোরালো হয়ে ওঠে। দেশে দেশে সুচিত হয় বাজারকেন্দ্রিক বা মুক্তবাজারভিত্তিক সংস্কার।
বর্তমান শতকে প্রবেশ করে বিশ্বের সামরিক ও অর্থনৈতিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র দুটি সমস্যার মুখোমুখি হয়। প্রথমত, দেশটির কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট বৃদ্ধি পেতে থাকে। দ্বিতীয়ত, ফেডারেল বাজেট ঘাটতিও বৃদ্ধি পায়। তাতে দেশটির আর্থিক সংকট ঘনীভূত হয়। তার ওপর আবাসন শিল্পের অতি মূল্যায়ন দেশটির আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লিকুইডিটি সংকটে ফেলে। শেয়ারবাজার হয় বিধ্বস্ত।
তাতে শেয়ার ও সম্পদের মূল্য কমে যায়। অনেক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক ব্যাংক বিপুল লোকসানের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান হয়ে পড়ে দেউলিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন শিল্পের বন্ধকিভিত্তিক সিকিউরিটিজগুলো ওয়াল স্ট্রিটের মাধ্যমে বাজারজাত করা হয়েছিল সারা বিশ্বে। এতে সাব-প্রাইম ঋণের লোকসান থেকে ২০০৭ সালের মধ্যভাগে সৃষ্ট মার্কিন মন্দা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ায়। এর সঙ্গে এসে যুক্ত হয় কৃষির উৎপাদন হ্রাস ও তেলের মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাত।
২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি কৃষিপণ্য রপ্তানিকারী দেশে খরার কারণে গমের উৎপাদন বিঘ্নিত হয়। ২০০৭ সালে এর উৎপাদন হ্রাস পায় ৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে হ্রাস পায় চালের উৎপাদন। এতে বৃদ্ধি পায় খাদ্যশস্যের দাম। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত গমের মূল্য ২১৭ শতাংশ, চালের মূল্য ১৩৬ শতাংশ, ভুট্টার মূল্য ১২৫ শতাংশ এবং সয়াবিনের মূল্য ১০৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। একই সময় তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে জুলাই ২০০৮ নাগাদ প্রতি ব্যারেলের মূল্য দাঁড়ায় ১৪৭ ডলারে। উন্নত দেশগুলোয় তেলের পরিবর্তে ভুট্টা থেকে তৈরি করা হয় বিকল্প জ্বালানি ইথানল। কেবল যুক্তরাজ্যেই এ কাজে ব্যবহৃত হয় প্রায় ১০০ মিলিয়ন ভুট্টা। ব্রাজিলে এ কাজে ব্যবহৃত হয় চিনি তৈরির কাঁচামাল ইক্ষু। এভাবে কৃষিপণ্যের বাজার হয় ঊর্ধ্বমুখী। তাতে বৃদ্ধি পায় মূল্যস্ফীতি। ২০০৮ সালের দ্রব্যমূল্য এর আগের প্রায় ২০ বছরের মূল্যসূচককেও হার মানায়। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ধস, অর্থ সংকট ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্থবিরতা বেকারত্বকে বাড়িয়ে তোলে। জাতীয় আয় হ্রাস পায়। মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা সত্তরের দশকে স্টেগফ্লেশন অবস্থাকেও পেছনে ফেলে দেয়। পরবর্তী সময়ে তেলের মূল্য হ্রাস এবং কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে বিশ্বমন্দা কিছুটা শিথিল হয়ে আসে; কিন্তু ২০১০ সালে ফের কৃষি উৎপাদন হ্রাস এবং ২০১১ সালে তেলের মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি ও বিশ্বমন্দাকে ফের উস্কে দেয়। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চলতে থাকে অবিরাম। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান এ দশকের মন্দাকে অভিহিত করেছেন দ্বিতীয় মহামন্দা হিসেবে। এর অভিঘাতে পদচ্যুত হয়েছেন অনেক সরকারপ্রধান। গণবিদ্রোহ ও বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে আরো অনেক দেশে। এর মধ্যে অতি সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে মিসর, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, ফ্রান্স, ইতালি, গ্রিস, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া অন্যতম।
বাংলাদেশ একটি গরিব দেশ। মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব ও অর্থ সংকট এ দেশে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এর ওপর বিশ্বমন্দার অভিঘাতে এখানকার জনজীবন এরই মধ্যে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমাদের শেয়ারবাজারে প্রতিনিয়ত চলছে এক আশ্চর্য ভেলকিবাজি। ক্ষণে মূল্যবৃদ্ধি, ক্ষণে দরপতন- এমন এক ভানুমতির খেলা চলছে এখানে। কিছুদিন আগে বাজার চাঙ্গা হয়ে ইতিমধ্যেই এর সার্বিক মূল্যসূচক নেমে গেছে চার হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি। এখানে অর্থ-সম্পদ খুইয়ে অবশেষে মনের দুঃখে সম্প্রতি আত্মাহুতি দিয়েছেন ঢাকার তরুণ বিনিয়োগকারী কাজী লিয়াকত আলী। চট্টগ্রামে আত্মহত্যা করেছেন আরো একজন বিনিয়োগকারী। তাঁর নাম দিলদার আহমদ।
আর্থিক সংকটের কারণে আমরা বরাবরই নির্ভর করি বৈদেশিক বিনিয়োগের ওপর। এতে এখন ভাটা পড়েছে। ইদানীং আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরাও পিছু হটছে। এ পর্যন্ত দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে ওদের অবদান ছিল ৫৫ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ঋণ এবং ২৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন অনুদান। চলতি অর্থবছরের সে ঋণ ও অনুদানের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে নেমে গেছে। এবার প্রথম পাঁচ মাসে (জুন থেকে নভেম্বর ২০১১) নিট বৈদেশিক সহায়তাপ্রাপ্তির পরিমাণ ছিল ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর একই সময়ে তা ছিল ৩২৩ মিলিয়ন এবং এর আগের বছর (২০০৯-১০ অর্থবছর) একই সময়ে তা ছিল ৯৮৯ মিলিয়ন। বৈদেশিক সহায়তায় এই দ্রুত ক্রমাবনতির ফলে সরকারের খরচ নির্বাহের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে অতি মাত্রায় অভ্যন্তরীণ ঋণ গ্রহণের ওপর। ইতিমধ্যেই অনেক সরকারি ব্যাংক দারুণ আর্থিক সংকটে পড়েছে। এতে ব্যক্তি-উদ্যোক্তারা প্রার্থিত ঋণ পাচ্ছেন না। সম্ভব হচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ ও উন্নয়ন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমাদের ঘাটতি বাড়ছে। গত এক বছরে যে হারে আমাদের রপ্তানি বেড়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হারে বেড়েছে আমদানি। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য চলে গেছে আমাদের অনেক বেশি প্রতিকূলে। এতে এ সময়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১০ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে গত এক বছরে বাংলাদেশি টাকা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ২১ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়েছে। বাজারে দেখা দিয়েছে চরম এক মূল্যস্ফীতি। ২০ বছরের মধ্যে বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ। এর ফলে মারাত্মক এক আর্থিক কষ্টে পড়ে দেশের জনগণ। আমাদের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যথার্থই বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে এখন এক কালো ছায়া বিরাজ করছে।
এবারের মন্দায় বাংলাদেশ ও পৃথিবীর অন্যান্য দেশে মূল্যস্ফীতি দুর্দান্ত প্রতাপে বেড়েছে। এর লাগাম টেনে ধরার জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে আমানত ও ঋণের ওপর সুদের হার। আশা করা যাচ্ছে, এতে বাজারে অর্থের প্রবাহ হ্রাস পাবে। এতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে মূল্যস্ফীতির ওপর। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর লিকুইডিটি সংকট মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে সহায়তা প্যাকেজ। শেয়ার মার্কেটগুলোয় আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে হস্তক্ষেপমূলক কর্মসূচি। এ ছাড়া সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও আমদানি হ্রাসের জন্য কৃচ্ছ্রসাধনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। তার পরও জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের বিষয়টি থেকে যাচ্ছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। এর জন্য প্রয়োজন সঞ্চয় ও উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ। বাড়াতে হবে কৃষি ও শিল্পের উৎপাদন। এতে অবদমিত হবে মূল্যস্ফীতি। ধীরে ধীরে কেটে যাবে অর্থনীতির কালো ছায়া।

লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ
E-mail : alamj52@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.