'মাইনাস টু ষড়যন্ত্র এখনো চলছে'-তত্ত্বাবধায়কে আবার 'না' শেখ হাসিনার

বিরোধী দলের আলটিমেটাম সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি আবারও নাকচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং এই ব্যবস্থা যাতে পুনর্বহাল হতে না পারে সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নবনির্বাচিত নেতারা গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাঁর এ অবস্থান তুলে ধরেন বলে বৈঠক সূত্র নিশ্চিত করেছে।


শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, এ পদ্ধতির অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।
আওয়ামী লীগের প্রধান ওয়ান-ইলেভেনের সময়ের মাইনাস টু ফর্মুলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই চেষ্টা এখনো অব্যাহত আছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। যাঁরা তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতির পুনর্বহাল চান, তাঁদের এ ব্যাপারটিও খেয়াল রাখতে হবে।
গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা যাতে ব্যাহত না হয় এবং অন্য কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কিছু লোক আছে যাদের জনসমর্থন নেই, কিন্তু ক্ষমতার লোভ আছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তাদের মূল্যায়ন হয় না বলে তারা তত্ত্বাবধায়কের দাবি তুলছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত নেতাদের উদ্দেশে বলেন, অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখল বন্ধ করতে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। তিনি পেশাজীবীদের ভবিষ্যতে পাশে থেকে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
পেশাজীবী নেতারা সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গটি তুলে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানান। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এতে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতাদের মধ্যে সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি মেজবাহউদ্দিন, মহাসচিব কামরুল হাসান খান, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শাহ আলমগীর, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদ, শাবান মাহমুদ, অধ্যাপক নুর মুহাম্মদ, ডা. রোকেয়া সুলতানা, অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন মেহেদী, অধ্যাপক আ ব ম ফারুখসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.