বিশেষ সাক্ষাৎকার-সাশ্রয়ী খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লাই বিকল্প by ম. তামিম

অধ্যাপক ম. তামিমের জন্ম ১৯৫৯ সালে। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্বের শিক্ষা শেষ করে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ থেকে ডিগ্রি পান। পরে তিনি ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) থেকে মাস্টার্স অব টেকনোলজি এবং কানাডার


ইউনিভার্সিটি অব অ্যালবার্টা থেকে পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি বুয়েটে শিক্ষকতা করছেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন।

 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ কে এম জাকারিয়া

প্রথম আলো  বিদ্যুতের ঘাটতি বেড়েছে, সামনে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে। এর পরও তা কাজে দিচ্ছে না কেন?
ম. তামিম  বর্তমানে দেশের যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, তা একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে দেশে সাশ্রয়ী খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব—এমন কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হয়নি। অন্যদিকে বিদ্যুতের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমান সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তা শুরু করতেও সাত-আট মাস দেরি করেছে। কুইক রেন্টালের ব্যাপারে সরকার শুরুতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল। পরে যেকোনো মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে—এমন একটি অবস্থান থেকে সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ হয়তো বেড়েছে, কিন্তু জনগণকে বিদ্যুৎ না দেওয়ার চেয়ে বেশি মূল্যে উৎপাদন করে হলেও বিদ্যুৎ দেওয়ার নীতি সরকার নিয়েছে। এই উদ্যোগটি অবশ্যই ভালো ছিল। সরকার যদি তা করতে না পারত, তবে আজ পরিস্থিতি যে কোথায় গিয়ে ঠেকত, তা আমরা অনুমান করতে পারি। সরকার যে ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, তা হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদে ও স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এমন কোনো বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারেনি। যেগুলো করছে, সেগুলো সবই তেলভিত্তিক।
প্রথম আলো  কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনের অভিজ্ঞতা তো ভালো নয়।
ম. তামিম  দেখুন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে মূল্য পড়ে, তা আমাদের মতো দেশের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। কুইক রেন্টাল হচ্ছে উচ্চমূল্যে স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন। তবে সরকারের সামনে এ ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না। সরকার শুরুতে কিন্তু কুইক রেন্টালের ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দিহান ছিল। আগেই বলেছি যে বেশি দামে হলেও সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সেটা না করলে আরও বিপদ হতো। আমি তো বলব যে কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে অনেক অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হলেও সরকার আমাদের বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে। এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরও দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ-সংকট রয়ে গেছে। যদি তা না করা হতো, তবে এখন পরিস্থিতি কী হতো?
প্রথম আলো  বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপির পাঁচ বছর ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর—এই সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আপনি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শক ছিলেন, ফলে আপনার ওপরও তো কিছু দায় চলে আসে।
ম. তামিম  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বড় ধরনের কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া যায়নি। সেটা সম্ভবও ছিল না। কিন্তু আমার কুইক রেন্টালে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। এর মধ্যে আমাদের সময়ে ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। বাকি ৮০০ মেগাওয়াট বর্তমান সরকারের সময় হয়েছে এবং সেটা হয়েছে আমাদের করা প্রস্তুতির ভিত্তিতেই। বর্তমান সরকার আমাদের কুইক রেন্টালের উদ্যোগের সমালোচনা করলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু তা নিয়েছে।
প্রথম আলো  আপনি বললেন বর্তমান সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম, এমন বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে সরকারের কী করণীয় ছিল?
ম. তামিম  বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে প্রাথমিক জ্বালানির সমস্যা। আমদানি করা ডিজেল বা ফার্নেস ওয়েল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি। গ্যাসসংকটের বিষয়টি অবশ্যই বড় বিবেচনা। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হয়নি। বলা যায়, ’৯৯ সালের পর সেভাবে গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গ্যাসের চাহিদা যে বাড়বে, তা অজানা থাকার কথা নয়। ফলে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের যে দিকটিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল, তা হচ্ছে বিবিয়ানা ও ভোলার গ্যাস ব্যবহার করে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ যেকোনো মূল্যে শুরু করা। আমি মনে করি, সরকারের উচিত বিবিয়ানা ১, ২ ও ভোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা। এই দুটি কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেলে সামগ্রিকভাবে বিদ্যুতের গড় দাম কিছুটা হলেও কমবে, বিদ্যুতের ঘাটতিও কমবে।
প্রথম আলো  আমাদের দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রায় ৭০ ভাগই এখনো গ্যাসনির্ভর। অন্যদিকে গ্যাসের বর্তমান মজুদের ওপর নির্ভর করে নতুন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির পরিস্থিতিও নেই। বিকল্প যেসব জ্বালানি ব্যবহার করে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে, তাকে কীভাবে দেখছেন?
ম. তামিম  বিশ্বে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূলত তিনটি প্রাথমিক জ্বালানি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় কয়লা, প্রায় ৪৯ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্যাস ও তৃতীয় হচ্ছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ। এর বাইরে কার্যত আর কোনো পথ নেই। বর্তমান সরকার কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে। বাগেরহাটের রামপালে যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কথা বলা হচ্ছে, তা কার্যকর হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমদানি করা কয়লা দিয়ে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আমাদনি করা তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেয়ে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক সাশ্রয়ী হবে।
প্রথম আলো  এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সপ্তাহে প্রায় এক লাখ টন কয়লা লাগবে। আমাদের বন্দরের যে অবকাঠামোগত সুবিধা, তাতে এই পরিমাণ কয়লা নিয়মিত আমদানি করা কতটুকু বাস্তবসম্মত সে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
ম. তামিম  আমদানি করা কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হলে সরবরাহের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। কয়লাবাহী বড় জাহাজগুলো আমাদের বন্দরে যেহেতু ঢুকতে পারবে না, তাই বড় জাহাজ থেকে ছোট ছোট জাহাজে করে তা খালাস করতে হবে। সেই কয়লা যাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত আনা যায়, সে জন্য নৌ চ্যানেল করা হবে। আসল কথা হচ্ছে, কয়লা সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করতে হবে।
প্রথম আলো  নিজস্ব কয়লা থাকতে আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভরতা কতটা যৌক্তিক?
ম. তামিম  নানা বাস্তবতায় যেহেতু নিজস্ব কয়লা ব্যবহারের পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি, তাই আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভর করা ছাড়া আমাদের কোনো পথ নেই। সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হলে এই পথে যেতে হবে। এখন তেল আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করায় আমাদের জ্বালানি তেলের আমদানি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বিশ্বে কোথাও দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তেলের ওপর নির্ভর করা হয় না। তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ জনগণ দিতে না পারায় সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। নিজস্ব কয়লা ব্যবহার করতে পারলে তো সবচেয়ে ভালো। কারণ, আমদানি মানেই জ্বালানি নিরাপত্তায় ঝুঁকি। বিষয়টি শুধু দামের নয়, যেকোনো বিশ্বপরিস্থিতির কারণে সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে। কিন্তু নিজেদের কয়লা ব্যবহার শুরু করতে না পারা পর্যন্ত সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভর করাই এখন বিকল্প।
প্রথম আলো  বর্তমানে কাগজে-কলমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আট হাজার মেগাওয়াটের বেশি, চাহিদা প্রায় সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের মতো। উৎপাদন ঘাটতির একটি কারণ গ্যাসসংকট। পূর্ণক্ষমতাকে কাজে লাগানোয় সরকারের ব্যবস্থাপনাগত সমস্যা রয়েছে বলে মনে করেন কি?
ম. তামিম  আমাদের অবস্থা অনেকটা গরিবের সংসারের মতো। কম আয় দিয়ে সংসার চালানো আর কি! এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাহিদা ও সরবরাহের দিকে মনোযোগ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। কোন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কী কারণে উৎপাদন করতে পারছে না, সেটি চালু করতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া; কোনটির যন্ত্রাংশ আমদানি করতে গিয়ে আটকে আছে, তা জরুরি উদ্যোগ নিয়ে ছাড় করানো; কখন বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকবে সে অনুযায়ী বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া—এ ধরনের নজরদারি বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই জরুরি। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ঘাটতি রয়েছে। ব্যবস্থাপনা দক্ষ হলে পরিস্থিতি আরও সহনীয় করা সম্ভব।
প্রথম আলো  জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের উদ্যোগকে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
ম. তমিম  বিদ্যুতের যেহেতু ঘাটতি রয়েছে, তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যুৎসংকট মোকাবিলার জন্য সরকার ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে। রাত আটটার পর দোকান, মার্কেট বন্ধ রাখার কথা। কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রেই তা পুরোপুরি মানা হয় না। সবাই যাতে এই আইন মেনে চলেন, সে ব্যাপারে সরকারকে যেমন নজরদারি করতে হবে, তেমনই অন্য দিনে জনসচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টাও করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জনগণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বলছেন বিভিন্ন সময়ে, কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। কার্যকর প্রচার-প্রচারণা জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। সরকারের নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
প্রথম আলো  সামনের বিদ্যুৎ পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?
ম. তামিম  আগেই বলেছি, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রাথমিক জ্বালানি সমস্যা। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হলে গ্যাস অনুসন্ধান বাড়াতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। অন্যদিকে সরকার কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের নানা পরিকল্পনা ঘোষণা করছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকার কত দ্রুত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে, এর ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। অবকাঠামোগত নানা দিক তো রয়েছেই, এমনকি কোথা থেকে কয়লা আমদানি করবে, সেটা ঠিক করা; এর দরদাম কী হবে, তা ঠিক করাও একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অন্যদিকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের যে উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে, এর নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক দিকটির ব্যাপারে যদি আমরা নিশ্চিতও হই এবং আগামীকাল থেকেও যদি কাজ শুরু হয়—এর পরও এ ধরনের একটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ছয় থেকে সাত বছর লেগে যাবে। সব কটি বিষয়ই দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি মনে করি, কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর এই উদ্যোগের পাশাপাশি বিবিয়ানা ও ভোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি নির্মাণে সরকারের সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
প্রথম আলো  আপনাকে ধন্যবাদ।
ম. তামিম  ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.