সাক্ষাৎকার-‘ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে’

খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রয়োগ বাড়ছে। এর ফলে জনস্বাস্থ্যের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে কথা বলেছেন সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সুলতান উল আলম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেখ্যাইউ মারমা।


প্রথম আলো: খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।
সুলতান উল আলম: হ্যাঁ। মাছ, মাংস, শাকসবজিসহ বিভিন্ন খাবার না পচার জন্য ফরমালিন, ফলমূল পাকানোর জন্য কারবাইড এবং মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন খাবারে বিষাক্ত রং ব্যবহার হচ্ছে।
প্রথম আলো: ফরমালিন ও বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের কারণে মানুষের কী কী রোগ হতে পারে?
সুলতান উল আলম: ফরমালিনযুক্ত খাদ্যগ্রহণে মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি-স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন রোগ হতে পারে। বর্তমানে যকৃৎ ও কিডনির নানা ধরনের রোগ এবং জন্ডিসের প্রকোপ বেড়েছে। এর সঙ্গে খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের যোগ আছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন খাদ্য খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
প্রথম আলো: শিশুদের কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
সুলতান উল আলম: দেখুন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় শিশুরাই। খুব সহজেই শিশুর পাকস্থলীর ক্ষতি হয়। বদহজম দেখা দেয়। খাবারের প্রতি অরুচি বেড়ে যায়।
প্রথম আলো: ক্ষতি এড়ানোর কোনো উপায় আছে কি?
সুলতান উল আলম: ক্ষতি এড়াতে সর্বপ্রথম জনগণকেই সচেতন হতে হবে। সন্দেহ হলে এ ধরনের খাবার না কেনাই উচিত। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে তাঁরা ফরমালিন, কার্বাইড ও অন্যান্য বিষাক্তদ্রব্য খাবারে ব্যবহার না করেন।
প্রথম আলো: ফরমালিনসহ খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার বন্ধে সরকারের কী করা উচিত?
সুলতান উল আলম: প্রথমত, এ সংক্রান্ত আইনকানুনের সঠিক প্রয়োগ ঘটাতে হবে। জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে।

No comments

Powered by Blogger.