শিক্ষাঙ্গন-বিশ্ববিদ্যালয় সর্বজনের প্রতিষ্ঠান, দলীয় সম্পত্তি নয় by আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষকদের যে আন্দোলন চলছে, তা অভূতপূর্ব নয়। এর আগে ২০০২ সালেও অনির্বাচিত উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সব শিক্ষকের সমন্বয়ে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। তখন নতুন জোট সরকার ক্ষমতায় এসে তৎকালীন নির্বাচিত উপাচার্যকে অপসারণ করে তাদের দলীয়


একজন শিক্ষককে উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছিল। ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এটা করা সম্ভব ছিল না। তাই তারা ব্যবহার করেছিল ১৮৭৬ সালের আইন। এর আগের আওয়ামী লীগ সরকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রকম একটি কাণ্ড করার পর চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে নিযুক্ত উপাচার্য কিছুদিনের মধ্যেই শামসুন্নাহার হলে গভীর রাতে পুলিশ ও ছাত্রদলের আক্রমণের প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলনের ফলে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সর্বব্যাপী আন্দোলনের মুখে নিযুক্ত উপাচার্য সিনেট নির্বাচন দিতে বাধ্য হন এবং তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে একজন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের স্থানে বর্তমান উপাচার্যকে নিয়োগ দেন। অনির্বাচিত উপাচার্য হলেও নিয়োগের পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন। কারণ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে প্রথম উপাচার্য, শিক্ষক ও বিজ্ঞানী হিসেবেও তাঁর সুনাম ছিল। এই গ্রহণযোগ্যতার কারণে তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় একটি নতুন সংস্কৃতি তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রকৃত শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য সন্ত্রাস, সরকারদলীয় আধিপত্য ও সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত, শিক্ষা ও সৃজনশীলতার অনুকূল একটি ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য তিনি দলীয় বলয় অতিক্রম করবেন—এটাই সাধারণভাবে প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু বিভিন্ন বিভাগ খোলা, হল ও ভবন নির্মাণ ইত্যাদিতে সাফল্যের স্বাক্ষর সত্ত্বেও পুরোনো ধারার পরিবর্তনে তাঁর ব্যর্থতাই ক্রমে প্রকট হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি দলের আধিপত্য আর ব্যক্তিগত ক্ষমতা নিশ্চিত করতে গিয়ে সন্ত্রাস, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের স্তূপ জমতে থাকে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রসংগঠন ও শিক্ষক গ্রুপিংয়ে রাতারাতি পরিবর্তন দেখা যায়। যে সরকার ক্ষমতায় আসে সেই সরকারের ছাত্রসংগঠন রাতারাতি ক্ষুদ্র সংগঠন থেকে বৃহৎ সংগঠনে পরিণত হয়। রাতারাতি সরকার-সমর্থিত উপাচার্যের দলে শিক্ষকদের সংখ্যা বেড়ে যায়। আর তোষামোদকারী ও সুবিধাভোগীদের সমর্থনে বাড়তে থাকে স্বেচ্ছাচারিতা।
ছাত্রদলের পাঁচ বছরের দাপটের পর দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে এই ক্যাম্পাসেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও দখল শুরু হয়। বিরোধী পক্ষের অস্তিত্ব যখন অনুল্লেখ্য হয়ে পড়ে, তখন শুরু হয় নিজেদের মধ্যে সহিংসতা। চারতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া, একের পর এক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরস্পর আক্রমণ চলতে থাকে। এখনো অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে, কেউ কেউ পঙ্গু। শিক্ষার্থীদের ওপর বলপ্রয়োগ, নির্যাতন, সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিসে আগুন দেওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা করা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, যৌনহয়রানি ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তাদের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কাউকে কাউকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু তাতে তাদের তৎপরতার হানি হয়নি। ‘ভিসি লীগ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে সরকারি উচ্চমহল থেকে আশীর্বাদ নিয়ে তাদের দাপট অব্যাহত থাকে।
গত তিন বছরে অনেক ভালো নিয়োগ হয়েছে সন্দেহ নেই; কিন্তু কোনো কোনো বিভাগে প্রয়োজন না থাকলেও অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ, যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে শিক্ষক হিসেবে আবেদন করার কথা নয় এমন লোককেও নিয়োগ দেওয়া হয়। দুটো বিভাগের দুজন সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী আমাকে তাঁদের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা বলেছেন। একজন ছাত্রী, শিক্ষার্থী থাকাকালেই তাঁর আন্তর্জাতিক প্রকাশনা হয়েছে, ফলাফল শীর্ষস্থান; ধারণা করি তাঁর তত্ত্বাবধায়ক উপাচার্যবিরোধী হওয়ার কারণে যোগ্যতা সত্ত্বেও তাঁকে নেওয়া হয়নি। আরেকজন ছাত্র, যাঁর পরীক্ষার ফলাফল ও প্রকাশনা বিভাগে বিশেষ স্বীকৃতি পেলেও নেওয়া হয়নি তাঁকে, শুধু ভিসিবিরোধী হতে পারেন এই সন্দেহের কারণে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগদানের চেয়ে বড় অপরাধ আর কিছু হতে পারে না। কারণ, একজন ভুল লোক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলে তা কয়েক দশক ধরে, ৩০-৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত করে, বিভাগের পরিবেশ কলুষিত করে এবং একটি ভুল নিয়োগ অন্য অনেক ভুল নিয়োগের পথ তৈরি করে। আর এরাই নীতিহীনতা তোষামোদী ও দলবাজির ধারা পুষ্ট করে। শিক্ষক নিয়োগের এই ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে দায়িত্বশীল শিক্ষকদের মধ্যে বরাবরই উদ্বেগ ছিল, গত প্রশাসনের সময়ও এ রকম নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে।
মনে আছে, ২০০০ সালের দিকে তৎকালীন প্রশাসন এমন একজন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে, যার পরীক্ষার ফলাফল শুধু যে খারাপ ছিল তা-ই নয়, জ্ঞান বা শিক্ষাচর্চার প্রতি নিরাসক্ত এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যৌনহয়রানিসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলাও ছিল। ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা যখন এই ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেওয়ার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষক, তখনকার হিসেবে মোট শিক্ষকের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ, এই নিয়োগ না দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বিবৃতি দিয়ে অনুরোধ জানান। কিন্তু ক্ষমতাবানেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকদের এই অনুরোধ গ্রাহ্য করেননি।
সম্প্রতি এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের একজন নারী শিক্ষক যৌন হয়রানির অভিযোগ জানান। অপরাধীকে রক্ষা করার জন্য অভিযোগকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার পাশাপাশি প্রশাসন নানামুখী চেষ্টা করতে থাকে। শিক্ষকদের তখনো আন্দোলনে নামতে হয়। অপরাধীকে প্রাপ্য শাস্তি থেকে বাঁচালেও আন্দোলনের শক্তির কারণে অন্তত তার অপরাধ শিকার করতে ও একটি গৌণ শাস্তি প্রদানে প্রশাসন বাধ্য হয়। এর আগের প্রশাসনের আমলে আরেকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল, তখনো সেই প্রশাসন ও প্রশাসনপন্থীরা অপরাধীকে বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে। নানা কায়দা করে অপরাধীকে বেকসুর খালাসও দিয়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আন্দোলন তখনো অব্যাহত ছিল। আর সেই নিপীড়ক শিক্ষক সামান্য হলেও শাস্তি পেয়েছে, এটা দেখার জন্য প্রশাসন ও সরকারের পরিবর্তন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই নির্বাচিত উপাচার্য নেই, কোথাও নির্বাচিত ছাত্রসংসদও নেই। সমাজের বিষ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও মুক্ত নয়। সরকারের ভূমিকা এই বিষপ্রভাবকে আরও জোরদার করে। বিভিন্ন সরকার আসে-যায়। পাবলিক বা সর্বজনের প্রতিষ্ঠানকে তারা দলীয় সম্পত্তি মনে করে। হলগুলো তাদের ছাত্র-সন্ত্রাসীদের দখলে রাখা চাই। প্রশাসন তাদের দলীয় শিক্ষকদের কবজার মধ্যে আনা চাই। নতুন নিয়োগ দলীয় বিবেচনায় হওয়া চাই। পাবলিক বা সর্বজনের প্রতিষ্ঠান যেন তাদের দলীয় কর্মসংস্থান কেন্দ্র। পতন নিম্নগামী, দিনে দিনে পতনের গতি বাড়ে। সুতরাং অপরাধের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগবাণিজ্য নিয়েও কিছু কথা শুনি। অবিশ্বাস্য মনে হয়। ঘটনার বিবরণ শুনে, কোনো কোনো ব্যক্তিকে দেখে মনে হয়, সম্ভব হতেও পারে।
তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অসামান্য শক্তির দিক আছে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে যার ধারাবাহিকতায় কোনো ছেদ পড়েনি। অন্যায়, অনিয়ম, সন্ত্রাস ও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্য থেকে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ এখানে অন্যায়কারীদের কখনোই দীর্ঘ সময়ে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি। কবরের নীরবতা জাহাঙ্গীরনগরে নেই। এই প্রতিবাদের কারণেই এ অন্যায়গুলো সম্পর্কে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় জগৎই নয়, সারা দেশের মানুষই অবগত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সর্বজনের প্রতিষ্ঠান, পরিচালিত হয় জনগণের টাকায়। সুতরাং এগুলোর ভালো-মন্দ সম্পর্কে সব নাগরিকের জানার অধিকার ও প্রয়োজন আছে।
মেধার বিবেচনা বাদ দিয়ে দলীয় বিবেচনায় কোনো প্রার্থীকে যখন নিয়োগ দেওয়া হয়, সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে যখন প্রশাসন পরিচালিত হয়, যখন সেই সন্ত্রাসীদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় রক্তাক্ত হয়, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক তৎপরতা বিঘ্নিত হয়, এমনকি তাদের জীবন বিপন্ন হয়, সৌন্দর্য বিধানের নামে যখন একের পর এক বৃক্ষ কর্তন করা হয়, জীববৈচিত্র্য ভরা বিশাল অঞ্চল ‘পরিষ্কার’ করে যখন বাণিজ্যের জন্য লিজ দেওয়া হয়, তখন ক্ষুব্ধ হওয়া এবং প্রতিবাদ করাই যেকোনো সজাগ মানুষের দায়িত্ব।
বস্তুত শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সর্বজনের সব প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ এখন দেশি-বিদেশি দখলদার, মুনাফা বাণিজ্যের হুমকির মুখে। একদিকে যখন রামদা হাতে সরকারি ছাত্রসংগঠনের সন্ত্রাসীরা টেন্ডারবাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই থেকে অর্থ বানাতে উন্মাদ, তখন অন্যদিকে ইউজিসি-বিশ্বব্যাংকের কৌশলপত্র পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রাণহীন যন্ত্রসুলভ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক তথা নাট-বল্ট তৈরির কারখানা এবং মুনাফামুখী উন্মাদনা সৃষ্টির পথ নির্দেশ করছে। অনির্বাচিত উপাচার্য নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের বেতন ফি বৃদ্ধি করা, খরচ তোলার নামে ক্রমান্বয়ে বাণিজ্যিকীকরণ, ছাত্রাবাস-ডাইনিং হল বন্ধ করে দেওয়া—এগুলোও ২০ বছরের কৌশলপত্রের অন্তর্ভুক্ত কর্মসূচি। সুতরাং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব তৎপরতা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়, একটি বড় ছকের অংশ। এগুলো সবই বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারি দল-নিয়ন্ত্রিত দোকান বানানোর অধিপতি মতাদর্শের খণ্ড খণ্ড প্রকাশ।
এ অবস্থা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে উদ্ধার করতে না পারলে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বজনের প্রতিষ্ঠান করতে না পারলে বাংলাদেশের জ্ঞানচর্চার কোনো ক্ষেত্র অবশিষ্ট থাকবে না। ‘আমরা পারি না পারব না’ বলে যারা দেশি-বিদেশি মুনাফাখোরদের হাতে দেশ ও দেশের সম্পদকে তুলে দিতে চায়, তাদের জন্য এটা খুবই আনন্দদায়ক পরিস্থিতি হবে, কিন্তু দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য তা ভয়াবহ ইঙ্গিতবাহী।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মুক্ত অবস্থান, আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন ভূমিকা এবং প্রতিরোধ চেতনাই, অতএব একমাত্র ভরসা। এর মধ্য দিয়ে এ বিষয়টি দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সবার চিন্তা ও সক্রিয়তার মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা জরুরি যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সর্বজনের প্রতিষ্ঠান, সরকারের দলীয় বা গোষ্ঠীগত সম্পত্তি নয়। সন্ত্রাসী, মাস্তান বা মেরুদণ্ডহীনদের নয়, এটি আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মুক্তবুদ্ধিচর্চা ও সৃজনশীলতার স্থান। বিশ্ববিদ্যালয় টাকা বা মুনাফা বানানোর জায়গা নয়, এটি দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের একটি কেন্দ্র।
অতএব, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত উপাচার্য ও নির্বাচিত ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে সোচ্চার হতে হবে শিক্ষার্থী-শিক্ষার্থীসহ দেশের সব নাগরিককে।
আনু মুহাম্মদ: অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments

Powered by Blogger.