বৃত্তের ভেতর বৃত্ত-গণপরিবহন খাত কার নিয়ন্ত্রণে? by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু

সম্প্রতি সরকার সিএনজির মূল্যবৃদ্ধি করার পরদিন থেকেই ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গণপরিবহন খাতে সৃষ্ট নৈরাজ্য এবং যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি নিয়ে প্রতিদিনই প্রতিবেদন প্রকাশিত-প্রচারিত হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, গণপরিবহন খাত সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এই খাতের সংশ্লিষ্টরা সরকার-নির্ধারিত যাত্রীভাড়া মানছে না।


নির্ধারিত ভাড়া বাস্তবায়ন করতে সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত নামিয়েছে। কিন্তু এর পরও যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। যাত্রীসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে এবং গণপরিবহন খাতের বিদ্যমান নৈরাজ্য দূর করতে সরকার গত ২৬ মে ঢাকায় আরো ৮০টি বিআরটিসি বাস নামিয়েছে। বিষয়টি 'সিন্ধুর মাঝে বিন্দু'র মতো হলেও শেষ পর্যন্ত যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন যাত্রীসাধারণের চরম বিড়ম্বনার দিকটি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, এ দেশের প্রেক্ষাপটে এটাই বা কম কিসের! ২৫ মে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিআরটিসি বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারিত হচ্ছে পাঁচ টাকা। শুধু রাজধানীতেই নয় (তবে রাজধানীতে এ চিত্রটা প্রকট), সারা দেশেই গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিরাজ করছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। অবস্থাদৃষ্টে এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না, গণপরিবহন-সংশ্লিষ্টরা কাউকেই তোয়াক্কা করছে না। রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্টের কার্যক্রমও তাদের দমাতে পারছে না। কোনো কোনো পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম শুরুর পর কয়েকটি রুটে অফিস সময়ে বাসসংখ্যা সংশ্লিষ্টরা কমিয়ে দিয়েছে সংকট প্রকট করার উদ্দেশ্যে। এ অবস্থায় খুব সংগত কারণেই প্রশ্ন জাগে, তাদের এত শক্তির উৎস কোথায়?
নিকট-অতীতে আরো বেশ কিছুসংখ্যক বিআরটিসি বাস রাজধানীতে নামানো হয়েছিল যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবের উদ্দেশ্যে। কিন্তু যাত্রী বিড়ম্বনা লাঘব করতে পারছে না বিআরটিসি। বিআরটিসির অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকটা সাক্ষী-গোপালের মতো। অনেক দিন ধরেই এ সংস্থার কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে আছে। সম্প্রতি ইলাস্ট্রিকের মতো টেনেটুনে তা সম্প্রসারণের চেষ্টা করা হচ্ছে বটে; কিন্তু এরও সুফল মিলছে না সংগত কারণেই। অনিয়ম, সংশ্লিষ্টদের অদূরদর্শিতা, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র সেখানেও খুব পুষ্ট। বিআরটিসির বাস ও ট্রাক সার্ভিস_দুটিরই অবস্থা নাজুক। অধিক যাত্রী বহনে সক্ষম ভলভো ডাবল ডেকার বাসগুলোর বড় অংশ যাত্রী পরিবহনে নেই। ডাবল ডেকার অশোক লেল্যান্ড বাসের বেশির ভাগই এখন যাত্রী পরিবহনের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাস হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। রাজনৈতিক চাপ কিংবা ক্ষমতাবান বাসমালিক চক্রের চাপে একের পর এক বন্ধ হয়ে গেছে বিআরটিসির বাসরুট। আমরা জানি না, মন্ত্রী মহোদয় কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য দায়িত্বশীলরা এই বাস্তবতা স্বীকার করবেন কি না। বেসরকারি বাসমালিক-শ্রমিকদের দৌরাত্ম্য ক্রমবৃদ্ধির পেছনে বিআরটিসির অব্যবস্থাপনা, নতজানু কিংবা বিশেষ উদ্দেশ্যে কার্যক্রম সংকুচিত করার ফলে বেসরকারি পরিবহন খাত সুযোগ নিচ্ছে। ১৯৬১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অধ্যাদেশ নম্বর ৭ অনুযায়ী বিআরটিসি নামের সংস্থাটির জন্ম হয়েছিল এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সড়ক পরিবহন সেবা দেওয়ার জন্য মাত্র চারটি বাস নিয়ে সংস্থাটি যাত্রা শুরু করেছিল। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে এই বিআরটিসিই দেশব্যাপী বাস সার্ভিস নেটওয়ার্ক স্থাপন করে এবং ২০০৩ সালের আগেও দেশের ২৫০টি রুটে বিআরটিসির বাস চলত। বর্তমানে এই সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ১৫০-এ। দেশের প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার সড়ক যোগাযোগের আওতার মধ্যে প্রায় ৭৬ হাজার বাস-মিনিবাস চলাচল করলেও সেখানে বিআরটিসির যাত্রীবাহী বাসসংখ্যা পাঁচ শরও কম। বর্তমানে দেশে মোট যাত্রী পরিবহনে বিআরটিসির ক্ষমতা এক শতাংশেরও নিচে! কেন ক্রমেই বিআরটিসির পরিধি সংকুচিত হয়ে গেল, কেন সংস্থাটি সাইনবোর্ডসর্বস্ব হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কেন যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে বিআরটিসির কার্যক্রম আরো বিস্তৃত হলো না_এসব প্রশ্নের জবাব সুখকর নয়। একটি শক্তিশালী অপচক্র বিআরটিসিকে কোণঠাসা করেছে নিজেদের উদরপূর্তির স্বার্থে এবং সব সরকারের আমলেই সরকারের কিছু অসাধু ব্যক্তির যোগসাজশে এই অপচক্র ফায়দা লুটেছে। এখনো এই অপক্রিয়া চলছে_এ অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাবে কি? জোর দিয়েই বলা যায়, যদি সরকার নিবিড় তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাহলে ক্ষমতাবান লোভাতুরদের ছোবলের আলামত পাবে।
২৬ মে 'বাসে ক্যাডার!' (জনকণ্ঠ) এবং 'গণপরিবহন সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই : জনদুর্ভোগ চরমে' (সংবাদ) শিরোনামে প্রকাশিত দুটি প্রতিবেদনে যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, আশা করি এগুলোও যোগাযোগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত মন্ত্রীদের দৃষ্টিগোচরীভূত হয়েছে। আমরা জানি না, শেষ পর্যন্ত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ কতটা কী নেওয়া হবে কিংবা প্রতিকারইবা কতটুকু হবে। কিন্তু এই চিত্র যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অন্যতম নজির তা অস্বীকার করা কঠিন। 'বাসে ক্যাডার!' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা পরিবহন মালিকদের হাতে দেওয়ার পরও গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হচ্ছে না। উপরন্তু গণপরিবহন-সংশ্লিষ্টরা যাত্রীসাধারণকে শায়েস্তা করতে কাউন্টারে কাউন্টারে কিংবা বিভিন্ন অনির্ধারিত স্টপেজে, এমনকি বাসে পর্যন্ত ক্যাডারদের সাহায্যকারী হিসেবে রেখেছে। একেকটা বাস কম্পানি নিজেদের খেয়ালখুশি মতো ভাড়া আদায় করছে। কেন? তারা এতটা বেপরোয়া কোন শক্তিবলে? তারা আইন, নিয়মনীতি সব কিছুর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে কিভাবে? এই মগের মুল্লুকের অবসান ঘটাতে প্রশাসনিক ব্যর্থতা কেন? বিগত ১৫ দিনে গণপরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ক্ষমতাবান স্বেচ্ছাচারীরা কত কোটি টাকা জনগণের পকেট থেকে জোর করে আদায় করেছে এর প্রকৃত হিসাব মেলা ভার। তবে অঙ্কটা যে অনেক বড় এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। বিদ্যমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দ্রুত নিরসন ঘটাতে হাইকোর্টের নির্দেশনা জারির পরও তুঘলকি কাণ্ড চলল কিভাবে_এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায় যোগাযোগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীরা এড়াতে পারেন কি? সরকারি দল, বিরোধী দলের রাজনীতিকরা এ ক্ষেত্রে কেন কোনো দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসেননি? দুর্মুখেরা বলেন, এসব ক্ষেত্রে সরকারি দল আর বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে কোনো অনৈক্য নেই। তাদের অনেকেরই গণপরিবহন খাতে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং জনগণের পকেট কাটতে তাঁরা বেশ সিদ্ধহস্ত। সিএনজি-চালিত স্কুটার ও ট্যাঙ্ িক্যাবের মালিক-চালকদের স্বেচ্ছাচারিতাও সীমাহীন পর্যায়ে পেঁৗছেছে এবং এ ক্ষেত্রেও রাজনীতি-ঘনিষ্ঠদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আর এ কারণেই রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে এসব ব্যাপারে মাঝেমধ্যে যাও কিছু তৎপরতা পরিলক্ষিত হয় তা একেবারেই লোক দেখানো। কী বিচিত্র এই দেশ, কী বিচিত্র এই দেশের রাজনীতিকদের গতিধারা! ভরসার জায়গা যে সরকার তৈরি করতে পারছে না_বিলম্বে হলেও তা কি তাদের বোধোদয় ঘটাবে?
প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করার কি কোনো কর্তৃপক্ষ নেই? ইতিপূর্বে সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করা হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত কতগুলো পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে? এমনিতেই মানুষ দ্রব্যমূল্যের ক্রম ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা, তার ওপর পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের এই উন্মাদনা 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা'র শামিল। 'রোড ম্যানেজমেন্ট'-এর মতো অতি জরুরি বিষয়টি কী করে উপেক্ষিত? স্বেচ্ছাচারীদের সব কিছুর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে এত দাপাদাপির উৎস সন্ধানে কারো কি কোনো দায় নেই? বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিন্ডিকেট করে ক্ষমতাবান অসাধু ব্যবসায়ীরা আর রাস্তায় নেমেছে যন্ত্রযানের ক্ষমতাবান মালিকরা, যারা জনশত্রু হিসেবে বিবেচিত। ঢাকা মহানগরীতে যেসব যানবাহন চলে এর বেশির ভাগই চলাচলের অযোগ্য এবং আইনের দৃষ্টিতে পরিত্যক্ত। তার পরও এগুলো চলছে এবং দাপটের সঙ্গে জনগণের পকেট কাটছে! কিভাবে এমনটি সম্ভব তা অনেক কম সচেতনরাও জানেন। বিস্ময়কর হলো, এই জানাজানিতেও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিবেক টলে না, লজ্জাবোধ জাগে না! অনিয়মই যেখানে অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে তো সব কিছুই সম্ভব। কিন্তু মনে রাখা দরকার, সব কিছুরই শেষ আছে এবং উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে থেকে স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতাবানদের উদরপূর্তি করার সুযোগ দিয়ে কিংবা দায়িত্ব পালনে নিষ্ক্রিয় থেকে শুধু কথার ফুলঝুরি ছড়িয়ে এখন আর পার পাওয়া যাবে না। কারণ মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন তাদের অচেতন করে রাখার নানা রকম কলাকৌশল সত্ত্বেও।
বিশেষজ্ঞ মহল থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানোকে অসময়োচিত সিদ্ধান্ত বলা হয়েছে। এর আগে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। ২৬ মে একটি দৈনিকে খবর বেরিয়েছে, বিদ্যুতের দাম আরো এক দফা বাড়বে! এভাবে সেবা খাতে মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে থাকলে এবং সেবার মান ক্রম অধোগতির দিকে যদি যেতেই থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের পিঠ একেবারে দেয়ালে ঠেকে যেতে বাধ্য। এমনটি তো কারোর জন্যই শুভ ফল বয়ে আনবে না, আনতে পারে না। সরকারের ওপর মানুষ আস্থা হারালে এর বিরূপ প্রভাব বহুমুখী হতে বাধ্য। কয়েক দিন আগে র‌্যাবের হাতে গুলিবিদ্ধ লিমনের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একপর্যায়ে বলেছিলেন, তাঁর বা সরকারের কিছুই করার নেই! এবার যোগাযোগমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হয়তো আবারও তিনি বলতে পারেন, গণপরিবহন খাতে বিরাজমান নৈরাজ্য অবসানে তাঁদের বা সরকারের কিছুই করার নেই! এ দেশের আস্তিকরা সৃষ্টিকর্তার ওপর আর নাস্তিকরা নিজেদের ওপর ভরসা রেখেই জীবনযাপন করছেন_রসিকতা করে কেউ কেউ এমনটিও বলেন। কাজেই অতিষ্ঠ মানুষ একপর্যায়ে বলে ফেলতেই পারে, আপনাদের দিয়ে আমাদের দরকার নেই। যারা বিপুল ভোট দিয়ে মহাজোটকে ক্ষমতায় বসিয়েছে সেই মহাজোট সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের এবং রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের চোখের সামনে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের ক্রম উন্মাদনা ভুক্তভোগীদের যদি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে তাহলে কি দোষ দেওয়া যাবে?
২৭ মে বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ 'দুই মন্ত্রীর অসহায়ত্ব' শিরোনামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষনেতা ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সৃষ্ট পরিস্থিতির দায়ভার বাসমালিকের ওপর চাপিয়ে দিয়ে উদ্ধার পেতে চেয়েছেন। তাঁদের এই অসহায়ত্ব বিস্ময়কর, যুগপৎ প্রশ্নবোধক। সরকার জ্বালানির মূল্য বাড়িয়েছে, তারপর এর সঙ্গে সমন্বয় করে গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। কাজটি তো সরকার একতরফাভাবে করেনি। তাহলে নৈরাজ্য এখনো চলছে কী করে? নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় নিশ্চিত করা এবং আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়ন_এ দুটি বিষয় কার্যকর করার দায়িত্ব সরকারের। এখানে কোনো অজুহাত দাঁড় করানোর অবকাশ নেই। জনগণের প্রতি যদি সরকারের নূ্যনতম দায়বদ্ধতা থেকে থাকে তাহলে দায়িত্বশীল 'অসহায়'দের সরিয়ে যাঁরা জনস্বার্থ রক্ষা করতে পারবেন তাঁদের ওপর দায়িত্ব ন্যস্ত করা উচিত। নতুন সিদ্ধান্ত যদি বাস্তবায়ন করা না যায় তাহলে তা গ্রহণ করা হলো কেন? গণপরিবহন খাত কার বা কাদের নিয়ন্ত্রণে_এ প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
লেখক : সাংবাদিক
deba_bishnu@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.