সাক্ষাৎকার-ষড়যন্ত্র করে মোরশেদ খান আমাকে বহিষ্কার করিয়েছেন by এরশাদ উল্লাহ

প্রথম আলো: আপনি তো দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। এর কারণ জানতে পেরেছেন? এরশাদ উল্লাহ: সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খান ষড়যন্ত্র করে আমাকে বহিষ্কার করিয়েছেন। চট্টগ্রাম-৭ আসনের (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) রাজনীতি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। এই আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী যেন না থাকে সেভাবে কাজ করছিলেন তিনি।


যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমাকে বহিষ্কারের মাধ্যমে।
প্রথম আলো: তাঁর সঙ্গে তো আপনার আগে সুসম্পর্ক ছিল। হঠাৎ কেন এই অবনতি ঘটেছে?
এরশাদ উল্লাহ: অবনতি আসলে হঠাৎ করে ঘটেনি। এক-এগারোর পর থেকে তাঁর সঙ্গে আমার দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুর্নীতির মামলায় আদালতে তাঁর ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ কারণে নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম-৭ আসনে আমাকে মনোনয়ন দেন। ওই নির্বাচনেও তিনি আমার বিরোধিতা করেন। ফলে নির্বাচনে আমি পরাজিত হই। এ ছাড়া তিনি ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বোয়ালখালীতে বিএনপির কমিটি পুনর্গঠন করেছেন। এতে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। যে কারণে বোয়ালখালী উপজেলায় ত্যাগী নেতাদের নিয়ে বিএনপির পাল্টা কমিটি হয়েছে।
প্রথম আলো: তাহলে বিগত জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকেই আপনাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু। গাড়িবহরে হামলার ঘটনাই কী আপনাকে বহিষ্কারের কারণ?
এরশাদ উল্লাহ: আসলে তিনি আমাকে বহিষ্কারের জন্য অনেক আগে থেকেই চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য ক্ষেত্র তৈরিটা বাকি ছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মাসে বোয়ালখালীর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি আসলে উছিলা ছিল। এ কারণে ষড়যন্ত্র করে আমাকে বহিষ্কার করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.