বলছেন রুনি

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে চলতি মৌসুমে ইউরো ২০১২ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ইউরোপা লিগ জিততে চান ওয়েইন রুনি। ফিফাডটকমকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে ইংলিশ এই স্ট্রাইকার বলেছেন অন্যান্য বিষয়েও  উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুমে চলতে হচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।


এখন পর্যন্ত এটাকে কীভাবে দেখছেন?
ওয়েইন রুনি: চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়াটা আমাদের জন্য অবশ্যই হতাশার। কিন্তু লিগে এখন পর্যন্ত আমরা ভালো অবস্থানেই আছি। আমরা মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে, আর এখনো অনেক খেলা বাকি (শুক্রবার পর্যন্ত)। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া এবং মৌসুমের শেষভাগে আরও ধারাবাহিক হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আমরা। আমার দিক থেকে এটিকেই সেরা মৌসুম বলব আমি। এখন পর্যন্ত ১৯টি গোল করেছি। এভাবে খেলে যেতে পারলে সামনে আরও বেশি গোল করতে পারব বলে আশা করি।
 ২০১১ সালটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
রুনি: বছরটা বেশ ভালো কেটেছে। তবে প্রিমিয়ার লিগ জেতাটাই বছরের সেরা অর্জন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে জড়িত সবার জন্যই এটা বিশাল একটা ব্যাপার ছিল। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের পরাজয়টা ছিল হতাশার। তাই বলা যায়, আমরা ভালো-মন্দ দুটোই দেখেছি। তার পরও ক্লাবের জন্য বছরটাকে সফলই বলব।
 ২০১২ সালে নিজের জন্য কী লক্ষ্য ঠিক করেছেন?
রুনি: আমরা প্রিমিয়ার লিগটা ধরে রাখতে চাই। ইউরোপা লিগেও ভালো করতে চাই। আমাদের জন্য এখন শুধু এই দুটি প্রতিযোগিতাই আছে। আমরা ভালো খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।
 কঠিন সময়ে স্যার অ্যালেক্স কীভাবে সাহায্য করে থাকেন?
রুনি: তিনি খুবই অভিজ্ঞ ও বড় মাপের ম্যানেজার। তিনি জানেন কোন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে আর কোন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চিৎকার করা প্রয়োজন। তিনি জানেন খেলোয়াড়েরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় আর কীভাবে তাদের মধ্য থেকে সেরাটা বের করে আনা যায়। আমি মনে করি, এই যুগে এই জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ। খেলাটি নিয়ে তাঁর চিন্তা-ধারণা, দায়বদ্ধতা ও ভালোবাসা থেকে খেলোয়াড়েরা অনেক কিছুই শিখতে পারে। আমার কাছে তিনি অমিত প্রতিভাবান কোচ। আমাদের দলের জন্য তিনি বিশাল এক নেতা।
 জাতীয় দল ও ইউরো ২০১২ নিয়ে কী ভাবছেন? ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ থেকে এমন কিছু কি শিখেছেন যেটা পোল্যান্ড ও ইউক্রেনে কাজে লাগবে?
রুনি: দল ও খেলোয়াড় হিসেবে আমরা আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে থেকেই টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি। আমি মনে করি (২০১০ বিশ্বকাপে) জার্মানির সঙ্গে যেমন ছিলাম তার চেয়ে আমরা এখন বেশ ভালো। টুর্নামেন্ট জেতাই আমাদের লক্ষ্য। সর্বশেষ ইংল্যান্ড শিরোপা জিতেছিল সে অনেক দিন আগে। আমরা এবার ইতিহাস সৃষ্টি করতে চাই। এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
 উয়েফা আপনার নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে দুই ম্যাচ করেছে। আপনি কি মনে করেন আপনাকে তরতাজা পেয়ে শেষ গ্রুপ ম্যাচে ও নকআউট পর্বে ইংল্যান্ড উপকৃত হবে?
রুনি: আমি যে দুটো ম্যাচে থাকছি না সেই দুই ম্যাচেও ইংল্যান্ড ভালো করবে। এরপর ম্যানেজার আমাকে দলে নেবেন, এটাই আশা করি। আর সুযোগ পেয়ে চেষ্টা করব দলকে ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট জেতাতে। এটাই আমার লক্ষ্য। দলগতভাবেও আমাদের সে চেষ্টাই করা উচিত। এটা নির্ভর করছে চূড়ান্ত পর্বে যিনি ম্যানেজার থাকবেন তাঁর ওপর।
ভাষান্তর: সোলায়মান পলাশ

No comments

Powered by Blogger.