বিলুপ্তপ্রায় ‘উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি’ উদ্ধার

বান্দরবান থেকে গত শুক্রবার বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির একটি বড় ‘উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি’ উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার তা কক্সবাজারের চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) তোছিবুল বারী খান জানান, শুক্রবার জেলা শহরের কাছাকাছি সাইঙ্গ্যাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কেজি ওজনের কাঠবিড়ালিটি উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘদিন পার্বত্য বনাঞ্চলে কাজ করলেও এত বড় উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি আগে দেখা যায়নি। সাধারণত গহিন বনাঞ্চলে, বিশেষ করে কুমারী বনে (ভার্জিন ফরেস্ট) উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি থাকে। সম্ভবত দেশের একমাত্র কুমারী বন সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কেউ পাচারের উদ্দেশে সেটি ধরে এনেছিল।
ডিএফও তোছিবুল বারী বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ওই কাঠবিড়ালির পিঠের অংশের রং বাদামি ও কিছুটা সাদা, বুকের রং লালচে খয়েরি। লম্বা লেজের মাথার অংশ কালচে রঙের। মাথা বাদুড়ের মাথার মতো। দুই হাত ও দুই পায়ে প্যারাসুটের মতো স্থিতিস্থাপক চামড়া সংযুক্ত। এই চামড়া প্যারাসুটের মতো ফুলিয়ে হাওয়ায় ভেসে এক গাছ থেকে আরেক গাছে চলাচল করে এ কাঠবিড়ালি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বন্য প্রাণী নিয়ে গবেষণারত ওয়াল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের (ডব্লিউটিবি) গবেষক সুপ্রিয় চাকমা বলেন, চাকমা ভাষায় এটিকে ‘ছলক’, বাংলায় ‘বড় বাদামি উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি’ আর ইংরেজিতে বলা হয় ‘রেড জায়ান্ট ফ্লাইং স্কুইরেল’। এর বৈজ্ঞানিক নাম প্যাটরিস্টা প্যাটরিস্টা।
ডব্লিউটিবির প্রধান নির্বাহী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, উড়ুক্কু কাঠবিড়ালি যেসব খাবার খায় তার বীজ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে গিয়ে প্রতিনিয়ত বন সৃষ্টি করে। তাদের সংরক্ষণে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার।

No comments

Powered by Blogger.