বৃত্তের ভেতরে বৃত্ত-অদক্ষ রেল খাত, দক্ষ মন্ত্রী by দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু

দীর্ঘদিন যাবৎ নানা মহল থেকে দাবি উত্থাপিত হয়ে আসছিল রেল খাতকে পৃথক করে মন্ত্রণালয় গঠন করার। মহাজোট সরকার বিলম্বে হলেও এর গুরুত্ব অনুধাবন করে কাজটি সম্পাদন করেছে। সঙ্গে সঙ্গে একজন মন্ত্রীও নিয়োগ পেয়েছেন এ মন্ত্রণালয়ে, যিনি শুধু বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ানই নন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং পোড়খাওয়া দূরদর্শী রাজনীতিকও বটে।

একটি রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞ, দূরদর্শী, পরীক্ষিত রাজনীতিকদের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য হলেও বর্তমান মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভায় সে সংখ্যা বেশি নয়। এই তালিকায় নতুন সংযোজিতদের মধ্যে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ভেঙেপড়া সড়ক ব্যবস্থার ভঙ্গুর চিত্র পাল্টাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমন সময় ঘুণে ধরা রেলখাতের দায়িত্ব নিলেন, যখন সরকারের শাসনকালের মেয়াদ দুই বছরেরও কম। এই পরিস্থিতিতে নবগঠিত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে তিনি বাংলাদেশ রেলওয়েকে কতটা চাঙ্গা কিংবা পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হবেন, সেটি কঠিন প্রশ্ন বটে। তবুও দেশের মানুষের প্রত্যাশা, নানা কারণে যাঁরা রেলবিমুখ হয়েছেন, তাঁদের তিনি পুনর্বার রেলমুখী করতে সক্ষম হবেন তাঁর উজ্জ্বল রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং দূরদর্শিতার মাধ্যমে। প্রতিকূলতা-প্রতিবন্ধকতার প্রাচীর ডিঙিয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সফল হবেন- এ রকম শুভ কামনা করেন অনেকেই।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা সংস্থাগুলো দিন দিন কেন মুখ থুবড়ে পড়ছে- এ প্রশ্নের জবাব জটিল কিছু নয়। অদূরদর্শী, অনভিজ্ঞ আর অসাধু অনেকেই এসব সংস্থায় ঘুরে-ফিরে স্থান পেয়েছেন কিংবা পাচ্ছেন বলেই চিত্র এত অনুজ্জ্বল। বিমানের বর্তমান অবস্থার কথা তো নতুন করে বলার আর কিছু নেই। সড়ক পথে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির দশাও সচেতন কারোরই অজানা নয়। এক পর্যায়ে বিআরটিসি রাজধানীর ভেতরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লেও এখন আবার নতুন করে এর চলাচলের গণ্ডি বিস্তৃত করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে সংস্থাটিতে নতুন অনেক পরিবহন যুক্ত হলেও এর ব্যবস্থাপনা এবং সেবার মান নিয়ে প্রশ্নের অবসান এখনো ঘটেনি। বাংলাদেশ রেলওয়েও যেন একই পথে। ট্রেনের নির্ধারিত সময়সূচি, সেবার সার্বিক গুণগতমান, যাত্রাপথে নানা রকম ভোগান্তি ও নিয়মনীতির ব্যত্যয় ইত্যাদি কারণে যাত্রী সাধারণ রেলওয়ের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। জনবল সংকট সংস্থাটির পুরনো সমস্যা এবং তা ক্রমেই প্রকট রূপ ধারণ করছে। দুর্মুখেরা বলেন, আসলে রেল যেভাবে চলছে, একে চলা না বলে বরং বলা ভালো, রেল শুধু খোঁড়াচ্ছে। রাষ্ট্রীয় এতবড় এই পরিবহন সংস্থার এমন দুরবস্থা এক দিনে হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই রেল বিবর্ণ হতে শুরু করলেও তা প্রকট আকার ধারণ করে ১৯৮২ সাল থেকে। অতীতের গৌরবময় বাংলাদেশ রেলওয়ে ধীরে ধীরে দেশবাসীর কাছে যেন স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশভারতের বর্তমান ভারতীয় ভূখণ্ডে যখন রেলওয়ের সূচনা হয়েছিল, ঠিক এর ৯ বছর পর বাংলাদেশের এ ভূখণ্ডে রেল যাত্রা শুরু করে। ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে কালক্রমে ইস্ট পাকিস্তান রেলওয়ে এবং অবশেষে বাংলাদেশ রেলওয়েতে পরিণত হয়। কিন্তু ভারতের রেলওয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রেলওয়ের একটি মৌলিক পার্থক্য প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। এই পার্থক্য হলো, ভারতের রেল যোগাযোগ বিস্তৃত হয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেলওয়েতে পরিণত হয়েছে আর বাংলাদেশে ক্রমেই তা সংকুচিত হতে হতে এখন অনেক প্রশ্ন দাঁড় করিয়েছে। বিজ্ঞ কিংবা দক্ষ রাজনীতিক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এসব বিষয় অজানা থাকার কথা নয়। এসব বিষয় তাঁর মতো রাজনীতিকের দায়িত্ব নিয়ে নয় বরং অনেক আগে থেকেই নিশ্চয় জানা আছে।
যোগাযোগের অন্যতম নিরাপদ, সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও পণ্য পরিবহনে ব্যাপক শক্তি সঞ্চালক মাধ্যম রেলওয়ের চিত্র বিবর্ণ হতে হতে এতটাই অনুজ্জ্বল হয়ে পড়েছে যে এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী উজ্জ্বল, দূরদর্শী রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছে এখন এটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। একে একে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, রেলওয়ের বিপুল সম্পদ ও সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে, ট্রেনের কামরা থেকে শুরু করে রেলওয়ের অফিসে পর্যন্ত দুর্নীতিবাজ, স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতাবানরা জেঁকে বসেছেন। চোরাকারবারি, মাদক ব্যবসায়ী আর দুর্বৃত্তদের দাপাদাপির কারণেও রেলবিমুখ হয়ে পড়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তাঁরা সড়ক পথই বেছে নিয়েছেন। রেলের সার্বিক দুরবস্থার সুযোগে কোনো কোনো স্বেচ্ছাচারী সড়ক পরিবহন ব্যবসায়ী নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষের পকেটও কাটছেন কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই। তবে তাদের সেবার মান ও সময়সূচি ট্রেনের চেয়ে উন্নত- এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। অন্যদিকে প্রকল্পের ভারে রেলখাত ন্যুব্জ। সিংহভাগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি, কোনো কোনোটি বন্ধ হয়ে গেছে কিংবা মাঝপথে থেমে আছে। অর্থ এ ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান সমস্যা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন স্থাপন প্রকল্প অর্থের অভাবে ঝুলে গেছে। অথচ এ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারভুক্ত একটি বহুল আলোচিত প্রকল্প। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এক হাজার ৮০০ কোটি টাকার এ রেল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত দুই দফায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ২০ কোটি টাকা! এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু করা যায়নি! এটি একটি মাত্র দৃষ্টান্ত। এ রকম দৃষ্টান্ত দেওয়া যাবে অনেক। রেলের উন্নয়নের ব্যাপারে সরকারের তরফে এ যাবৎ উচ্চারণসর্বস্ব অঙ্গীকার-প্রতিশ্রুতি কম না মিললেও বাস্তবতা বড় বেশি প্রশ্নবোধক। এ অবস্থায় রেলমন্ত্রী তাঁর ইমেজ, দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক বিচক্ষণতা কিংবা দক্ষতা দিয়েই কি শুধু অনুজ্জ্বল কিংবা অদক্ষ রেল খাতকে উজ্জ্বল করতে পারবেন? তিনি যদি তাঁর স্বপ্ন-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চান তবে সর্বাগ্রে যা দরকার অর্থাৎ অর্থ, তা কি মিলবে সহজে? স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পেরই যে বেহাল দশা, সেখানে অন্য কিছু তো পরের ব্যাপার। উল্লেখ্য, দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর পরামর্শ কিংবা স্বার্থান্বেষী চাপও এই খাতটিকে আরো বিবর্ণ হতে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
২৬ জানুয়ারি, ২০১২ আন্তনগর জয়ন্তিকা এঙ্প্রেসে সিলেট যাচ্ছিলাম। রেলের দুরবস্থার প্রসঙ্গ উঠতেই একজন যাত্রী সবাইকে ছাপিয়ে উচ্চ স্বরে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় বললেন, 'ওমলা আর চলব না, বাবু সুরঞ্জিতের হাতে গেছে রেল, দেইখুন এইবার কিতা হয়!' রেলমন্ত্রীকে ঘিরে ওই যাত্রীর আবেগ ও আস্থার যে বহিঃপ্রকাশ সেদিন প্রত্যক্ষ করেছি, এর পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দেওয়া আমার পক্ষে দুরূহ। একজন প্রকৃত রাজনীতিককে ঘিরে সাধারণ মানুষের এমন প্রত্যাশা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিংবা সমাজে খুবই স্বাভাবিক। আর এখানেই একজন রাজনীতিকের সার্থকতা। কিন্তু প্রত্যাশাকারীরা কোনোভাবেই আমলে নিতে রাজি নন, এ দেশে সীমাবদ্ধতার প্রাচীর অনেক উঁচু। কিন্তু এও সত্য, যে কারো সদিচ্ছা থাকলে এমন সীমাবদ্ধতার প্রাচীর ডিঙানোও দুরূহ নয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সদিচ্ছা কিংবা ঐকান্তিকতার কোনো অভাব নেই, তা অনেকেরই বিশ্বাস। সচেতন অনেকেই এও বিশ্বাস করেন, উজ্জ্বল রাজনীতিক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেল খাতের অনুজ্জ্বল চিত্র দূর করতে সক্ষম হবেন। তবে এও তো মনে রাখা দরকার, সময় খুব কম। এত কম সময়ে সমস্যা আর জঞ্জালের পাহাড় চাপা রেল খাতকে মন্ত্রী কতটা চাঙ্গা করতে পারবেন- এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আপাতত সামনের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া গত্যন্তর নেই। আপাতত দুর্মুখেরাও হয়তো স্বীকার করবেন, গত এক মাসে রেলের যাত্রীসেবার মান কিছুটা হলেও উন্নত হয়েছে এবং সময়সূচি রক্ষার তাগিদ বোধ করছেন সংশ্লিষ্টরা। আরেকটি বিষয় খুব গুরুত্বের সঙ্গে মন্ত্রীর আমলে নেওয়া দরকার। বিষয়টি হলো, যাত্রীদের নিরাপত্তা। বিশ্বব্যাপী গণপরিবহন হিসেবে রেলওয়ে এখনো তালিকার শীর্ষে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, অতীতের সরকারগুলো রেলওয়ের প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। অলাভজনক উল্লেখ করে বিভিন্ন স্থান থেকে রেল লাইন তুলে ফেলা হয়েছে বা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, এমনকি বেশ কিছু খাদ্যগুদাম, সার কারখানা থেকেও রেল লাইন তুলে ফেলা হয়েছে! অথচ ট্রাকের চেয়ে রেলগাড়িতে মালামাল পরিবহনের খরচ অনেক কম। রেল কারখানাগুলোর উৎপাদন-ক্ষমতা ব্যবহার না করে কারখানাগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে! ফলে দেশের অন্যতম এ পরিবহন খাতটি অসুস্থ হতে হতে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এরপর যদি অভ্যন্তরীণ নানা অনিয়ম, চুরি, লুটতরাজ, অনৈতিক কাজ চলতে থাকে তাহলে কয়েক বছর পর বাংলাদেশের পরিবহন খাতে রেলওয়ের কোনো অবস্থান থাকবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। যাত্রীদের রক্ষা করার, ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব যাদের হাতে, সেই রেলওয়ে পুলিশ যদি মাদক পরিবহন আর চুরি-ডাকাতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, তাহলে নিরাপত্তা কে দেবে? এ রকম ঘটনা ইতিমধ্যে অনেক ঘটেছে। মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের কারণে যেখানে আমাদের তরুণ সমাজ ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে, সমাজে খুন-খারাবি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে, বহু মা-বাবার ঘুম হারাম হয়ে গেছে- সেখানে রাষ্ট্রের একটি অন্যতম গণপরিবহনে এ ধরনের নৈরাজ্য চলতে পারে না, চলতে দেওয়া যায় না।
রেলের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে পরিকল্পিত দূরদর্শী উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। রেল খাতকে চাঙ্গা করতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। যে দুষ্টচক্র রেলের ওপর চেপে বসে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বিপুল ক্ষতি করছে, যাত্রীদের রেলবিমুখ করছে, তাদের মূলোৎপাটনও জরুরি। রেলের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা দুই-ই যথেষ্ট হওয়া সত্ত্বেও খাতটি কেন শ্বেতহস্তীতে পরিণত হচ্ছে, এর জবাব অনুসন্ধানক্রমে কঠোর প্রতিকার সময়ের দাবি। এখন যেহেতু রেলওয়ে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, সেহেতু রেলওয়ের উন্নয়নসহ সার্বিক চিত্র উজ্জ্বল করতে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়া বোধ করি দুরূহ বিষয় নয়। লোকসানি প্রতিষ্ঠান থেকে রেলওয়েকে লাভজনক করার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন বিনিয়োগ। এর বিকল্প নেই। রেলওয়ে আবার যাত্রীসাধারণের উন্নত সেবার প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়াবে- এ প্রত্যাশা এখন সংগতই অনেক বেশি। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি এবং অভ্যন্তরীণ পরিবহন বৈশিষ্ট্য অনুসারে রেলওয়ে হচ্ছে সবচেয়ে উপযুক্ত পরিবহন। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির কলকাঠি নাড়ার কারণে ক্রমেই খাতটি বিবর্ণ হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণ করে যদি তা বাস্তবায়ন না করা হয়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় যদি তা ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে থাকে এবং তার নড়ন-চড়ন বন্ধ হয়ে থাকে- তাহলে প্রকল্প গ্রহণ করে লাভ কী? এত সব প্রশ্নের পরও প্রত্যাশা- অনুজ্জ্বল কিংবা অদক্ষ রেল খাত উজ্জ্বল কিংবা দক্ষ রাজনীতিক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রচেষ্টায় চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

লেখক : সাংবাদিক
deba_bishnu@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.