শিকু ও ইকরির রান্না রান্না খেলা

সিসিমপুর একটা মজার জায়গা। ছয় বছরের মেয়ে টুকটুকি স্কুলে যায়, পড়তে ভালোবাসে। তিন বছরের ইকরি প্রশ্ন করতে ভালোবাসে। ছয় বছরের শিকু, নেশা তার আবিষ্কার। প্রকৃতিপ্রেমী হালুমের প্রিয় মাছ-সবজি। এ ছাড়া রয়েছে দোকানদার গুণী ময়রা, লাইব্রেরিয়ান আশা, খামারি মুকুল, স্কুলশিক্ষক সুমনা, ফেরিওয়ালা বাহাদুর, গরু পার্বতী, মোরগ শেরালী,


মুরগি বিজলি আর দুই ভেড়া—মানিক ও রতন। এদের নিয়েই সিসিমপুরের গল্প, যা ছাপা হচ্ছে গোল্লাছুটে

শিকু তার উঠানে বসে রান্না রান্না খেলছে। তার চারপাশজুড়ে ছোট ছোট হাঁড়ি-পাতিল। শিকু একটা ছোট্ট চুলায় ছোট্ট হাঁড়িতে অল্প বালু চাপিয়ে রান্না করছে। আর ছোট্ট একটা চামচ দিয়ে নাড়ছে। এত আয়োজন দেখে ইকরি শিকুর কাছে এসে বসল। তারপর জিজ্ঞেস করল, শিকু, কী করছ?
শিকু চোখ মুছতে মুছতে বলল, রান্না করছি ইকরি। ওফ্, রান্না করা এত ঝামেলা!
ইকরি বলল, ইকরি তো দেখেই বুঝেছে তুমি রান্না করছ। কিন্তু ইকরি জানতে চায় তুমি কী রান্না করছ?
শিকু চামচ নাড়াতে নাড়াতে বলল, অনেক রান্না ইকরি.. ভুনা খিচুড়ি, মুরগি আর ইলিশ মাছ।
ইকরি খুশি গলায় বলল, বাহ্, দারুণ! ইকরিও রান্না করবে। শিকু বলল, চমৎকার। তারপর দুজনে মিলে মজা করে রান্না করা শুরু করল।
ইকরি তার নরম পেটে হাত বুলিয়ে বলল, এত মজার মজার খাবার... দেখেই তো খিদে পেয়ে গেল!
শিকু বলল, কোনো চিন্তা নেই ইকরি। রান্না শেষ, এক্ষুনি খেতে দিচ্ছি।
শিকু ছোট্ট ছোট্ট থালায় খাবার বাড়ল। সে একটা থালা ইকরির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, নাও ইকরি, খাও!
ইকরি খুব আগ্রহের সঙ্গে খাবার নিল। ইকরির সঙ্গে শিকুও খেতে বসল। ইকরি হাপুস-হুপুস করে খাওয়ার ভান করল। শিকুও খাওয়ার ভান করতে করতে বলল, খেতে কেমন হয়েছে ইকরি?
ইকরি হেসে বলল, খুব মজা হয়েছে শিকু। তুমি খুব ভালো রান্না করো।
শিকু ইকরিকে ধন্যবাদ জানাল।
ওরা খাওয়া শেষ করল। ইকরি আবার তার নরম পেট নাড়তে নাড়তে বলল, শিকু, ইকরি এত খেল, তবু পেট ভরল না!
শিকু তার ঝাঁকড়া লেজ নাড়িয়ে হেসে বলল, আমরা তো এতক্ষণ রান্না-খাওয়া খেললাম ইকরি। পেট ভরানোর জন্য চলো এবার সত্যিকারের খাবার খাই!
ইকরিও হেসে বলল, চলো।

No comments

Powered by Blogger.