শতভাগ সাফল্যের দাবি প্রসঙ্গে কিছু কথা by মোহাম্মদ মতিন উদ্দিন


সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির পাশাপাশি শেখ হাসিনা ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার লাভ করেছেন। চুক্তির শর্তে কি লেখা আছে সেটা তিনি জানেন এবং জেনেশুনেই এই চুক্তি তিনি করেছেন এবং বলছেন এই চুক্তিতে শতভাগ সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
এ সাফল্য কার আগামী দিনগুলোতেই দেশবাসী সেটা ভালোভাবেই টের পাবেন, তখন বোঝা যাবে শেখ হাসিনার শতভাগ সাফল্যের সুর কার জন্য আনন্দের এবং কার জন্য অস্তিত্ব সঙ্কটের।
চারদিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সফর বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। এ সফরে যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা কেবল ভারত ও বাংলাদেশের জন্য নয় এ অঞ্চলের দরিদ্র জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে অবদান রাখবে। তার এ সফর শতভাগ সফল বলে তিনি মন্তব্য করেন। (সূত্র : আমাদের সময়, ১৪ জানুয়ারি, ২০১০ সাল)।
চারদিনের জন্য ভারত সফরে গিয়ে তিনি যে তিনটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছেন সেটা কার জন্য শতভাগ সাফল্য বয়ে এনেছে সেটাই এখানে দেখার বিষয়। এ শতভাগ সাফল্য যদি বাংলাদেশের জনগণের হয়ে থাকে তবে সেটা আমাদের জন্য অবশ্যই আনন্দের; কিন্তু সেটা যদি না হয়ে এসব চুক্তি ও সমঝোতা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জন্য শতভাগ সাফল্য বয়ে আনে তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মুখে শতভাগ সাফল্যের দাবি যে সুর বাজছে সেই সুর আনন্দের না হয়ে দেশের জনগণের জীবন অস্তিত্বের ক্ষেত্রে করুণ সুর হিসেবেই প্রতিধ্বনিত হবে।
জাতীয় দৈনিক সমূহকে চুক্তি সম্পর্কিত যে তথ্য আমরা পেয়েছি তাতে দেখা যায় আশুগঞ্জ দিয়ে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের বহুল প্রত্যাশিত ভারতের দাবিও পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া দু’দেশ নিরাপত্তা, অপরাধ দমন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত তিনটি চুক্তি, বিদ্যুত্ বিনিময় ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বিনিময় সংক্রান্ত দুটি সম্মত কার্যবিবরণীতে তিনি স্বাক্ষর করেন। যৌথ ঘোষণায় ভারত টিপাইমুখ প্রকল্পে বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলেও অঙ্গীকার করেছে। বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া, ত্রিপুরায় নতুন বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন ও আন্তঃদেশীয় বিদ্যুত্ সঞ্চালন লাইন স্থাপন সাপেক্ষে ২৫০ মেগাওয়াট আমদানির সুযোগ এবং বাংলাদেশের আরও কিছু পণ্যকে ভারতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় প্রবেশের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও যৌথ ঘোষণাকে ভারতীয় আধিপত্যবাদের কাছে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। তারা বলেছেন, শান্তি পদকের বিনিময়ে শেখ হাসিনা দাসখত দিয়ে ভারতের সব চাহিদা পূরণ করেছেন। ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু আদায় করে নিয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রত্যাশাগুলো ভবিষ্যতের জন্য ঝুলিয়ে রেখেছে। মূলত নির্বাচনের আগে ভারতের কাছে দেয়া অঙ্গীকারই পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা-মনমোহনের দিল্লি ঘোষণা প্রমাণ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন দিল্লির বাক্সবন্দি হয়ে পড়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ-নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেতে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল, মনিপুর, কাশ্মির প্রভৃতি রাজ্যের জনগণের স্বাধীনতার সংগ্রামকে সন্ত্রাস হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তা দমনে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে সহায়তা দেয়ার চুক্তি করে শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার ওইসব রাজ্যের মুক্তিকামী জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ভারত কর্তৃক আন্তর্জাতিক নদী গঙ্গায় ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হতে চলেছে। হাসিনা-মনমোহন ঘোষণায় তাই বাংলাদেশের ক্ষতি না করে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে না। ভারতকে ট্রানজিট এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের এ দুটি বন্দরের ওপর কার্যত ভারতীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আইনি কাঠামো দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় রাষ্ট্র ক্ষমতাধরদের অতীত কার্যকলাপ বিবেচনা করলে একটা বিষয় স্পষ্ট ধরা পড়ে সেটা হচ্ছে ভারত তার স্বার্থের প্রশ্নে কোনো ছাড় দিতে রাজি না হলেও অন্যের স্বার্থের প্রশ্নে আশ্বস্ত করতে ভালোবাসে। আশ্বাস বাস্তবে রূপ লাভ করে নাা কখনও। প্রথমত, ১৯৭৪ সালের ১৬ মে, রাষ্ট্রীয় সীমানা চিহ্নিতকরণ বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও প্রজাতন্ত্রী ভারত সরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ তার এলাকা ছেড়ে দিলেও ভারত সরকার চুক্তি অনুযায়ী তার এলাকার কোনো ছাড় দেয়নি বাংলাদেশকে। দু’টি সরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির বিষয়ে ভারতীয় সরকার যদি এহেন আচরণ করে তবে তার মৌখিক আশ্বাস যে মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয় একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার কথা বলে ভারত যা করেছে তা স্মরণ করলে ভারতীয় সরকারের প্রতি কোনো আস্থার বা বন্ধুত্বের প্রশ্নই উঠে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সিডর আক্রান্ত একটি গ্রাম নতুন করে গড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে ভারতের বর্তমান অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফরে এসে তখন চাউলের সঙ্কট নিরসনে ৬ লাখ টন চাউল সুলভমূল্যে বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করবে বলে অঙ্গীকার করে ছিল; কিন্তু পরে তা নিয়ে গড়িমসি করে। এই গড়িমসির সমালোচনার জবাবে তত্কালীন ভারতীয় হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ‘আমরা না খেয়ে আপনাদের কাছে চাউল বিক্রি করব, এমনটা আশা করবেন না।’
অতীতে ৬ সপ্তাহের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহার করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ; কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে ৬ ঘণ্টার জন্যও ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয়নি ভারত।
এই যখন অবস্থা তখন প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতকে বন্ধু বলে যারা এখন চিহ্নিত করতে চাচ্ছেন, তারা যে সচেতনভাবেই এ দেশের জনগণের স্বার্থের বিষয়টি গুরুত্বসহ ভাবছেন না, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের স্বার্থের প্রশ্নে কোনো ছাড় না দিয়ে যারা বারংবার প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন সেই ভারত সরকারকে যৌথ ঘোষণার নামো চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে, অনেকটা একতরফাভাবেই রেল, সড়ক ও নৌ ট্রানজিট এবং এসব সুবিদা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারতের আমদানি-রফতানির সুবিধা প্রদান করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের কথা না রাখার কথা জানা থাকা সত্ত্বেও এই কাজটি কেন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? এই প্রশ্নের উত্তর যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলে আগামীদিনে বাংলাদেশে কি হতে যাচ্ছে এই বিষয়ে ধারণা গড়ে তোলা কষ্টকর কিছু নয়।
আমরা এটা জানি যে, বাংলাদেশ প্রশ্নে পশ্চিমা পরাশক্তি এবং প্রতিবেশী আধিপত্যবাদী শক্তির চাওয়া এবং পাওয়াকে কেন্দ্র করেই ১/১১-এর মত ঘটনা এ দেশে ঘটানো হয়েছিল। তারই ধারবাহিকতা অটুট রাখার প্রয়োজনে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা কাজ করে চলেছে। স্বভাবতই বর্তমান রাষ্ট্র ক্ষমতাধররা তাদের ক্ষমতার প্রশ্নে যতটা না এ দেশের জনগণের উপর নির্ভরশীল, তার থেকে বেশি নির্ভরশীল পশ্চিমা পরাশক্তি ও প্রতিবেশী আধিপত্যবাদী শক্তির উপর। এ ক্ষেত্রে একটি নির্বাচন পূর্বসমঝোতা বিদ্যমান। তাইতো আমরা দেখেছি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সময় বর্তমান ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনার কিছু হলে তারা চুপচাপ বসে থাকবে না। আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ প্রশ্নে প্রতিবেশী দেশ ভারতের এই হুঙ্কার থেকেই বোঝা যায় বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্র ক্ষমতাধররা ক্ষমতাই টিকে থাকার প্রশ্নে প্রতিবেশী আধিপত্যবাদকে মেনে নিয়েছে। ভারতীয় সরকারের প্রতারণাপূর্ণ আচরণের বিষয়টি জানা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র রাষ্ট্রক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই শেখ হাসিনা ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে বড় করে দেখছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধানে নির্দেশিত বিষয়কে উপেক্ষা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেতে আসাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল, মনিপুর, কাশ্মির প্রভৃতি রাজ্যের জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। উলফা নেতা অরবিন্দ রাজখোয়াসহ আরও কয়েকজনকে ধরে অথবা ধরতে সহযোগিতা করে ভারতের হাতে তুলে দিতে তারা কোনো কুণ্ঠাবোধ করে নাই। ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির বদৌলতে এখন উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকেও ভারতের হাতে তুলে দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫খ ও ২৫গ লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাব অনুচ্ছেদ ২৫খ ও ২৫গ বলা হয়েছে, ২৫খ প্রত্যেক জাতির স্বাধীন অভিপ্রায় অনুযায়ী পথ ও পন্থার মাধ্যমে অবাধে নিজস্ব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও গঠনের অধিকার সমর্থন করিবেন; এবং
২৫গ- সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বের সর্বত্র নিপীড়িত জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামকে সমর্থন করিবেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবিধানের উপরোক্ত বিষয়গুলোকে অবজ্ঞা করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করে বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্র ক্ষমতাধররা প্রমাণ করলেন যে, রাষ্ট্রের সংবিধান তাদের ক্ষমতার ক্ষেত্রে কোনো মূল্য বহন করে না। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে নিজ দেশীয় স্বাধীনতার পণ্য সংগ্রামকে তিনি যে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেললেন—এটা মনে হয় তিনি সচেতনভাবে বোঝার চেষ্টা করেননি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বাদ মনে হয় সবকিছুর ঊর্ধ্বে, আর নীতি, নৈতিকতা, রাষ্ট্রীয় সংবিধান সবকিছুই তুচ্ছ। আমার মনে হয় এই কারণেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংবিধানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের জনগণের কাছে সরাসরি জবাবদিহি করবে কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এই সুযোগে বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য মহাশক্তিধরদের ছাড় দিয়েই চলেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের কার্যকলাপের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে—এ দেশের ক্ষমতাধররা সব সময়ই স্বৈরাচারী আচরণ করতে মোটেই পিছ পা হন না। অর্থাত্ এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার ভিত্তি এ দেশের রাষ্ট্রীয় সংবিধানের মধ্যেই বিদ্যমান। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধরদের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার সাংবিধানিক সুযোগ বন্ধের প্রশ্নে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি তবে এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাধররা নিজেদের পারিবারিক গোষ্ঠীগত স্বার্থেই কাজ করতে থাকবে। দেশ ও জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে তারা চুক্তি করবেন, আনন্দের সুরও বাঁশিতে বাজিয়ে ঘরে ফিরবেন; কিন্তু আমাদের করার কিছু থাকবে না। এই অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে মূল কাজে যদি আমরা হাত দিতে না পারি—তবে আগামী দিনগুলোতে আমাদের দেশে বিদেশি শক্তিগুলোর তাণ্ডবের ভয়াবহরূপ আমরা দেখতে পাব। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি করলেন এবং যৌথ ঘোষণা দিলেন তাতে করে বিদেশি শক্তিগুলোকে আমাদের দেশে ভয়াবহ তাণ্ডব সৃষ্টির পথ পরিষ্কার করে দেয়া হলো। এখন অপেক্ষা বিষয়টি প্রত্যক্ষ করার।

No comments

Powered by Blogger.