হাইকোর্টের রুল-তিতাস নদীতে বাঁধ নির্মাণ কেন অবৈধ নয়

তিতাস এবং এর ১৭টি শাখানদীতে বাঁধ নির্মাণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই সব বাঁধ কেন অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।


দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ১২ জানুয়ারি জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন। আদালতে তাঁর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং এ এইচ এম মুশফিকুর রহমান মামলা পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।
শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, সংবিধানের ৭ এবং ২১ অনুচ্ছেদে প্রাপ্ত এখতিয়ারবলে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করা হয়েছে। তিতাস নদীতে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীটিকে হত্যা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড আইন এবং পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সাংবিধানিক আদালত হিসেবে হাইকোর্ট বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জনস্বার্থে রিটটি করা হয়েছে। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের ফলে রিট আবেদনকারীর স্বার্থ কীভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে তা বলা হয়নি।
শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন। পরে আইনজীবী মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পানিসম্পদ ও যোগাযোগসচিবসহ সাত বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্য ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ নেওয়ার জন্য ২০১০ সালের শেষ দিকে তিতাস নদীর ওপর বাঁধ-সড়ক তৈরির কাজ শুরু হয়। ৪ জানুয়ারি ভারী যন্ত্রণাংশের শেষ চালানটি বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে আগরতলায় যায়। যে ভারতীয় কোম্পানিটি বাঁধ নির্মাণ করেছিল, তাদেরই ওই বাঁধ অপসারণ করার কথা ছিল।

No comments

Powered by Blogger.