চাক নরিস বৃত্তান্ত

০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন একটা সাক্ষাৎকার ছেপেছিল চাক নরিসের। সেখানে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘অনলাইন কাল্ট হিরো’ হিসেবে। আক্ষরিক অর্থেই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় মহাবিক্রমশালী চাক নরিস, যিনি অনায়াসেই একটা মাছকে পানিতে চোবাতে পারেন! কিংবা ডিলিট করতে পারেন কম্পিউটারের রিসাইকেল বিন! হাসছেন? খবরদার, চাক নরিস শুনলে আপনাকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে পারেন...পানির নিচে! মার্কিন এই মার্শাল আর্টিস্ট ও অভিনয়শিল্পীর
জন্ম ১৯৪০ সালে, ১০ মার্চে। ইউনাইটেড স্টেটস এয়ারফোর্স থেকে অবসর নেওয়ার পর মার্শাল আর্টের দুনিয়ায় পা রাখেন নরিস। তারপর গড়ে তোলেন ‘চান কুক দো’ নামের মার্শাল আর্টের স্কুল। ২০০৫ সাল থেকে ইন্টারনেটে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন ওয়ে অব দ্য ড্রাগন ছবির এই অভিনয়শিল্পী। ‘চাক নরিস ফ্যাক্টস’ নামে তাঁর এই কিংবদন্তিগুলো এককথায় অসম্ভব হাস্যরসে ভরপুর। চাক নরিস ফ্যাক্টসে অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতীয় অভিনয়শিল্পী রজনীকান্তও ইন্টারনেটে একই ধরনের ফ্যাক্টসের ডালি নিয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। ফেসবুকেও আজকাল দারুণ জনপ্রিয় এই রজনীকান্ত জোকস, যার অধিকাংশই চাক নরিস ফ্যাক্টস থেকে নেওয়া!

চাক নরিস সরলরেখা টানতে পারেন...কম্পাস দিয়ে।
চাক নরিস একবার একজনকে রক্তদান করেছিলেন। সেই মানুষটি এখন সুপারম্যান নামে সুপরিচিত।
চাক নরিসই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি একজন মানুষকে আগুনে পোড়াতে পারেন...পানির নিচে।
চাক নরিস একটা শব্দ ভুল উচ্চারণ করলেই নতুন একটা শব্দের উৎপত্তি হয়।
চাক নরিস একবার একটা গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিলেন। এতে ৫৯ জন নিহত হয়, তারপর গ্রেনেডটা বিস্ফোরিত হয়।
চাক নরিসের বাসায় মাদাম তুসোর একটা মোমের মূর্তি আছে।
চাক নরিস প্রতিদিন সকালে তিনবার অসীম পর্যন্ত গোনেন।
সময় এবং স্রোত চাক নরিসের জন্য অপেক্ষা করে।
যখন কেউ বলে, ‘নো ওয়ান ইজ পারফেক্ট’, তখন চাক নরিস এটাকে ব্যক্তিগত অপমান হিসেবে বিবেচনা করেন।
পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে পানি এসে গেছে? চাক নরিস সেই পেঁয়াজকেই কাঁদাতে পারেন।
কম্পিউটারের রিসাইকেল বিন ডিলিট করতে পারেন চাক নরিস।
মানুষ টেলিফোনের তার গলায় পেঁচিয়ে একজনকে মেরে ফেলতে পারে, চাক নরিস একই কাজ সারতে পারেন কর্ডলেস টেলিফোন দিয়েই।
যেকোনো জাতের মাছকে পানিতে চোবাতে পারেন চাক নরিস।
চাক নরিস কোনো রুমে পা রাখলে আপনা-আপনি সেই রুমের সব বাল্ব জ্বলে ওঠে। কাকতালীয় ব্যাপার ভাববেন না, ব্যাপার হলো, অন্ধকার চাক নরিসকে দেখে ভয়ে পিঠটান দেয়।
একবার একটা বিষধর সাপ চাক নরিসের পায়ে কামড় দিয়েছিল...পাঁচ দিন অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করার পর সাপটির ইহলীলা সাঙ্গ হয়েছিল।
চাক নরিসের কখনো হার্ট অ্যাটাক হয়নি। কারণ, তাঁর হার্ট এতটা বোকা নয় যে তাঁকে অ্যাটাক করবে।
প্রয়োজন হলে চাক নরিস আপনাকে মারবে না। সে পুরোনো দিনে ফিরে যাবে, আচ্ছা মতো একটা ঘুষি মেরে আসবে আপনার মায়ের পাকস্থলী বরাবর।
নিউটনের তৃতীয় সূত্র মিথ্যা। কারণ, সবকিছুরই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকলেও চাক নরিসের ঘুষির বিপরীতে কিছু নেই।
চাক নরিসের ক্যালেন্ডারে ৩১ মার্চের পরের তারিখ ২ এপ্রিল। কারণ, কেউই তাঁকে বোকা বানাতে পারে না।
চাক নরিস লিখে গুগলে সার্চ করলে আগে দেখাত, No one can find Chuck Norris। এটা বিখ্যাত একটা ইস্টার এগ ছিল গুগলের।
মানুষ যে পরিস্থিতিতে পড়ে ‘ও গড! ও গড!!’ বলে, গড সে পরিস্থিতিতে পড়ে বলে, ‘ও চাক নরিস! ও চাক নরিস!!’

No comments

Powered by Blogger.