যে খবর নাড়া দেয়-ইচিং বিচিং

মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছেন! উফ! পাখির মতো দুই ডানায় ভর করে যেন উড়ছে! যে দুটি মেয়ে হাতের ওপর হাত বেঁধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, তাদের একজনের ভ্রু গেছে কুঁচকে। ওদের হাতের সঙ্গে উড়ন্ত মেয়েটির পায়ের স্পর্শ হলেই তো সব শেষ! হেরে যাবে আমাদের পাখি!
বহুদিন পর ‘ইচিং বিচিং’ খেলাটির নাম দেখে স্মৃতিকাতর হয়ে উঠবেন অনেকে। না, শুধু মেয়েরাই নয়; ছেলেদেরও কেউ কেউ স্মৃতির স্পর্শ পাবেন। দেখুন না, বরিশালের পলাশপুরের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলেরাও কী আগ্রহ নিয়ে দেখছে খেলাটি! বড়দেরও নিশ্চয় কানামাছি ভোঁ ভোঁ, ছি কুত কুত, গোল্লাছুট, দাঁড়িয়াবান্ধা প্রভৃতি খেলার কথা মনে পড়ে যাবে। এখনকার শিশুরা কি প্রাণভরে খেলতে পারে খেলাগুলো? যেদিন ছবিটি তোলা হয়, সেদিন ছিল শিক্ষকদের ধর্মঘট। এ কারণে ক্লাসের সময়েই খেলতে পারছে শিশুরা। ওরা কি বিকেলেও খেলতে পারে?
আচ্ছা, শিশুরা কি এখনো খেলে? সারা দিন পড়াশোনা নিয়ে যে চাপের মধ্যে থাকতে হয় ওদের, তাতে খেলার সময় কই? বড় বড় শহরের মাঠগুলোও তো হারিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। শিশুরা খেলবে কোথায়? খেলবে কখন?
তার পরও মন চায়, শিশুরা খেলার মাঠে নিজেদের ব্যস্ত রাখুক। যেটুকু অবকাশ পাওয়া যায়, মাঠের ধুলাবালি-কাদার সঙ্গে একাত্ম হোক। পাখির মতো উড়ুক, ঘোড়ার মতো ছুটে বেড়াক। শৈশব হোক এ ছবিটির মতো আনন্দময়। ছবিটি প্রথম আলোর ‘বিশাল বাংলা’ পাতায় ছাপা হয়েছিল ১৭ জানুয়ারি। অথচ ছবিটি চোখ থেকে সরতেই চাইছে না একেবারে।
 জাহীদ রেজা নূর

No comments

Powered by Blogger.