উগ্রপন্থীর সঙ্গে যোগাযোগ-সেনা কর্মকর্তার বিচার চলছে

নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরসহ উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া লে. কর্নেল হাসিনুর রহমানের বিচার চলছে সামরিক আদালতে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আলী যায়ীদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। গত বছরের জুলাই মাসে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।


সেনাসূত্র জানায়, হাসিনুর রহমান ও আবদুল্লাহ আলী যায়ীদ গ্রেপ্তারের সময় ময়মনসিংহে অবস্থিত আর্মি রিসার্চ ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে (আর্ট ডক) কর্মরত ছিলেন। তাঁরা বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ১০তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের (লং কোর্স) মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। হাসিনুর রহমান দীর্ঘদিন র‌্যাব-৯-এর অধিনায়ক ছিলেন।
সম্প্রতি আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীতে কর্মরত লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আলী যায়ীদ ও লে. কর্নেল হাসিনুর রহমানকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সেনা আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের গ্রেপ্তারের পরই এসব ঘটনা তদন্তে গত ১১ জুলাই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত আদালত গঠন করা হয়। তদন্ত আদালতের সুপারিশের ভিত্তিতে হাসিনুরের বিরুদ্ধে গত ১১ ডিসেম্বর একটি ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল গঠন করা হয়। এই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের শুনানি চলছে।
সেনাসূত্র জানায়, একজন ব্রিগেডিয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি সামরিক আদালতে হাসিনুর রহমানের বিচার চলছে। হরকাতুল জিহাদের নেতা মাওলানা ইয়াহিয়ার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করা, হিযবুত তাহ্রীরের তিন সদস্যের সঙ্গে দেখা করা, চট্টগ্রামে একজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির ব্যাপারে টেলিফোনে বিদেশির সঙ্গে ফোনালাপ করা, পার্বত্য চুক্তিবিরোধী একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, সেনা অভিযানের খবর ফাঁস করে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে হাসিনুরের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ নিয়ে একজন আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলেছেন হাসিনুর। পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানা গেছে। তবে হাসিনুরের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।
গ্রেপ্তার হওয়া আরেক কর্মকর্তা যায়ীদের ছোট ভাই আবদুল্লাহ আলী জাবিদ প্রথম আলোকে বলেন, গত ১০ জুলাই ঢাকা সেনানিবাসের বাসভবন থেকে তাঁর ভাইকে আটক করা হয়। এরপর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁরা কিছুই জানতে পারেননি। তাঁর বিচারও শুরু হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.