ওবামাকে গ্রেপ্তারের কৃত্রিম ভিডিও পোস্ট করে ট্রাম্প: আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়
ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন কয়েক সপ্তাহ আগে ওবামার বিরুদ্ধে ট্রাম্প ‘উচ্চপর্যায়ের নির্বাচনী জালিয়াতি’র অভিযোগ তোলেন। এর আগের সপ্তাহে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড দাবি করেন, তার হাতে চমকপ্রদ ও অপ্রতিরোধ্য প্রমাণ আছে যে, ওবামা প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তারা ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর ট্রাম্প-রাশিয়া যোগসাজশ তত্ত্ব সাজিয়েছিলেন। যাতে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি ঠেকানো যায়। তিনি সাবেক ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ার আহ্বান জানান। গ্যাবার্ড এক্সে লিখেছেন, আমেরিকানরা অবশেষে সত্য জানবে- ২০১৬ সালে ওবামা প্রশাসনের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা কীভাবে গোয়েন্দা তথ্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কার্যত একটি বহু বছরের অভ্যুত্থানের পথ সুগম করেছিলেন, যা আমেরিকার জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করেছে এবং আমাদের গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে দুর্বল করেছে।
তবে ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের দপ্তর একটি ১১৪ পৃষ্ঠার নথি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর নির্বাচনের আগেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করেছিল যে, রাশিয়া সাইবার মাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রভাব ফেলছে- এমন কোনো প্রমাণ নেই।
নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টের দৈনিক প্রতিবেদনের খসড়ায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী অবকাঠামোর বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালিয়ে সাম্প্রতিক মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল প্রভাবিত করেনি।

No comments