এমন কারণেও মানুষ খুন করা যায়! by সাজেদুল হক

ছেলেটার মুখের দিকে তাকানো যায় না। বিশ্বাস করা যায় না ওকে খুন করা হয়েছে। সত্যি ‍কি তাকে  খুন করা হয়েছে? নাকি আমরা কোন দুঃস্বপ্ন দেখছি। একটু পরেই ঘুম ভেঙে যাবে। জেগে দেখবো না আবরার ফাহাদ মরেনি। ও বেঁচে আছে। সকাল সকাল মায়ের সাথে কথা বলেছে। একটু পরেই ক্লাসে যাবে।
আমাদের দুঃস্বপ্ন কেটে যাবে। তা অবশ্য হওয়ার নয়।
সকালে ঘুম ভাঙতেই শুভ সকাল জানায় বাংলাদেশ। আবরার ফাহাদের হত্যার সংবাদের মধ্যদিয়ে। ছেলেটা নটরডেমের ছাত্র ছিল। পড়তো বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে। যে কোন বিচারেই বাংলাদেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের একজন। এখনও পর্যন্ত যতদূর জানা গেছে, হল ছাত্রলীগের ‘আদালতেই’ কার্যকর হয়েছে তার মৃত্যুদণ্ড! কী অবলীলাতেই না বলে ফেললাম! মুহুর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেলো একজন ছাত্র, একটি পরিবারের স্বপ্ন, ভবিষ্যত, বর্তমান। সবকিছু শেষ হয়ে গেলো! কিছু অমানুষের হাতে। ভাবা যায় না ওরাও বুয়েটে পড়তো। কী দোষ ছিল ছেলেটির! ফেসবুকে তার একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে। একবার দেখা যাক কী লিখেছে সে-১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে। ২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চায় না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব। ৩. কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তর ভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব। হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’
এই লেখার জন্য কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায়??? আবরার কখনও দূর কল্পনাতেও ভেবেছিল এই লেখার জন্য তাকে মরতে হবে! একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীরা তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে। গণমাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্যে যা বুঝা যায়, আবরারের অপরাধ সে শিবিরের পেইজে লাইক দিয়েছিল। তার কাছে তারা আপত্তিকর লেখা পেয়েছে! উপর্যুক্ত স্ট্যাটাসটিই কি তবে আপত্তিকর!
এতো ঠুনকো, সামান্য কারণে কেউ কাউকে হত্যা করতে পারে? অবিশ্বাস্য বললেওতো কম বলা হয়।কোথায় যাচ্ছে এই দেশ, কোথায় যাচ্ছি আমরা! ৫৬ হাজার বর্গমাইলেই অসহায় আবরাররা!ওরা খুন হবে! দুই একদিন হাউকাউ হবে! তারপর সব ঠান্ডা! আবরারকে হত্যার মাধ্যমে এরাতো আসলে সমগ্র মানবজাতিকেই হত্যা করলো। অমানুষেরা মানবজাতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা নয়।
বুয়েটছাত্র আবরারকে পেটানো হয় ২০১১ নং কক্ষে, লাশ পাওয়া যায় সিঁড়িতে: অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে   -৭ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) একটি আবাসিক হল থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামের এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ভোর ৪টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা রোডে। বাবার নাম বরকত উল্লাহ। তিনি বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিকস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
সহপাঠিদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাত ৮টার দিকে শেরে বাংলা হলের এক হাজার ১১ নম্বর কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত দুইটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা বলছেন, ২ হাজার ১১ নম্বর রুমে নিয়ে তাকে পেটানো হয়।
মারধরের সময় ওই কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু।
তিনি বলেন, আবরারকে শিবির সন্দেহে রাত ৮টার দিকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে আনা হয়।  সেখানে আমরা তার মোবাইলে ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার চেক করি।  ফেসবুকে বিতর্কিত কিছু পেইজে তার লাইক দেয়ার প্রমাণ পাই। সে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। শিবির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই। আবরারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুয়েট ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ও  কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপ সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ আইন সম্পাদক অমিত সাহা। পরবর্তীতে প্রমাণ পাওয়ার পরে চতুর্থ বর্ষের ভাইদের খবর  দেয়া হয়। খবর পেয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার সেখানে আসেন। একপর্যায়ে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি। এরপর হয়তো ওরা মারধর করে থাকতে পারে। পরে রাত তিনটার দিকে শুনি আবরার মারা গেছে।
বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুক এলাহী জানান, রাত ৩ টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের ১ম ও ২য় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাকে মৃত দেখা যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।  সেখানে চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, ডাক্তারের ফোন পেয়ে হলে আসি। এসে ছেলেটির লাশ পড়ে আছে। ডাক্তার জানান ছেলেটি আর নেই। পরে তাকে পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। হল প্রশাসনের পক্ষ  থেকে তাদেরকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ফাহাদের এক রুমমেট ঘটনার বিষয়ে বলেন, টিউশনি শেষে রুমে রাত ৯টার দিকে আসি। তখন আবরার রুমে ছিলো না। অন্য রুমমেটদের কাছ থেকে জানতে পারি তাকে ছাত্রলীগের ভাইয়েরা ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে গেছে। পরে রাত আড়াইটার দিকে হলের একজন এসে আবরার আমাদের রুমমেট কিনা জানতে চান। আমি হ্যাঁ বললে সিড়ি রুমের দিকে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে সিড়ি রুমের দিকে গিয়ে তোশকের ওপরে আবরার পড়ে আছে। পরে ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। 
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন জানান, ভোরে সংবাদ পেয়ে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের উত্তর ব্লকের ২য় তলার সিঁড়ি থেকে ফাহাদের লাশ উদ্ধার করি। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময় তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখা রেখেছে কেউ।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর বিষয়ে আরও ধারণা পাওয়া যাবে বলে জানান এসআই দেলোয়ার।
লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কামাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, হল প্রশাসনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে ছেলেটির লাশ দেখতে পাই। পরে তা উদ্ধার করে ঢাকা  মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা মৃতদেহ নামিয়েছে এবং যারা ফাহাদকে ডেকে নিয়ে গেছে তাদের ফুটেজ পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি।
কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এই ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, আবরারের সহপাঠিদের অভিযোগ, বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার বিকালে তিনি এ ব্যাপারে তার নিজের ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
আবরার হত্যা: বুয়েট ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের  সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ। তারা উভয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। আজ সকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
এর আগে রোববার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আবরার ও আটককৃতরা ওই হলের ছাত্র।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চকবাজার থানায় নেয়া হয়েছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফুয়াদ ও রাসেল নামে দু’জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
পুলিশ ও আবরারের সহপাঠি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে হলের কক্ষে ছিলেন আবরার। রাত ৮টার দিকে তাকে ২০১১ নং কক্ষে ডেকে নেয় ছাত্রলীগ নেতারা। পরে গভীররাতে তার লাশ ওই হলের সিঁড়িতে পাওয়া যায়। 
সহপাঠিরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবরার সক্রিয় ছিলেন। লেখালেখি করতেন। এ কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, আবরারের পায়ে ও ঊরুতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি। কারণ বুয়েট একটি সম্মানজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা তদন্ত করছি।
ফেসবুকে যা লিখেছিলেন নিহত বুয়েটছাত্র আবরার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদের (২১) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ভোরে ওই হলের সিড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার গভীর রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। হত্যার আগের দিন তিনি তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করেছিলেন।
আবরারের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল।
যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।
৩. কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তর ভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।
হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-
‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’

No comments

Powered by Blogger.