সীমানার প্রাচীর ডিঙিয়ে by কামরুল হাসান

তুমি আমায় জাগিয়েছো অননত্ম স্বপ্নের মাঝপথে যখন সত্যের পথ রম্নদ্ধ ছিল অন্ধকার এই জীবনে সত্যের খোঁজে সীমানার প্রাচীর ডিঙিয়ে দেখিয়েছো উন্মুক্ত জানালা যে পথ ধরে তুমি হেঁটেছো তোমার জীবনের পথ চলা।
আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের সীমানার ধারণা রম্নদ্ধ করেছে প্রাচীন এই পরিভ্রমণশীল জাতির পথ চলা। সীমানার কাঁটাতার, সীমান্তরক্ষীর নজরদারি থমকে দিয়েছে তাদের অনন্ত যাত্রা। তবুও হয়ত থেমে নেই নিজের ভেতরের সেই সত্তার সুধা, নতুন বসতি স্থাপনের বাসনা। জিপসি জাতির খোঁজ নিতে জানা যাক নতুন কিছু ধারণা। জিপসি বলতে সাধারণত বুঝায় প্রাচীন মিসরের একদল পরিভ্রমণশীল জাতিকে। খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ বছর পূর্বে মিসরের ফেরাউন রাজার দাস হিসেবে তারা পরিচিত ছিল। প্রাচীন মিসরের বিভিন্ন কারম্নশিল্প বিকাশেও তাদের ভূমিকা ছিল অত্যনত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ফেরাউন রাজার সৈন্যদের ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্র তৈরিতেও তারা ছিল সমানভাবে দৰ। সেই প্রাচীনকালে মিসরের বিভিন্ন স্থানে তারা বসতি স্থাপন করে শুরম্ন করেছিল তাদের দীর্ঘ পথ চলা। ফেরাউন রাজার সৈন্যদের তলোয়ার, ছুরি, বর্ম তৈরির পাশাপাশি যুদ্ধ জাহাজ তৈরিতেও তারা ছিল সিদ্ধহসত্ম। প্রাচীন মিসরের বিভিন্ন স্থানে তাঁবু টাঙিয়ে তারা বসবাস করত। বর্তমান সময়ের সার্কাস দলের মতোই ছিল তাদের জীবনযাপন। তলোয়ার আর আগুনের খেলা দেখানো ছিল তাদের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উপায়। তবে ভবিষ্যত দ্রষ্টা কিংবা ভাগ্য গণনাকারী হিসেবেও তারা বেশ পরিচিত লাভ করে। ফেরাউন রাজার মহিলাদের ভাগ্য গণনাকারী হিসেবেও পরিচিত ছিল তারা। বর্তমানে সুইডেনে আনুমানিক ৩৫,০০০ জিপসি বসবাস করে। তাদের পূর্ব পুুরম্নষরা পূর্বে ভারতে বাস করত বলে ধারণা করা হয়। অনেকেই ধারণা করেন ইউরোপে বসবাসরত জিপসিদের আদি নিবাস ছিল ভারতে। ৭১০ সালে ভারতের পানি শহর হতে তারা তাদের পথ চলা শুরম্ন করে। এরপর ৭২০ সালে কুলুনবা, ৭৩৫ সালে বোম্বে, ৭৮৬ সালে আহমেদাবাদ এবং ৮০০ সালে বিসোন শহরে তাদের দেখা যায়। ১০০০ সালে বলকান অঞ্চল অতিক্রম করতে দেখা যায় তাদের। অন্য একটি গবেষণায় দেখা যায়, ১৩১২ সালে জিপসিরা তৎকালীন ক্রিট বা বর্তমান গ্রিসে বসবাস করে। এরপর ১৪২৬ সালে স্পেন এবং সর্বশেষে ১৪৩০ সালে ইংল্যান্ড। ১৫১৪ সালে সর্বপ্রথম অক্সফোর্ড ডিকশেনারিতে জিপসি শব্দটি ব্যবহৃত হয়। জিপসি (এুঢ়ংু) শব্দের উৎপত্তি মূলত ইজিপশিয়ান (ঊমুঢ়ঃরধহ) শব্দ হতে। স্পেনিশ গিটানো এবং ফ্রান্স গিটান শব্দু দুটি বলতেও বুঝায় জিপসি। ১৫ শতকের শুরম্নর দিকে স্থানীয় ইউরোপিয়ানদের ধারণা ছিল মিসর হতেই এ জাতির আবির্ভাব। আর তাই তাদের এই নামকরণ। তবে জিপসি নামের সঙ্গে রোমানী শব্দটিও ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও কিছু জাতি দেখা যায় যাদের আপাতদৃষ্টিতে জিপসি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। বস্তুত এরা রোমানিয়ান জিপসি হতে অনেক বেশি স্বতন্ত্র এবং ভিন্ন। মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্য এশিয়ায় বেশ কিছু অঞ্চলে এক ধরনের জিপসিদের দেখা মেলে। এরা মূলত ডোম এবং লোম মানুষ। এরা ইরাক এবং ইরানে কাউলি হিসেবেও পরিচিত। আরবদের কাছে এরা পরিচিত গাজার, সালাব এবং নাওর হিসেবে। গাজার, সালাব এবং নাওর এই তিনশ্রেণীর মানুষের পেশাও ছিল ভিন্ন। গাজার ও সালাবরা মূলত পথে-প্রানত্মরে মানুষদের বিভিন্ন বিনোদন কিংবা সার্কাস দেখিয়ে জীবন নির্বাহ করত। অন্যদিকে নাওর ছিল মূলত ব্যবসায়ী। আরবি ভাষায় নাওর শব্দটি মূলত অবমানকর অর্থেই বুঝানো হয়।

জিপসি সংস্কৃতি
পরিবার এবং ঐতিহ্য এখনও এই জাতির প্রধান অবলম্বন। বর্তমান সময়েও তারা সেই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধারণ করে বেঁচে আছে। তাদের সেই ঐতিহ্য কঠোর নিয়মনীতিতে আবদ্ধ। পরিবার প্রধান, বয়স্ক কিংবা নারীদের দেখা হয় অত্যনত্ম শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে। জিপসি সংস্কৃতি আরেকটি ব্যাপার লৰণীয় আর তা হলো তাদের সামাজিক বিচার ব্যবস্থা। জিপসি গোত্রের সবচেয়ে মর্যাদাবান, সৎ এবং যোগ্য লোকটিকে বিচারক হিসেবে গণ্য করা হয়। পারিবারিক বিরোধ, অর্থনৈতিক সমস্যা, চুরি কিংবা অন্যান্য বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয় এই ধরনের বিচার কার্যালয়ে। এই বিচারকার্যে সর্বাধিক শাসত্মি হলো দল হতে বহিষ্কার। সাধারণত দেখা যায় বহিষ্কৃত কোন জিপসি অন্য আরেকটি জিপসি গোত্রের সঙ্গে দলভুক্ত হয়। দল হতে বহিষ্কার জিপসিদের কাছে মৃতু্যদ-ের চেয়েও সর্বোচ্চ শাসত্মি। জিপসিরা কখনো অন্য জিপসিদের হত্যা করে না তাই সবের্াচ্চ শাসত্মি হিসেবে তারা বেছে নেয় বহিষ্কার। তবে অর্থের বিনিময়ে এই শাসত্মি প্রত্যাহারে রীতি বিদ্যমান। প্রাচীন এই ঐতিহ্য এবং রীতি বর্তমান সময়ের ইউরোপে বসবাসরত জিপসিদের ৰেত্রে এখনও দেখা যায়।

ধর্ম এবং বিশ্বাস
জিপসিরা সাধারণ একক কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয়। তবে তারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী। বলকান এবং এর আশপাশের অঞ্চলের জিপসিরা হলো মুসলমান। মুসলমানদের মতোই তাদের নাম, পোশাক, রীতিনীতি সব কিছুই মুসলমানদের মতো। এছাড়া লাটভিয়া, সুইডেন কিংবা ইউরোপের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসরত জিপসিরা হলো খ্রিষ্টান।
অন্যদিকে কসোভো, মেসডোনিয়া এবং আলবেনিয়ায় বসবাসরত জিপসিরা সুফি দর্শনে বিশ্বাস। সুফিবাদ হলো ইসলামের প্রাচুর্যপূর্ণ গৃঢ় ধারণা। তবে প্রাচীনকাল হতে জিপসিদের বিশ্বাস হলো একদিকে নৈতিকতা, আলো, মানুষের ত্রাতা ঈশ্বর আর অন্যদিকে অন্ধকার বা মানুষকে খারাপ কাজের ইন্ধনদাতা শয়তান। তবে জিপসি পূর্বপুরম্নষ যারা ভারতে বাস করত তাদের ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যায় না। তবে অনেকের ধারণা বা বিশ্বাস হলো তারা হিন্দু দেবতা শিবের পূজারী ছিল। তবে গত অর্ধ শতক ধরে জিপিসিরা নিজেদের চার্চ এবং ধর্ম সংগঠন গড়ে তোলে। আবার বেশিরভাগ ৰেত্রে তারা রোমিনায়ান চার্চের অনত্মভর্ুক্ত। এছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলের জিপসিরা ইভানজেলিক রোমানিয়ান চার্চের অনত্মভর্ুক্ত। ফ্রান্স এবং স্পেনে এ বিশ্বাসীদের সংখ্যা কম নয়।

বিশ্বাস
প্রাচীন একটি বিশ্বাস হলো মৃত কোন ব্যক্তি পৃথিবী কিংবা অন্য কোন স্থানে ভ্রমণের ৰেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। মৃতু্য নিয়ে তাদের অনেক কল্পকাহিনী বিদ্যমান। মৃতু্যকে তারা খুব ভয় পায়। জিপসিরা বিশ্বাস করে মৃত ব্যক্তি মাঝে মাঝে অশরীরী আত্মা হয়ে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়। জীবতকালে যে সব ব্যক্তি অন্যায় কাজ করেছে মূলত তারাই মৃতু্যর পর অশরীরী আত্মাতে রূপ নেয়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও জিপসিরা বেশ সজাগ। জিপসিদের সামাজিক জীবনে তারা অপরিষ্কার জিপসিদের সঙ্গে বসে কোন সামাজিক রীতি পালন করে না। অন্যদিকে কোন মহিলা কিংবা মেয়েকে অন্য কোন পুরম্নষ স্পর্শ করতে পারে না। এছাড়া নারীদের ৰেত্রেও বেশ কিছু নিয়মরীতি বলবত।

ভাষা
সাধারণত জিপসিরা যে অঞ্চলে বাস করে সেই অঞ্চলের ভাষায় কথা বলে। এছাড়া রোমানিয়ান জিপসি কিংবা ইউরোপে যারা জিপসি হিসেবে পরিচিত তারা ইন্দো-আর্য ভাষা ব্যবহার করে। ১৭৫৩ সালে একজন ভাষাবিদ দাবি করেন বর্তমান ইউরোপিয় জিপসিরা মূলত উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা ব্যবহার করে আসছে। এছাড়া গুজরাটি, রাজস্থান, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করতেও তাদের দেখা যায়। অন্য একটি সমীৰায় জানা যায়, শ্রীলঙ্কার সিংহলি ভাষা ব্যবহার করতেও তাদের দেখা যায়।

জনসংখ্যা
বর্তমানে আনুমানিক ১ কোটি ৫০ লাখ জিপসি পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। যদিও তাদের সঠিকসংখ্যা নির্ণয় খুবই দুরূহ বলে একজন কর্মকর্তা জানান। রোমানিয়ায় জাতিগত বৈষম্যের কারণে অনেকেই নিজেদের জিপসি হিসেবে পরিচয় দেয় না। বলকান পেনিনসুলায় সর্বাধিকসংখ্যক জিপসি বসবাস করে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ, পশ্চিম ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায়ও এদের উপস্থিতি কম নয়। অঞ্চলভেদে সাংস্কৃতিক আবহের কারণে এদের রীতিনীতির পরিবর্তন দেখা যায়।

সঙ্গীত
সুরকার হিসেবে আদিকাল হতে এসব জিপসিদের সুনাম সমাদৃত। অতীতে তারা বিভিন্ন বিনোদনের মাধ্যমে তাদের এই সুনাম অর্জন করে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা কিংবা ভারত সবখানেই তারা সুরকার হিসেবে পরিচিত। ভিন্ন অঞ্চলের সুরের বৈচিত্র্যতায় সমকালীন সুরের সংমিশ্রণ তাদের সৃষ্টিকে করেছে অতুলনীয়। প্রাচীন ভারতীয় সুরের সঙ্গে গ্রিক, আরবিক, পারসী, তুর্কিশ, জার্মান, রোমানিয়ান, ফ্রান্স, স্প্যানিশ সব সুরের সংমিশ্রণে তৈরি এসব সুর সবার দৃষ্টি কারে। জিপসি সংস্কৃতিতে সুরের স্থান সবের্াচ্চ।
জিপসি সুরের সবচেয়ে মজার দিক হলো এই ধারা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। ভিন্ন অঞ্চলের সুরের সঙ্গে সংমিশ্রিণে এই ধারা; তাই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। আর এই পরিবর্তনশীল ধারাই সুরসমৃদ্ধ করেছে তাদের পেশাকে।

বাণিজ্য
ঐতিহ্যগতভাবে বাণিজ্য জিপসি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবচেয়ে গুরম্নত্বপূর্ণ হলো কাজ। কর্মহীন জীবন তাদের কাছে বৃথা, তাই ব্যক্তিগতভাবে একজন জিপসি যতই সম্পদশালী হোক না কেন সে কর্মহীন জীবন অতিবাহিত করে না। বাণিজ্য এবং ভবিষ্যত গণনা জিপসির জীবন নির্বাহের অবলম্বন। সাধারণত পরিবারের নারীরা তাদের এই কাজে সাহায্য করে। তবে নারীরা নিজে এসব কাজে জড়ায় না। প্রাচীনকাল হতে জিপসিরা লোহার এবং কপারের তৈরি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে অত্যনত্ম পটু ছিল। এছাড়া ঘোড়া লালন-পালন করা তাদের অন্যতম অবলম্বন। এসব ঘোড়া পরবর্তীতে তারা ভিন্ন কোন অঞ্চলের মানুষের কাছে বিক্রি করে। তাছাড়া সঙ্গীতের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিক্রি করতেও তাদের দেখা যায়।
তবে বর্তমান সমাজে জিপসিরা চিকিৎসা, শিৰক, কৃষক, শ্রমিকসহ অন্যান্য সামাজিক পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে।
ঘোড়া ব্যবসায় তাদের সুনাম পুরো ইউরোপজুড়ে। পোল্যান্ড, রাশিয়া এবং বালটিক রাষ্ট্রগুলোর জিপসিদের জীবন ধারণের একমাত্র অবলম্বন হলো ঘোড়া ব্যবসা।

পোশাক এবং খাবার
ভিন্ন পোশাক এবং স্বতন্ত্র ডিজাইন জিপসি নারীদের করেছে ব্যতিক্রম। জিপসি নারীরা সাধারণত কালারফুল পোশাক পরতে বেশি ভালবাসেন। পোশাকগুলো দেখতে কিছুটা লম্বা হয়। ব্রাইট সিফোন, মেটালিক ফেব্রিক কালারফুল পোশাকগুলোকে আরও ফুটিয়ে তোলে। সাধারণত নারীরা তাদের বিয়ের পোশাক হিসেবে ঐতিহ্যগত পোশাকটিকেই বেছে নেয়। এই পোশাকে তাদের মাথা ঢাকা থাকে। জিপসি নারীরা তাদের চুল বড় রাখতে পছন্দ করেন। পাশাপাশি তারা স্বর্ণ কিংবা দামী পাথরের বিভিন্ন অলঙ্কার পরিধান করেন। তাছাড়া জিপসি নারীরা তাদের শরীরের নিচের অংশ সব সময় ঢেকে রাখতে পছন্দ করেন। তবে পোশাকের ৰেত্রে পুরম্নষের কোন পছন্দ নেই বললেই চলে। তবে তারা রঙিন পোশাক পরতেই বেশি পছন্দ করে।
ভ্রমণশীল স্বভাবের কারণে খাবারের ৰেত্রে তাদের পছন্দনীয় কোন তালিকা সত্যিকার অর্থে নেই। তবে বিভিন্ন ফলমূল, ছোট জীবজন্তু, মুলুস্ক প্রভৃতি তাদের অন্যতম প্রিয় খাদ্য। সাধারণত সূর্যাসত্মের সময় কোন খাবার পরিবেশন করা হয় না। তবে বিকেলের পর সব খাবার তৈরি করা হয়। সাধারণত মাংস কিংবা শাক সবজি খাবারের সময় পরিবেশন করা হয়।
অন্যদিকে বিয়ে কিংবা অন্য কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে জিপসিরা অসংখ্য রকমের খাবার তৈরি করে। এসব খাবার তৈরি এবং পরিবেশনে তাদের আগ্রহের কমতি থাকে না। তাছাড়া মদ, বিয়ার কিংবা অন্যান্য পানীয় এ সব অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
জিপসিরা আজ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রের নাগরিক। তাদের পেশা, অভ্যাস সব এখন পাল্টেছে সময়ের আবর্তে। তবুও মনের গহিনের যে তাড়না এবং বাসনা তা থেমে নেই। লোক-চৰুর আড়ালে মনের কল্পনায় আজও তারা হেঁটে বেড়ায় দেশ হতে দেশানত্মরে।

No comments

Powered by Blogger.