পল্লবীতে ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা ॥ ঘাতকদের গা-ঢাকা

 রাজধানীর পল্লবীতে এক ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যবসায়ীর নাম মোঃ আনিস (২৪)। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পুলিশ পল্লবী থানা এলাকা থেকে হত্যাকা-ের মূল আসামি কসাই শমসের আলীকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে।
হাজারীবাগে এক স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গভীররাতে পুলিশ পল্লবী থানাধীন এ ব্লকের মিল্কভিটা রোডের পাশে বালুর মাঠ থেকে মোঃ আনিস নামে এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়। নিহতের স্ত্রী রীনা আক্তার জানায়, স্বামী আনিসের পল্লবী থানাধীন মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের এ ব্লকের ওয়াপদা রোডে একটি দোকান রয়েছে। পাশের ১৮ নম্বর রোডের বিহারী ক্যাম্পে সপরিবারে থাকেন তারা। তিনি জানান, ৪/৫ দিন আগে স্বামী আনিস কয়েকদিনের ব্যবহারের জন্য প্রতিবেশী শমসের আলীকে একটি মোবাইল দেয়। শমসের আলী পেশায় কসাই। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বামী আনিস মোবাইলটি শমসেরের কাছ থেকে ফেরত চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। এক পর্যায়ে শমসের ক্ষিপ্ত স্বামী আনিসকে মারধর করে। নিহতের স্ত্রীর রীনা আরও জানান, এতে শমসের ক্ষ্যান্ত হয়নি। রাতে শমসের তার স্বামীকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শমসের তার লোকজন স্বামী আনিসকে মিল্কভিটা রোডের পাশে বালুর মাঠে নিয়ে যায়। এরপর আনিসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করে কসাই শমসের ও তার লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই মাঠ থেকে স্বামী আনিসের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। তিনি জানান, স্বামীর লাশ উদ্ধারের সময় কসাই শমসের তাব বাড়িতে ছিল। স্বামীর হত্যাকারী শমসের নাম জানার পরও পুলিশ গড়িমসি করে। আর এই সুযোগে স্বামীর হত্যাকারী কসাই শমসের ও তার পরিবারকে নিয়ে এলাকা থেকে পালিয়েছে। পল্লবী থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান, আনিসের গলা কাটা ছিল। শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন ছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যাকা-ের মূল হোতা কসাই শমসের আলীকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ ফারুক পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তিনি জানান, হত্যাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, নিহত আনিস চার মাসের একটি কন্যা সন্তানের জনক। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে সবার ছোট ছিল। নিহতের পিতার নাম দেলোয়ার হোসেন। গ্রামেরবাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ থানার রাজারগাঁও গ্রামে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ হাজারীবাগ থানাধীন নীলম্বর সাহা রোডের ৪ নম্বর বাড়ির ভাড়াটিয়ার টিনশেড কক্ষ থেকে বাবু কর্মকার (৪০) নামে এক দোকান কর্মচারীকে অচেতন অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে আনে তার পিতা লিদুল কর্মকার। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পিতা লিদুল কর্মকার জানান, ছেলে বাবু কর্মকার ওই এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিল। তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ছেলে বাবু ঘরে ঢুকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার বাবুকে মৃত বলে জানায়। হাজারীবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আলিমুল হক জানান, কি কারণে বাবু আত্মহত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে হাজারীবাগ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ছিনতাই ॥ জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীররাতে ধানম-ি ২৭ নম্বরের রাপা প্লাজার কাছে ছিনতাইকারীরা সাংবাদিক সাজিদুল হককে মারধর করে তাঁর ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল সেট এবং নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। জানা গেছে, তিনি বাংলানিউজের পার্লামেন্ট করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত। এ ব্যাপারে সাংবাদিক সাজিদুল হক জানান, রাতে পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে শাহবাগ থেকে রিকশায় করে মোহাম্মদপুরে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ধানম-ির ২৭ নম্বরের সামনে মোটরসাইকেল যোগে দুই ছিনতাইকারী তাদের রিকশা গতিরোধ করে ল্যাপটপ ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর পর তিনি ধানম-ি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.