ডিজিটাল বাংলাদেশ ও তার চার বছর by মোস্তফা জব্বার

বাস্তবতা হলো, আমাদের দেশে সার্টিফিকেটধারী সেইসব শিক্ষিত মানুষের বেকারত্ব চরম আকার ধারণ করেছে সর্বত্র। এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীটি আশা করে তার একটি চাকরি হবে।
কিন্তু সেটি হয় না। এমনকি এর ওপরের সার্টিফিকেটধারীরও প্রত্যাশা পূরণ হয় না। রাজধানী ঢাকা বা বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অবস্থা যাই হোক না কেন, অবস্থা চরমতম খারাপ বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা বা অন্য শহরগুলোসহ গ্রামের তরুণ-তরুণীদের। তথ্যযুগের অবকাঠামোবিহীন আধুনিক সুবিধাবঞ্চিত, শিল্পবিরান এই শহরগুলো প্রতিদিন মানুষের ভারে ন্যুব্জ হচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষিত লোকদের কর্মসংস্থানের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু প্রচলিত ধারায় কর্মসংস্থানের ন্যূনতম সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না সেসব জায়গায়। গ্রামের অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক। সেখানে কৃষিকাজ করার বাইরে হাট-বাজারে দোকানদারি, মোবাইল মেরামত-ফ্লেক্সিলোড, রিংটোন ডাউনলোড, ডিজিটাল স্টুডিও স্থাপন খাতে কিছু নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র বা ইন্টারনেট কিয়স্ক দিয়ে আরও কিছু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। স্কুলের বা অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতাও কিছু কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে ঠিকাদারি বা নতুন কিছু ব্যবসায় যুক্ত হওয়াতেও কিছু কর্মসংস্থান হচ্ছে। এর মাঝে শিক্ষিত মেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ শিক্ষকতার মাঝেই সীমিত হয়ে পড়েছে।
কার্যত এসব স্থানের সর্বত্রই এখন বিপুলসংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ও শিক্ষার হার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। কিন্তু নতুন যোগান পাওয়া শিক্ষিত মানুষদের পরিণতির কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। অসংখ্য মেধাবী ছাত্রছাত্রীর পদচারণায় মুখর এসব গ্রাম-শহরের বিদ্যাপীঠ এক সময় বেকার ছাত্রছাত্রীদের অভিমানের, দীর্ঘশ্বাসের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এমনসব মানের তেমনসব শিক্ষায় তারা শিক্ষিত হচ্ছে যার কর্মক্ষেত্র আমাদের দেশ পরিচালকরা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান বাজারে চাহিদাসম্পন্ন কাজের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা না করে শিক্ষকরা যা জানেন (২০ বছর আগে যা শিখেছিলেন তাই-ই) বা নিজেরা যা পড়াতে পারবেন সেই বিষয়গুলোই কেবল সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে থাকে। শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়, এতে ইতিহাসের অধ্যায় বদলায়, থোড় বড়ি খাড়া হয়, প্রকৃত শিক্ষার স্বরূপ বদলায়নি। ফলে চাকরিদাতাদের প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ না করায় একদিকে যেমন চাকরি মহার্ঘ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে চাকরিটা মামার জোরে অধিকার করলেও প্রয়োজনীয় জ্ঞান না থাকায় কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন অনেকেই। বিদেশে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা ব্যবসায়ীদের দোরগোড়ায় ধর্ণা দেন দু’বছর পরে তাদের কোন ধরনের জনশক্তি প্রয়োজন হবে তা জানার জন্য তখন আমাদের দেশের উন্নাসিক শিক্ষা নিয়ন্ত্রকদের আত্মম্ভরিতায় ধুলায় মিশিয়ে যায় লাখ লাখ ছাত্রের স্বপ্ন।
সম্ভবত অবস্থাটি এ পর্যায়ে স্থির থাকলেও আমাদের নতুন করে তেমন কোন চিন্তা করার কারণ থাকত না। কিন্তু আগামী ১০-১৫ বছরে বিশ্বের অবস্থাটি কেমন হবে তার একটি বিবরণ আমরা ১২ বছর আগে প্রকাশিত মার্কিন সাময়িকী সাপ্তাহিক টাইম পত্রিকা থেকে তুলে ধরতে পারি। সেই পত্রিকায় ডিজিটাল যুগের পেশার একটি বিবরণ দেয়া হয়েছিল।
? I believe that 90% of white- collar jobs in the US will be either destroyed or altered beyond recognition in the next 10 to 15 years. That catastrophic prediction, given that 90% of us are engaged in white collar work of one sort or another.? Tom Peters, Time, May 22, 2000.
http://www.time.com/time/magazine/article/0,9171,997024,00.html
আমেরিকার কাজের জগতের পরিবর্তনের বেশ কিছু নমুনা টাইম সাময়িকীর সেই প্রচ্ছদ কাহিনীতে ছিল। কেমন করে প্রযুক্তি মানুষের শ্রমঘণ্টাকে কমিয়ে দিচ্ছে এবং কেমন করে বিপুলসংখ্যক মানুষের কাজ স্বল্পসংখ্যক মানুষ করছে সেসব বিবরণ সেই প্রচ্ছদ কাহিনীতে ছিল। ভাবুন দেখি, সেই একযুগ আগে টম পিটার্স মন্তব্য করেছিলেন আউটসোর্সিং সম্পর্কে। ত্ার মন্তব্য ছিল এ রকম;
Outsourcing; M.I.T.’s No. 1 computer guru, Michael Dertouzos, said India could easily boost its GDP by a trillion dollars in the next few years performing backroom white-collar tasks for Western companies. He guessed that 50 million jobs from the white-collar West could go south to India, whose population hit 1 billion last week. The average annual salary for each of those 50 million new Indian workers: $20,000.
টম পিটার্স যে ভবিষ্যত দ্বাণী করেছিলেন সেটি এখন নির্মম সত্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দুনিয়ার সর্বত্র ১০-১২ বছর আগের কাজগুলো এখন আর বিরাজ করে না। শিল্পযুগের অফিসভিত্তিক কাজের পরিধি ছোট হয়ে আসছে এবং ইন্টারনেট সভ্যতার নতুন নতুন কাজের সূচনা হচ্ছে।
বাস্তব অবস্থা হচ্ছে, এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা যেসব চাকরির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তার শতকরা ৯০ টির অস্তিত্ব আমরা এরই মাঝে হারিয়ে ফেলেছি। এসব কাজের অবশিষ্টাংশও আমরা সামনের ১০-১৫ বছরে কোথাও খুঁজে পাব না। মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার সূত্র অনুসারে, ৮০ ও ৯০ দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও পশ্চিম ইউরোপে শিল্প কলকারখানার কাজের পাশাপাশি কেরানি, দোকানের কর্মচারি, অফিস স্টাফ, শিক্ষক ও নার্সের চাকরি পরিমাণে অনেক ছিল। উন্নত দেশের বিশ্লেষকরাও এখন বলছেন যে, উপরের চাকরিগুলোর সম্ভাবনাও এখন তাদের দেশেই আর নেই। সেই হিসেবে আমাদের দেশে তো পুরানো কাজের কোন অস্তিত্বই থাকার কথা নয়।
কাজ করার পদ্ধতির পরিবর্তন: অবস্থাটি অতি দ্রুত বদলাচ্ছে। প্রথমত যে পরিবর্তনটি সবার আগে উল্লেখ করা প্রয়োজন সেটি হলো: কাজ করার পদ্ধতি বদলে যাওয়া। যে কাজটি আগে যেভাবে করা হতো দিনে দিনে সেই কাজটি করার পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। অতি সাধারণ কাজের ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য। যেমন বাংলাদেশের দোকানদারির কথাই ধরা হোক। কয়েক বছর আগেও এদেশে দোকানদারি করা মানে ছিল; তাকের মাঝে জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখা এবং ক্রেতাকে তা দেখিয়ে দামদস্তুর করে টাকা নিয়ে সেটি বেচে দেয়া। কিন্তু এখন সেই দোকানদারি করতেও পয়েন্ট অব সেলস মেশিন থাকতে হয়। এই মেশিনটি আসলে একটি কম্পিউটার। ফলে আগে যিনি দক্ষ দোকানদার ছিলেন তাকেও এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে নতুন করে জানতে হয়। এমনি করে আগে যিনি ক্লাসরুমে চক-ডাস্টার দিয়ে সুন্দর করে পড়াতেন এখন তাকে পাওয়ার পয়েন্ট বা ফ্লাশ ব্যবহার করে বিষয়বস্তু বা পাঠ্য বিষয় উপস্থাপন করতে হয়। মালয়েশিয়ায় স্মার্ট স্কুল জন্ম নিয়েছে বহুদিন হলো। সিঙ্গাপুরের স্কুল থেকে স্কুল ব্যাগ বিদায় নিয়েছে। বাংলাদেশের স্কুলগুলোতেও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর আর ল্যাপটপ যেতে শুরু করেছে। সুতরাং শিক্ষা ও শিক্ষকতার পেশা আদিরূপে থাকবে না। যারা এক সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা শিল্প কারখানায় ব্যবস্থাপনা করতেন তারা এখন ইআরপি সফটওয়্যার ব্যবহার করেন। এক সময় কারখানার অবস্থা দেখার জন্য নিজেকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হতো। এখন ইন্টারনেটে দুনিয়ার যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন জায়গা পর্যবেক্ষণ করা যায়। এসব কথা বলার উদ্দেশ্য হলোÑকাজ করার আগের পদ্ধতি বা ধারা এখন আর কাজ করে না। বিভিন্ন পর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, সনাতনী ধারায় যেসব কাজ সম্পন্ন করা হতো সেসব কাজ যদিওবা বিদ্যমান তবুও সেসব কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রধানত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকেই কাজে লাগানো হচ্ছে।
অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, রাজনীতি ও জীবনধারার এই পরিবর্তন আরও হতে থাকবে। এই পরিবর্তনের জন্যই পেশার আমূল পরিবর্তন হচ্ছে। এর মর্ম কথা হচ্ছে যিনি বা যারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে তাঁর দক্ষতার মাঝে আনতে পারছেন না বা এরই মাঝে আনতে পারেননি তাঁদের পক্ষে আগামী দিনে নিজের জন্য একটি পেশা খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
কাজের পরিবর্তন ও নতুন কাজের উৎপত্তি: কেবল যে কাজ করার পদ্ধতি বদলেছে সেটি তো নয়। বরং পুরনো কাজগুলো বিলুপ্ত হয়ে নতুন কাজের উৎপত্তি হচ্ছে। আমাদের দেশে ফ্লেক্সিলোড করার কোন কাজের অস্তিত্ব মোবাইলের যুগের আগে ছিল না। একইভাবে গান ডাউনলোড ইত্যাদি কাজের অস্তিত্ব ছিল না। মোবাইল ও কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত সব কাজই তেমন করে নতুনভাবে জন্ম নিয়েছে। আবার এসব যন্ত্রের ব্যবহারে পুরনো কাজ নতুন রূপ পেয়েছে এবং নতুন কাজের জন্ম হয়েছে। এই পরিবর্তনটি বিশ্বসভ্যতার রূপান্তরের অংশ মাত্র। বিশ্বের বর্তমান অবস্থাটির প্রতি লক্ষ্য করা যায়:
১) শিল্পভিত্তিক কাজের চাহিদা কমছে এবং সেবাভিত্তিক চাকরি বাড়ছে। প্রথমত এটি বোঝা দরকার যে, এই সময়ে কৃষিভিত্তিক শ্রমের জায়গা বদল হবার পাশাপাশি শিল্পভিত্তিক কর্মসংস্থানের জায়গাটাও বদলে গেছে। এমনকি শিল্প উৎপাদন বা মূল্য সংযোজন বাড়লেও কর্মসংস্থান বাড়েনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭২ সালে ১ কোটি ৭৫ লাখ শ্রমিক শিল্প কারখানায় কাজ করত। ২০১০ সালে সেটি ১ কোটি ১৫ লাখে নেমে এসেছে। কিন্তু সেই সময়ে শিল্প খাতে মূল্য সংযোজন বেড়েছে শতকরা ২৭০ ভাগ। এতে প্রমাণিত, শিল্পায়ন হলেও কর্মসংস্থান বাড়ার সুযোগ থাকছে না। সুযোগটা বরং সেবা খাতের দিকে চলে যাচ্ছে।
২) সেবাসমূহ ইন্টারনেটভিত্তিক হচ্ছে। ফলে ইন্টারনেট হচ্ছে কর্মসংস্থানের প্রধান ক্ষেত্র। এক সময়ে সেবাসমূহ কায়িকশ্রমের সহায়তায় দিতে হতো। যেমন আমরা আমাদের পণ্য বাজারজাত করার জন্য বিক্রয়কর্মী নিয়োগ করি। তারা হকারদের মতো পণ্য বা সেবা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু এরই মাঝে বাজারজাতকরণসহ অন্য সেবাসমূহ ইন্টারনেটনির্ভর হয়ে পড়েছে। সঙ্গত কারণেই ইন্টারনেট হয়ে পড়েছে কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় খাত।
উন্নত দেশের কাজ অনুন্নত, উন্নয়নশীল, সস্তাশ্রমের দেশে চলে যাচ্ছে। এক সময়ে আমাদের উন্নত দেশসমূহে উপস্থিত হয়ে তাদের সেবা দিতে হতো। কম্পিউটারের কাজের ভাষায় এসবকে আমরা বডি শপিং বলতাম। আমরা কম্পিউটারের প্রোগ্রামারদের সেসব দেশে পাঠাতাম এবং তারা কায়িকভাবে সেখানে উপস্থিত থেকে সেবা দিতেন। এখন সেই একই সেবা আমরা ইন্টারনেটে দিতে পারি। ব্রিটেনের এয়ারলাইন্সে ফোন করা হলে তার জবাব আমি বরগুনা থেকে দিতে পারি। আমেরিকার হিসাব-নিকাশের কাজ আমি এখন নেত্রকোনায় বসে দিতে পারি। এই সুযোগটি সম্প্রসারিত হবার ফলে সেবাসমূহতে গিয়ে যেসব কর্মসংস্থান হচ্ছে তা উন্নত দেশ থেকে অনুন্নত দেশে চলে আসছে।
৩)সমাজবিদ্যা ও রাজনীতির গুরুরা এখন নতুন করে পুঁজিবাদের সংজ্ঞা লিখতে পারেন। পুঁজিবাদকে আগে যেভাবে দেখা হতো এখন সেভাবে তাকে দেখা যাবে না। শিল্প-কল-কারখানা বা উদ্যোগ পুঁজিকেন্দ্রিকতা থেকে মেধাকেন্দ্রিকতার দিকে যাচ্ছে। উইকিপিডিয়ার এই অনুচ্ছেদটি খুবই গুরুত্ব বহন করে। শিল্প কারখানা দিনে দিনে পুঁজি ও শ্রম নির্ভরতা থেকে মেধানির্ভর হচ্ছে। কল-কারখানার জন্য এখন পুঁজির যতটা প্রয়োজন তার চাইতে বেশি প্রয়োজন ধারণা, মেধা বা প্রযুক্তির। তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়টি হলো পুঁজিবাদের রূপান্তর। এক সময়ে পুঁজির বিকাশের জন্য প্রয়োজন ছিল পুঁজি। দিনে দিনে দুনিয়াতে বৃহৎ পুঁজির দাপট বাড়ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে উল্টোস্রোত বইতে শুরু করেছে। আশির দশকে স্টিভ জবস বা বিল গেটস অতি সামান্য পুঁজি নিয়ে উদ্যোক্তা হতে পেরেছিলেন। পুঁজিপতিরা তখন স্টিভ ও বিলের মেধার ওপর আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেছিলেন। বলা যায়, তারা বৃহৎ পুঁজিকে অতি সামান্য পুঁজি ও মেধা দিয়ে আকর্ষণ করতে পেরেছিলেন। তবে এখন আর বৃহৎ পুঁজিরও দরকার নেই, মেধাই যথেষ্ট। মানবপুঁজি এখন অর্থের পুঁজির বিকল্প হয়ে পড়েছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ প্রমাণ করেছেন যে, মেধা থাকলে পুঁজির প্রয়োজন হয় না। পুঁজিবাদের ভিন্ন মাত্রার প্রবণতার জন্য শ্রমিকরা আরও বেশি দক্ষ হচ্ছে। তারা অনেক বেশি উৎপাদন করছে। তবে তাদের শ্রমের চাহিদা কমছে বা শ্রমের দাম কমছে।

ঢাকা, ২৬ জানুয়ারি ২০১৩ ॥ লেখক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচীর প্রণেতা ॥ ই-মেইল : mustafajabbar@gmail.com, I‡qe‡cR: www.bijoyekushe.net

No comments

Powered by Blogger.