আমি অযথা শরীর দেখাই না

সময়ের আলোচিত ও বিতর্কিত জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী বাংলাদেশের ফরিদপুরের মেয়ে পাওলি দাম শুক্রবার সকাল ৭ টার ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছান। তবে খানিকটা ফ্লাইট জটিলতা থাকায় একটু দেরিতেই দেশে এসে পৌঁছান ভারতীয় এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আল হাসান জুয়েলার্সের নতুন উদ্যোগে শুরু করা আল হাসান ডায়মন্ড গ্যালারি লিমিটেড উদ্বোধন করতেই মূলত পাওলির এই ঢাকা সফর।

এদিকে পাওলি দাম কলকাতার ‘ছত্রাক’ নামক ছবিতে বেশ খোলামেলারুপে দর্শকদের সামনে হাজির হয়ে প্রথমবারের মত আলোচনায় আসেন।

এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বলিউডের ‘হেট স্টোরি’ ছবিতে নগ্ন হয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়ে সারা বিশ্বেই আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে অবস্থান করেন এই বাঙ্গালী অভিনেত্রী।

মূলত এই ছবির কারণেই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দতে পরিণত হয়েছেন তিনি। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ‘মনের মানুষ’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে বেশ সুপরিচিত।

এদিকে এটি ছিলো পাওলির তৃতীয় ঢাকা সফর।

সর্বশেষ বাংলাদেশে চলতি বছরের ৩ ফেব্রয়ারি ‘অ্যাপেক্স লাইফ ইজ বিউটিফুল’ শিরোনামের ফ্যাশন শোতে তিনি অংশ নেন।

এদিকে, শুক্রবার সকালে এয়ারপোর্টে নেমে পাওলি দাম সরাসরি চলে যান রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে। হোটেলেই সারাদিন অবস্থান করেন তিনি।

বিকেলে মেকআপ নিয়ে সেখান থেকে সরাসরি পাওলি যান গুলশানের রিচমন্ড কনকর্ডে অবস্থিত আল হাসান ডায়মন্ড গ্যালারীতে।

এখানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় র‌্যাম্প মডেলদের সঙ্গে আল হাসান ডায়মন্ড গ্যালারীর জুয়েলারী পড়ে ক্যাটওয়াক করেন পাওলি।

এই পর্বটি উপস্থাপনা করেন মৌসুমি বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে ছবির মত খোলামেলা নয়, একটি লাল রঙা শাড়ীর সঙ্গে ম্যাচিং করা গয়নাতে পুরোপুরি বাঙ্গালি বেশেই ক্যাটওয়াকে অংশ নেন পাওলি।

এরপর কেক এবং ফিতা কেটে তিনি আল হাসান ডায়মন্ড গ্যালারীর উদ্বোধন করেন।

এই ব্যাস্ততার মাঝেও তিনি খানিকক্ষণ কথা বলেন গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে।

বাংলাদেশের আসার অনুভূতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে পাওলি বলেন, অনেকেই হয়তো জানেন যে আমি বংলাদেশের মেয়ে। ফরিদপুরে আমার দেশের বাড়ি। তাই স্বাভাবিকভাবেই এদেশের প্রতি আমার আলাদা গভীর টান রয়েছে।

সেই টানের কারণেই বাংলাদেশের আসার সুযোগ পেলেই আমি আর মিস করি না।

সামনেও সুযোগ পেলেই বাংলাদেশ আসতে চাই।

তিনি সংবাদ২৪.নেট’কে বলেন, ‘এ দেশের অনেকের সাথেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ।

বিশেষ করে ‘মনের মানুষ’ চলচ্চিত্রটিতে কাজ করার পর থেকে এর পরিমাণ আরও বেড়েছে।’

‘এ ছাড়া এখন তো অনেকেই বিভিন্ন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজে কলকাতায় অবস্থান করেন। সেখানেও সবার সাথে যোগাযোগ হয়।’

এ দেশের চলচ্চিত্রে কাজের ইচ্ছে আছে কি না এমন প্রশ্নে বলেন, ‘যেহেতু আমি বাঙালি। তাই নিজ ভাষায় কাজের তো একটা আলাদা আগ্রহ থাকবেই। অবশ্যই ভালো কোনো স্ক্রিপ্ট পেলে ভেবে দেখব।’

কলকাতার ‘ছত্রাক’ ও ‘হেট স্টোরি’ চলচ্চিত্রে বেশ কিছু খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে কথা বলতেই একটু নড়েচড়ে বসেন পাওলি দাম।

বলেন, ‘দেখুন আমি অভিনয় করেছি চরিত্রের প্রয়োজনে। আমি অযথা শরীর দেখাই না। আর অযথা শরীর দেখালে সমালোচনা সহ্য করতাম। কিন্তু এখানে আমি চরিত্রের প্রয়োজনে ওসব দৃশ্যে কাজ করেছি।

কলকাতায় কেউ কেউ আমার সমালোচনা করে বোদ্ধা সাজবার চেষ্টা করে। এর বেশি কিছু নয়।’

বাংলাদশে তিন বার আসলেও এখন পর্যন্ত তেমন একটা ঢাকা শহর ঘুরে দেখা হয়নি পাওলির।

কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, খুব কম সময় নিয়েই প্রতিবার বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। এ বিষয়ে অনেকটা দু:খের সুরেই পাওলি বলেন, আসলে এতটাই ব্যাস্ত থাকতে হয় যে খুব বেশি সময় নিয়ে বাংলাদেশে আসা হয়নি।

আমি আসলে সামনে সময় নিয়ে এসে অন্তত ঢাকা শহরটা একটু ঘুরে দেখতে চাই। আর এখানকার মানুষের অতিথেয়তার কথা না বললেই নয়।

No comments

Powered by Blogger.