সাদাকালো-সিরিয়ায় সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক by আহমদ রফিক

ভাবতে পারেন, কামাল আতাতুর্কের সেক্যুলার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী তুরস্ক সাম্রাজ্যবাদের সেবাদাসে পরিণত হবে? তুরস্ককে নিয়ে ভালোই খেলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যেমন কুর্দি সমস্যা, তেমনি 'ইউনিয়নভুক্তি' নিয়ে। বেশ আছে বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি।


একে একে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সরকারগুলোকে কূটকৌশলে শেষ করে 'নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব' নিশ্চিত করে সর্বাত্মক আধিপত্য বিস্তার।
দীর্ঘমেয়াদি এ অভিযান শুরু প্রকৃতপক্ষে বছর কয় আগে সরাসরি ইরাক আক্রমণের মাধ্যমে। আফ্রো-এশীয় বিশ্বে, বিশেষ করে আরব দুনিয়ায় সাম্রাজ্যবাদ তথা মার্কিনবিরোধী রাষ্ট্রীয় শক্তি বলতে ইরাক, লিবিয়া, ইরান ও সিরয়াকে বোঝায়। বাকি সব ইঙ্গ-মার্কিন শক্তির কাছে দাসখত লিখে দিয়েছে। এদের মধ্যে সর্বশক্তিমান সৌদি আরব। এরা সবাই একযোগে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের যেকোনো অন্যায় অভিযানও সমর্থন করে থাকে এবং পরিবর্তে কলাটা-মুলাটা উপহার পেয়ে থাকে। আবার অনেকে জোগায় পরোক্ষ সমর্থন। সিরিয়া প্রসঙ্গে তুরস্ক এখন সরাসরি সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে মাঠে নেমে পড়েছে। না হলে কি তুরস্ক সিরিয়ার আকাশে সামরিক বিমান পাঠায়? কী স্বার্থ তার সেখানে? আসলে ইউরো-মার্কিন আধিপত্যবাদী শক্তির কাছ থেকে ভালো কিছু ইনাম পাওয়ার আশা। কিন্তু নব্য তুরস্কের স্থপতি সেক্যুলার মানুষটির রাষ্ট্রনীতির কথা মনে রাখলে তার এ ভূমিকা মানায় না।
হ্যাঁ, যে কথা বলছিলাম- রাজনীতিমনস্ক মানুষ মাত্রেই জানেন, পূর্বোক্ত চারটি দেশ তাদের অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও বরাবর মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী শক্তি হিসেবে পরিচিত ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এবং তাদের বিরুদ্ধে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের হুমকির বিষয়টি কারো অজানা নয়। তাই বুশ-ব্লেয়ারদের মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে ইরাকে নগ্ন আগ্রাসনের বিষয়টিও কারো বুঝতে বাকি ছিল না।
তবু কথিত গণতান্ত্রিক বিশ্ব স্পষ্ট প্রতিবাদ জানায়নি। এমনকি আজ চীন-রাশিয়া যে ভূমিকা নিয়েছে, তখন তাদের তেমন বলিষ্ঠ ভূমিকায় দেখা যায়নি। যায়নি লিবিয়ার ক্ষেত্রেও। অথচ সাংবাদিক বিশ্বে এমন কথা বহুল উচ্চারিত ছিল যে ইরাকের তেলসম্পদ দখল করতেই ইঙ্গ-মার্কিন আধিপত্যবাদী শক্তির ইরাক অভিযান। কিছুকাল আগে লিবিয়ার গাদ্দাফিবিরোধী শক্তিকে বিদ্রোহের প্ররোচনা ও খোলামেলা সামরিক সাহায্য দান, ন্যাটোকে কাজে লাগিয়ে বিদ্রোহীদের রাজধানী ত্রিপোলি দখলে সাহায্য করা এবং সবশেষে শক্তিমান শত্রু গাদ্দাফিকে হত্যা করার মতো নগ্ন ন্যক্কারজনক কাজ ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসি আধিপত্যবাদী শক্তি প্রকাশ্যেই সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। গণতন্ত্রীবিশ্ব রা কাড়েনি, শক্ত-সমর্থ প্রতিবাদ তো নয়ই।
তখন থেকেই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চলেছে; এরপর সিরিয়ার পালা। তথাকথিত 'আরব বসন্ত' এক ধরনের হোলিখেলা- যে রক্তখেলায় পেছন থেকে তাদের স্বার্থমাফিক সাহায্য-সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র সাম্রাজ্যবাদী দেশ। ইরান নিয়ে খেলা তো অনেক দিন থেকে চলছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের অদূরদর্শী বক্তব্যের জের ধরে যে 'ইসরায়েলকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত করা হবে।' এমন বক্তব্য যেমন রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচায়ক নয়, তেমনি নয় কূটনৈতিক শিষ্টাচারসম্মত। তবু ইরান শক্তিমান দেশ এবং তাদের জনসংহতি ও ঐক্য শাসকপক্ষে থাকায় ইরান অভিযান খুব একটা সহজসাধ্য হয়ে উঠছে না। তবু চেষ্টা চলছে নিরন্তর তাদের আণবিক শক্তি উপলক্ষ করে দেশটিকে বাগে আনার।
কিন্তু সিরিয়া ছোট দেশ, শক্তির বিচারে বড় একটা কেউকেটা নয়। সেখানে রয়েছে একনায়ক শাসন- দীর্ঘদিন ধরে। সে ক্ষেত্রে জনগণের একাংশে বিরোধিতা গড়ে ওঠা স্বাভাবিক। সে সুযোগই নিয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো, ঠিক লিবিয়ায় হস্তক্ষেপের কায়দায়। অর্থাৎ বিদ্রোহীদের মানসিক প্রেরণা, সামরিক সাহায্য ও অর্থসাহায্য দেওয়ার মতো সব অপকর্মই মার্কিনি-বিশ্ব করে চলেছে মূলত তুরস্ককে সামনে রেখে।
তা না হলে একদা বন্দিত প্যারিসে 'ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া' নামের সাম্রাজ্যবাদ-সমর্থক দেশগুলোর বাশার-সরকারের পতনের সলাপরামর্শের বৈঠক হয় কিভাবে? একদা নাৎসিকবলিত 'পারির পতনে' মর্মব্যথা ভোগের দেশ ও মানুষগুলোর উত্তরাধিকারীরা কী ভাবছেন ইরাক-লিবিয়া ও সিরিয়া অভিযানে সেই পারির আধিপত্যবাদী ভূমিকায়? আসলে একদা উপনিবেশবাদী দেশগুলোর মূল আধিপত্যবাদী চরিত্র তো আর বদলায়নি? তারা এখনো সাম্রাজ্যবাদী জোটেই বূ্যহবদ্ধ।
তাই ওই বৈঠকে বসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন হুমকি দিয়েছেন নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির। তবে এবার সিরিয়া ইস্যুতে হাওয়া কিছু পাল্টেছে। চীন-রাশিয়া তাদের বিবাদ ভুলে সিরিয়ার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এ বৈঠকে তারা যোগ দেয়নি বলে ক্ষুব্ধ হিলারি। তাঁর ক্ষোভ কূটনৈতিক শিষ্টাচার অতিক্রম করেছে বক্তব্যে। তাঁর ভাষায়- এ জন্য দেশ দুটিকে 'মূল্য দিতে হবে'।
এর মধ্যে ডুবন্ত জাহাজ থেকে বের হয়ে আসা ইঁদুরের মতো কোনো কোনো শক্তিমান ব্যক্তি আমাদের অবস্থা ভালো নয় ভেবে তার পক্ষ ত্যাগ করতে শুরু করেছেন। যেমন- রিপাবলিকান গার্ড বাহিনীর একটি ইউনিটপ্রধান ব্রিগেডিয়ার মানাফ তালাস। এ ধরনের ঘটনা রাজনীতিতে নতুন নয়। দেখা গেছে, লিবিয়ায়ও অবস্থা বুঝে গাদ্দাফির পক্ষ ত্যাগ করতে। অবস্থা ভালো নয় সিরিয়ার- বলা যায় রীতিমতো গৃহযুদ্ধ। আর গৃহযুদ্ধের কথায় আমার বারবার মনে পড়ে যায় ত্রিশের দশকের শেষদিকে গণতন্ত্রী স্পেনের কথা। ফ্যাসিস্ট ফ্রাংকোকে কিভাবে সাহায্য করেছিল অপর দুই ফ্যাসিস্ট শক্তি ইতালি ও জার্মানি! শেষ পর্যন্ত স্পেনের গণতন্ত্রী সরকারের পতন ঘটিয়ে ছাড়ে। কিন্তু গণতন্ত্রকে সাহায্য করেনি তথাকথিত গণতন্ত্রী দেশগুলো।
একই রকম ঘটনা দেখা গেল ইরাক ও লিবিয়ার ক্ষেত্রে। তবে সিরিয়ার ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত রাশিয়া ও চীন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে তাদের ভূমিকা আপাতত সিরিয়ার সাহায্যে এসেছে। সিরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার রাজনৈতিক-কূটনৈতিক সৌহার্দ্য দীর্ঘদিনের। এখন দেখার বিষয়, রাশিয়া ও চীন সিরিয়াকে রক্ষা করার ভূমিকা কদিন পালন করতে পারে মার্কিনি চাপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে। তাই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিয়ে শেষ কথা বলা এখন অসম্ভব।
অসম্ভব এ কারণে যে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বাশার আল আসাদকে গদিচ্যুত করতে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মরিয়া হয়ে এবং পরিকল্পিতভাবে তাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছে। নানা মাত্রায় ব্যাপক সাহায্য দিয়ে চলছে বিদ্রোহীদের। তাই তুরস্কের অবকাঠামো ও সামরিকসহ সর্বাত্মক সাহায্যের পাশাপাশি কিছুদিন আগে সৌদি আরব ঘোষণা দিয়েছে, তারা সিরিয়ার 'সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বেতন দেবে'। 'নিউ ইয়র্ক টাইমস'-এর খবরে প্রকাশ : সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সাহায্যের জন্য সিআইএর জোর তৎপরতা চলছে তুরস্কে। তুরস্কের মাধ্যমে অস্ত্র সাহায্য এবং তুরস্ক সানন্দে এই অকূটনৈতিক কাজ করে চলেছে সিরিয়ার সঙ্গে তার যুদ্ধাবস্থার সম্পর্ক তৈরি না হওয়া সত্ত্বেও।
লক্ষ করার বিষয়, সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইঙ্গ-মার্কিন ফরাসিদের ক্রমাগত অভিযোগ যে বাশার সরকার গণহত্যার মতো যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। যথারীতি ইঙ্গ-মার্কিন লবি জাতিসংঘকে শিখণ্ডী হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। এখন সেই জাতিসংঘেরই অভিযোগ : সামরিক প্রাধান্য অর্জনের জন্য সিরিয়ায় সরকার ও বিদ্রোহী বাহিনী উভয়ই সহিংসতা তীব্র করে তুলেছে। শান্তির জন্য রাশিয়া দুই পক্ষের প্রতিই চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু উভয় দিকে চাপ বাড়ানো দূরে থাক, ইঙ্গ-মার্কিন-ফরাসি কর্তৃপক্ষ বিদ্রোহীদের ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও মেশিনগানসহ ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। যারা 'মানবাধিকার মানবাধিকার' বলে চিৎকার করে আসাদবিরোধীদের দল ভারী করছে, তাদের একবার ভেবে দেখা দরকার, সিরীয় বিদ্রোহীদের অস্ত্রে ও অর্থে সুসজ্জিত করে তাদের স্বার্থবিরোধী বলেই একটি সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা কোন অধিকারে পড়ে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এই খেলা নতুন ঘটনা নয়। কয়েক দশক ধরে তারা এই খেলা চালিয়ে গেছে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে। আর তাতে জানমালের কম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সেসবে ভ্রূক্ষেপ করেনি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। তখন মানবাধিকারের প্রশ্ন ওঠেনি কেন? এখনো ওঠে না কেন?
যে জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানের আমলে ইরাকে নগ্ন-নির্লজ্জ হামলা বুশ-ব্লেয়ারের নেতৃত্বে, জেনেশুনেও তা ঠেকাতে পারেননি কফি আনান। গণবিধ্বংসী অস্ত্রের দেখা মেলেনি; কিন্তু ওই মিথ্যা অজুহাতে সাদ্দামহত্যা ও বাগদাদ দখল সম্পন্ন হয়েছে। তখন কোথায় ছিলেন মানবাধিকার নেতারা? সেই গোলাগুলি-আগুন এত বছরেও শেষ হয়নি। একটি সভ্যতা ধ্বংস করার অপরাধে বুশ-ব্লেয়ারের তো আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু কে করবে তাঁদের বিচার? তাঁরাই তো একদিকে আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক, অন্যদিকে হন্তারক।
সেই কফি আনান এখন সিরিয়ার সহিংসতায় আন্তর্জাতিক শক্তি কর্তৃক নিয়োজিত মধ্যস্থতাকারী। কী করবেন তিনি বা কী করতে পারবেন তিনি। তাঁর হাত-পা কর্তাদের হুকুমে বাঁধা। তবু তাঁকে বলতে হচ্ছে যে সিরিয়ার সহিংসতায় বাইরের শক্তি জড়িত। তাহলে তো মানতে হয় যে সিরিয়ায় বাইরের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা উচিত। সিরিয়ার সমস্যা তাকেই সমাধানের সুযোগ দেওয়া দরকার। বাইরের শক্তি নিয়ে বিদ্রোহীদের আক্রমণ না ঘটলে সিরিয়ার সরকারকেও আক্রমণ চালাতে হতো না। মানবাধিকার তাতে রক্ষিত হতো।
কিন্তু বহিঃশত্রু সে আহ্বানে সাড়া দেবে না। কারণ ইঙ্গ-মার্কিন শক্তির পক্ষে দরকার বাশারের পতন ঘটানো, সেখানে পুতুল সরকার বসানো, যেমন বসানো হয়েছে ইরাক ও লিবিয়ায়। তাতে ইসরায়েলবিরোধী শক্তির ডানা কাটা সম্ভব হবে। সবচেয়ে বড় কথা, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থের বিরোধী শেষ কাঁটাটি তুলে ফেলা যাবে, লেবাননে খ্রিস্টান-ইহুদি স্বার্থ রক্ষা পাবে, সেখানে ইঙ্গ-মার্কিন প্রাধান্য বাড়বে, কোণঠাসা করা যাবে ইরানকে- তাকে পর্যুদস্ত করে অপমানের প্রতিশোধ নেওয়া যাবে। এ রণ-কৌশল কি চীন-রাশিয়া বোঝে না? যদি না বুঝে থাকে, তাহলে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক দরবার হলে অনেক লজ্জা জমা হবে। আর দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর জন্য অনেক দুঃখ।
সব মিলিয়ে অবস্থা এখন মারাত্মক। সিরিয়া এখন ঠিকই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। একেকটি শহরে যুদ্ধাবস্থায় আটক লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বিপন্ন- ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানোর উপায় নেই। এমনটাই চেয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। তাদের নিয়োজিত কথিত শান্তির দূত কফি আনান কী করবেন বা করতে পারবেন? মনে হচ্ছে, সিরিয়ার পতন আসন্ন।
সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ কারো কারো অভিমত, সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় সমঝোতামূলক যুদ্ধবিরতি। এবং একটি জাতীয় সরকার গঠন। শেষোক্ত ব্যবস্থাটি অবশ্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পক্ষেই যাবে, তবু মানুষ বাঁচবে, ধ্বংসের হাত থেকে সিরিয়া বাঁচবে- এমনটাই অনেকের ধারণা। কিন্তু এমন প্রস্তাবে সিরিয়ার দুই পক্ষই সম্ভবত রাজি নয়, রাজি কি চীন-রাশিয়া? তাদেরও তো একটা হিসাব-নিকাশ আছে। সিরিয়া কি শেষ পর্যন্ত একটি শোকগাথা হয়ে শেষ হবে?
লেখক : ভাষাসংগ্রামী, কবি, প্রাবন্ধিক

No comments

Powered by Blogger.