রিপোর্টারের ডায়েরি

জেনেভায় মাথা গোঁজার ঠাঁই ২৯ নবেম্বর, রবিবার। স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমাদের উড়োজাহাজ এসে নামল। বহু দিনের লালিত স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। মনের মধ্যে দুটি ভয় কাজ করছে, এক_ ভালয় ভালয় ইমিগ্রেশন পার হওয়া এবং দ্বিতীয় ভয় মাথা গোঁজার একটা জায়গা পাওয়া।


জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাকার ব্যাপারে আমার দেশ পত্রিকার দিলালের ওপর নির্ভর করে আছি। সে বলেছে তার একাধিক থাকার ব্যবস্থা আছে এবং তার সঙ্গে আরও একজন থাকতে পারবে। সে আশায় বুক বেঁধে উড়োজাহাজে সিটবেল্ট বাঁধলাম। আসার আগে সিপিডির সাবেক নির্বাহী পরিচালক ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকেও থাকার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়েছি। দেখা যাক কি হয়?
ছোট্ট এয়ারক্রাফট। আসনগুলো বেশ চাপা। অনেকটা গাদাগাদি করে বসতে হলো। সাত ঘন্টা লাগবে জেনেভা পেঁৗছতে। গাদাগাদি করে বসালেও বিমানবালাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। আমরা বাংলাদেশীরা বিচ্ছিন্নভাবে বসেছি বলে চুপচাপ ছিলাম। কিন্তু ভারতীয় যাত্রীরা বেশ হৈচৈ করে সময় কাটিয়েছে।
পাইলট ঘোষণা দিল, দুপুর একটায় উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বিমানবালারা এসে জানালাগুলো খুলে দিল। বাইরে খোলা আকাশ। হঠাৎ চোখ গেল নিচের দিকে। দৃশ্যমান হলো কালাপাহাড়ের ওপর সাদা বরফের কুচি। সূর্যের আলোয় সাদা বরফগুলো ঝিলিক দিচ্ছে। জানালা দিয়ে অবাক বিস্ময়ে শুধু তাকিয়েই ছিলাম, বরফে ঢাকা সাদা পাহাড়গুলো দেখতে এত সুন্দর হতে পারে! শেষ বেলার হালকা রোদের আলোয় বরফের ঝিলিক_ এমন অপূর্ব দৃশ্য আগে কখনও দেখিনি। এয়ারপোর্টের কাছে আসতেই দেখা গেল সাজানো গোছানো বাড়িঘর, পরিচ্ছন্ন রাস্তা। ইউরোপের সেই চিরাচরিত দৃশ্য। অবতরণের পর যার যার লাগেজ নিয়ে এক সঙ্গে সবাই উড়োজাহাজ থেকে নেমে এলাম। কড়িডরে সবাই একত্রিত হয়ে ইমিগ্রেশনের দিকে হাঁটতে লাগলাম। জানালায় আশপাশের দৃশ্য চোখে পড়ল। ছোট্ট বিমানবন্দর। তেমন জৌলুস নেই। একেবারেই সাদামাটা। তবে বাইরের দৃশ্য চমৎকার। দূরে পাহাড়ের সারি। সব পাহাড়ই সাদা বরফে ঢাকা। উড়োজাহাজ নামার সময় ওই পাহাড়ের ওপর দিয়ে এসেছে।
উড়োজাহাজ থেকে নেমে ইমিগ্রেশনে আসতে অনেকটা পথ হাঁটতে হলো। উড়োজাহাজের পুরোটাই বোঝাই ছিল। সবাই জেনেভা এসেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে। এয়ারপোর্টের ভেতরে ঢুকতেই মোহভঙ্গ হলো। জেনেভার এত নাম-ডাক শুনেছি। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর। জাতিসংঘের রাজধানী বলা হয়। সেই শহরের এয়ারপোর্ট একেবারেই সাদামাটা! আভিজাত্যের তেমন কোন জৌলুস নেই। সময় ব্যয় না করে ইমিগ্রেশনের লাইনে দাঁড়ালাম। খুব বেশি সময় লাগল না লাইন ছোট হতে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার কাছে পাসপোর্ট দিতেই এক মিনিটেরও কম সময়ে ছবি ও ভিসা দেখে পাতায় সিল মেরে ফেরত দিল। কোন কিছু বোঝার আগেই সুইজারল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে গেলাম। মন থেকে প্রথম ভয় এত দ্রুততায় চলে গেল যে, বুঝতে পারলাম সেবার কারণেই তারা এত ওপরে উঠতে পেরেছে।
এবার লাগেজ নেয়ার জন্য আমরা ব্যস্ত হলাম। অনেক লাগেজ। তাই ট্রলি নেয়ার জন্য হাত বাড়ালাম। সারি সারি ট্রলি রাখা আছে। কিন্তু ট্রলি ধরতে গিয়ে হোঁচট খেলাম। এই ট্রলি ব্যবহার করতে হলে ভাড়া দিতে হবে। এই প্রথম দেখলাম কোন এয়ারপোর্টে ট্রলিও ফ্রি না। এজন্য ভাড়া গুনতে হবে। সব কিছুই অর্থের বিনিময়ে করতে হয়। তার কথায় বিফল হয়ে ট্রলি ছাড়াই লাগেজ আসার বেল্টের সামনে দাঁড়ালাম। আমাদের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমানও আছেন। দ্রুত লাগেজ চলে এল। তা সংগ্রহ করে সামনের দিকে পা বাড়ালাম।
এমন সময় এক কর্মকর্তা এসে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা কি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন? আমরা বললাম, হঁ্যা। ওই কর্মকর্তা বললেন, বাংলাদেশ থেকে কয়েকজন সাংবাদিক আসবে, তাদের নিতে এসেছি। তিনি তালিকা বের করে বললেন, ঢাকা থেকে পাঁচ জন সাংবাদিক আসার কথা। আমরা জানালাম, আমরা আটজন এসেছি। তাছাড়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য মাহবুবুর রহমান সাহেব এসেছেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের ওই কর্মকর্তাটির নাম মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি চিন্তায় পড়ে গেলেন, একটি গাড়িতে এত লোক ধরবে কিনা! বললাম, অসুবিধা নেই, গাদাগাদি করে চলে যাব। তিনি জানালেন, আরও একটি প্রাইভেট কার আছে। এক ঘন্টা পর আরও একজন প্রতিনিধি আসবেন, তাঁকে নেয়ার জন্য। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল পাশেই একটি হোটেলে উঠেছে। মাহবুব সাহেবকে ওই গাড়ি নামিয়ে দিতে পারবে। আর সাংবাদিকদের নিয়ে অপর মাইক্রোবাস শহরে চলে যাবে। মাহবুব ভাই বললেন, কোন চিন্তা করোনা আমরা ট্যাক্সি নিয়ে চলে যাব।
মোয়াজ্জেম সাহেবের সঙ্গে সবারই আলাপ পরিচয় হলো। তিনি বললেন, এখানে কোন কিছুই ফ্রি না। এরই মধ্যে দিলাল মোয়াজ্জেম সাহেবের টেলিফোন নিয়ে তার থাকার জায়গাগুলোতে কথা বলল। উত্তর ভাল না। জানাল, উনি একজনের থাকার ব্যবস্থা করবেন। অন্য কারও জন্য পারবেন না। এ কথা জানিয়ে কোথায় উঠবে সে ব্যাপারে দিলাল আমার মতামত জানতে চাইল। আমি বললাম, চলুন যাই, যেখানে থাকব, সেখানে তিনজনই থাকব। মোয়াজ্জেম ভাইকে বলা হলো, যেভাবেই হোক আমাদের জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করতে। মাহবুব ভাইও জোর দিয়ে বললেন। তিনি আশ্বাস দিয়ে আমাদের নিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এলেন। শেষ পর্যন্ত আমি আর বাবলু মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের হোটেলে গেলাম। বাকিরা চলে গেল তাদের জন্য বুকিং দেয়া হোটেলে। তাদের নামিয়ে দিয়ে গাড়ি আসবে আমাদের নিতে। বিমানবন্দরের কাছেই একটি পাঁচতারা হোটেলে সরকারী প্রতিনিধি দলের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা লাগেজ নিয়ে লবিতে অপো করলাম, মাহবুব ভাই গেলেন রুমে ফ্রেশ হতে।
হোটেলটি বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। একের পর এক অতিথিরা আসছে। বোঝাই যাচ্ছে সকলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছে। কিছুণের মধ্যেই মাহবুব ভাই ফিরে এলেন। আমাদের নিয়ে গেলেন খাওয়াতে। রেস্টুরেন্টেও জায়গা নেই। শেষে লবির একটি রেস্টুরেন্টেই বসলাম। ফ্যামিলি সাইজের স্যান্ডইচ ও কফির অর্ডর দিলেন। খাবার আসতে বেশ দেরি হলো। এরই মধ্যে মাহবুব ভাই টেলিফোনে মোয়াজ্জেম সাহেবের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। তিনি জানালেন, হোটেলে একটি রুম পাওয়া গেছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেটি বুক করার অনুরোধ করলেন। তিনি আরও জানালেন, আমাদের না পেয়ে গাড়ি এসে ফিরে গেছে।
ইতোমধ্যে দিলাল মাইক্রোবাস নিয়ে আমাদের নিতে এসেছে। সে জানাল, একটি রুম পাওয়া গেছে। সেটি আমার নামে বুকিং দেয়া হয়েছে। প্রতিদিনের জন্য ভাড়া পড়বে ১৬০ ডলার। বলল, সঠিক আছে। এক রুমে তিনজন মিলে থাকব। তাতে ভাড়াও শেয়ার কবর। তাহলে কারও ওপর চাপ সৃষ্টি হবে না। সে আরও জানাল, আসার সময় সে ডবি্লউটিও হেডকোয়ার্টার থেকে প্রেস এ্যাক্রিডিটেশন কার্ড নিয়ে এসেছে। গেলেই খুব দ্রুততার সঙ্গে দিয়ে দেয়। সময় লাগে না। ঠিক করলাম আমরা প্রেস কার্ড নিয়ে তারপর হোটেলে যাব। তিন দিনের জন্য বুকিং দিয়ে চাবি নিয়ে হোটেলের রুমে ঢুকলাম। খুব দ্রুত লাগেজ রেখে বেরিয়ে পড়লাম কাজে। অন্যদের কাউকে পাওয়া গেল না। আমরা তিনজন প্রথমে গেলাম ডবি্লউটিও কার্যালয়ে। সেখানে সিঁড়ির ওপর দেখা মিলল বাংলাদেশ প্রতিধিনি দলের সদস্য সিপিডির প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান ও ট্যারিফ কমিশনের মোস্তফা আবিদের সঙ্গে। তাঁরা এলডিসি গ্রুপের বৈঠক করে বেরিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বৈঠকের তথ্যাদি সংগ্রহ করলাম। তাঁরা জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান পাশেই উইলসন হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। ছুটলাম সেখানে। মোস্তাফিজ ভাই স্মরণ করিয়ে দিলেন রাতে আঙ্কটাডের মহাপরিচালকের উপদেষ্টা ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের বাসায় দাওয়াতের কথা। দেবপ্রিয়দা ঢাকায় থাকতেই ২৯ নবেম্বর রাতে তার বাসায় খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন। সম্মেলন শুরু হলে আর সময় দিতে পারব না, এ কারণে তিনি সম্মেলন শুরুর আগের দিনই দাওয়াত দিয়েছেন। আমাদের নিতে রাত ৮টায় তিনি জেনাভার প্রধান রেল স্টেশনের সামনে থাকবেন।
হোটেল খুঁজে বের করতে দেরি হয়ে গেল। ফলে বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্রিফিং ধরতে পারলাম না। অন্যরা নিয়েছে। ডবি্লউটিও সেলের মহাপরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রীর ব্রিফিং নিলাম। তিনি এখন অন্য দেশের মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাকি মিটিং করছেন। তথ্য সংগ্রহ করলেও ঢাকায় নিউজ পাঠানোর সুযোগ নেই। কারণ ঢাকায় তখন রাত ১২টা বেজে গেছে। কাল মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হবে। একেবারে সেই নিউজই পাঠাব। সবারই একই অবস্থা। তাই সবাই মিলে চললাম রেল স্টেশনে।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই রেল স্টেশনে দল বেঁধে গিয়ে দেখি দেবপ্রিয়দা দাঁড়িয়ে আছেন। সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন। সঙ্গে সবাইকে পকেট সাবধান রাখার এবং স্থানীয় কারও সঙ্গে আগবাড়িয়ে কথা না বলার পরামর্শ দিলেন। বললেন, এই রেল স্টেশনেই তাঁর দুই হাজার ডলার পকেটমার হয়েছে। তাঁর কথা শুনে শুধু সতর্কই না, মানিব্যাগ বের করে বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলাম। কারণ ডলার খোয়া গেলে মাঠে মারা যাব। আমি বললাম, যতটা শীতের ভয় দেখিয়েছিলেন ততটা শীত কিন্তু নয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জবাব দিলেন, একমাত্র আপনিই দস্তানা ও কানমুজা পরে আছেন। আর কেউ কিন্তু পরেনি। দাদার সঙ্গে অবশ্য কখনওই কথায় পারা যায় না। তাই আমিও নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। এরই মধ্যে খোঁজ পড়ল, আমাদের সঙ্গে দিলাল নেই। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নানা জনের নানা মন্তব্য। অনেকণ পর তাকে পাওয়া গেল। সবাই চললাম তার পিছু পিছু। দুই রুমের একটি বাসা। একটি ড্রইং রুম, অন্যটি তাদের থাকার রুম। ওখানেই বৌদি আর দেবপ্রিয়দা থাকেন। পানীয়সহ আমাদের জন্য নানা আয়োজন। সবাই গা থেকে বস্তা বস্তা গরম কাপড় খুলে আয়েশ করে বসলাম। দেবপ্রিয়দা বললেন, কেন যে আমার বাসায় আপনাদের কাউকে থাকার জন্য বলিনি এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। বুঝলাম, এত ছোট বাসা যে বাইরের কারও থাকার মতো অবস্থা নেই। যাই হোক, ইরিনা বৌদি বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে আপ্যায়ন করলেন। গল্পগুজব আর রাতের খাবার খেয়ে যখন বাসা থেকে বের হলাম তখন বেশ জোরেশোরেই বৃষ্টি হচ্ছে। করার কিছুই নেই। ছাতা নিয়েও বের হইনি। সবাই ভিজতে ভিজতেই বাসের যাত্রী ছাউনিতে এসে দাঁড়ালাম প্রধান রেল স্টেশনগামী বাস ধরার জন্য।
_কাওসার রহমান

মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা
২৭ ডিসেম্বর, রবিবার। মাগুরার গ্রামে হয়ে গেল মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা। মেলার সংবাদ সংগ্রহের জন্য আমরা কয়েকজন সাংবাদিক হাজীপুর গ্রামে যাই। বিকালে মাগুরা সদর উপজেলা হাজীপুর হাইস্কুল প্রাঙ্গণে '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর হাতে শহীদ ২৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার 'স্মরণ সভা' অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পু্#৬৩৭৪৩;স্তবক অর্পণ, স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. এম এস আকবর এমপি, এডভোকেট বীরেন সিকদার এমপি, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শাহরিয়ার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন। সভাপতিত্ব করলেন মোঃ লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ নবেম্বর কামান্না গ্রামে রাজাকারদের বিশ্বাসঘাতকতায় পাকবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে ২৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন আলমগীর, মতলেব, আলী হোসেন, কাদের, মোমিন, ওয়াহেদ, রিয়াদ, শরীফুল, আলিউজ্জামান, আজিজ, আকবর, মনিরুজ্জামান, মাছিম, রাজ্জাক, শহিদুল, সলেমান, আব্দুর রাজ্জাক, কাওছার, সালেক, সেলিম, হোসেন আলী, খন্দকার রাশেদ, গোলজার, তাজুল ইসলাম, আনিসুর, গৌর ও অধীর। কামান্না স্কুল মাঠের পাশে নদীর ধারে ৫টি গণকবরে এ শহীদদের সমাধি রয়েছে। তাদের অধিকাংশের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিচারণ করেন। শেষ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা।
_সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা

No comments

Powered by Blogger.