ভারত-বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রের অভাব! by ইমতিয়াজ আহমেদ

ষাট বছরের বেশি যে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে সেখানে কেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে? আমলাতন্ত্র, আর্মি এবং ব্যবসায়ী জগতে যদি পেশাদারিত্বের চর্চা সফলতার সঙ্গে অনুসৃত হয় তাহলে রাজনৈতিক দলে কেন নয়? ভারত যে বারবার হোঁচট খাচ্ছে তার কারণ চিহ্নিত করতে তাই সমস্যা হয় না।


তাদের গণমাধ্যম শক্তিশালী। সিভিল সোসাইটি সক্রিয়ভারতের খ্যাতিমান সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার। তার লেখার পাঠক বিশ্বব্যাপী। কিছুদিন আগে এক আলোচনায় তিনি বলেছিলেন, ভারতের শাসকরা সোললেস হয়ে পড়েছে। সোললেস শব্দটির বাংলা করা যায় আত্মাহীন কিংবা নিষ্প্রাণ। অথবা অনুভূতিহীনই কি উপযুক্ত শব্দ? এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য তিনি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছেন।
কুলদীপ নায়ার প্রবীণ হলেও এখনও সক্রিয় সাংবাদিকতায় যুক্ত। তবে রজনী কোঠারি অবসর জীবনে চলে গেছেন। ইন্ডিয়ান কংগ্রেস সিস্টেম এবং রি-থিংকিং ডেমোক্রেসি নামে বই লিখেছেন তিনি।
তার বিবেচনায় ভারত 'ফেইলড ডেমোক্রেটিক স্টেট'।
এদের দু'জনের তুলনায় অরুন্ধতী রায় বয়সে নবীন। মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনার পর তার সম্প্রতি প্রকাশিত বইয়ের নাম ব্রোকেন রিপাবলিক। রাষ্ট্র জনতা থেকে কত দূরে, এটাই তিনি বলতে চেয়েছেন।
তিন প্রজন্মের তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তারা। তবে তাদের কথা ও মতে ব্যক্ত হয় নিজ নিজ প্রজন্ম এবং তার বাইরেও অনেকের কথা। তাদের নিজেদের মধ্যে সব ইস্যুতে যে মিল রয়েছে, সেটা বলা যাবে না; কিন্তু একটি মিল স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে_ ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ। এই যে অভিন্ন উদ্বেগ, সেটা কিন্তু আরও অনেককে উদ্বিগ্ন করে। ষাটের দশক ধরে দেশটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অধীনে রয়েছে। পাশ্চাত্যেও তাদের স্বীকৃতি_ বিশ্বের বৃহত্তর গণতন্ত্রের দেশ। এটা অবশ্য বলা হয় জনসংখ্যার বিবেচনায়। চীনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে তারা এ সম্মান পাবে। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি দু'বছরের জরুরি আইনের শাসন বাদ দিলে ভারতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোতে নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭২ সালে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন একেবারেই ব্যতিক্রম, এ ছাড়া আর কোনো নির্বাচনের ফল নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। পাশ্চাত্যের অনেক দেশের তুলনায় ভারতের নির্বাচনগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতির হারও বেশি। তারপরও কেন একজন বয়োজ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ভারতকে বলছেন সোললেস এবং আরেকজন বলছেন ব্রোকেন রিপাবলিক? কেনই-বা বলা হচ্ছে_ ফেইলড ডেমোক্রেটিক স্টেট? অনেক ধরনের পরিসংখ্যান এক 'উজ্জ্বল' ভারতের চিত্রই বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে। আবার আরও কিছু পরিসংখ্যান আছে, যাকে বলা যায় মুদ্রার অপর পিঠ! ২০০৩ সালে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির হিসাবে ভারতের অবস্থান ছিল বিশ্বের মধ্যে ৫৪তম; কিন্তু মাত্র ৮ বছর পর ২০১১ সালে তারা উঠে আসে দশম স্থানে। আবার এই একই ভারত মানব উন্নয়ন সূচকে ১৮৭টি দেশের মধ্যে কোনো রকমে নিজের স্থান করে নিয়েছে ১৩৪-তে। আয়, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এসব সূচক বিবেচনায় তাদের এ করুণ অবস্থান। জিডিপিতে অগ্রগতি চোখ ধাঁধানো, কিন্তু মানব উন্নয়ন সূচকে কেন এত পেছনে? ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণা সূচকেও ভারতের অবস্থান উদ্বেগের জায়গায়। টু জি এবং কোল-গেট নিয়ে গোটা ভারত উত্তাল। আন্না হাজারের মতো আরও অনেক বিশিষ্টজন এখন দুর্নীতি ইস্যুতে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। জাতিসংঘের ২০১০ সালের একটি তথ্যও চমকপ্রদ_ ভারতে টয়লেটের চেয়ে মোবাইল ফোনের সংখ্যা বেশি। টেলিভিশন বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য সূত্র থেকে বলতে পারি, গত চার বছরে মোবাইল ফোনের সংখ্যা যতটা বেড়েছে, সে তুলনায় নাগরিক কিংবা অপরিহার্য ব্যক্তি-সুবিধা যে বাড়েনি _সেটা নিশ্চিত।
আরও পরিসংখ্যান উল্লেখ অপ্রাসঙ্গিক হবে না। স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাদের মার্চ, ২০১২ সংখ্যায় লিখেছে_ ভারত হচ্ছে বিশ্বে অস্ত্রের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ। সব দেশ মিলে যত অস্ত্র আমদানি করে তার ১০ শতাংশ আমদানি ভারতের। এ দেশটিতেই করপোরেট খাত ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কর ফাঁকি দিয়েছে ২০ হাজার ৫০০ কোটি রুপি। অথচ সরকারের হাতে ৫ বছর বা তার কম বয়সী অপুষ্টির শিকার শিশুদের (মোট শিশুর ৪৭ শতাংশ) পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই। খ্যাতিমান চিকিৎসক এ পরিস্থিতিকে বলেছেন, ডেভেলপমেন্টাল টেরোরিজম। আরেকটি পরিসংখ্যান_ ১৯৯৬ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে আড়াই লাখ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। মানব ইতিহাসে আত্মহত্যার যেসব রেকর্ড সংরক্ষিত তাতে এমন সংখ্যা আর কোথাও নেই।
এই বৈপরীত্য নিয়েই চলছে ভারত_ উন্নয়ন, দুর্নীতি, আত্মহত্যা। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং স্বীকার করে নিচ্ছেন যে মাওবাদীরা বড় ধরনের হুমকি। বৃহৎ দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় তারা সক্রিয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রটি কীভাবে এমন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ল? বাংলাদেশে 'ব্লেম গেম' পরিচিত শব্দ। ভারতেও তা রয়েছে। সেখানকার রাজনৈতিক শক্তি ও গণমাধ্যম অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যার জন্য বাইরের শক্তিকে দায়ী করে থাকে। পাকিস্তানের দিকে প্রায়শই তীর ছোড়া হয়। বাংলাদেশও কখনও কখনও অভিযুক্ত হয়। এক সময়ে মাওবাদীদের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে কথা হতো। তবে এখন স্পষ্ট যে চীন এদের সঙ্গে নেই। বরং দেশেই এ শক্তির জন্ম ও বিকাশ। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দুর্বলতাকে এজন্য দায়ী করা হচ্ছে। অন্য কথায়, গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রের অভাব! কোথায়
সবলতা, কোথায় দুর্বলতা তার প্রতি নজর দেওয়া হচ্ছে।
ভারতে এখন আমলাতন্ত্র প্রচণ্ড ক্ষমতাধর। তাদের পেশাদারিত্ব স্বীকৃত। মেধাই নিয়োগলাভ ও পদোন্নতির মূল ভিত্তি। রাজনৈতিক আনুগত্যের জন্য উচ্চপদে আসীন হওয়ার ঘটনার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাজনৈতিক নেতৃত্বও বুঝতে পারে যে এ পথে চলতে গেলে বড় ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হবে। মেধাই নিয়োগের ভিত্তি হওয়ায় সরকারের কাজে ধারাবাহিকতা থাকে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও আমরা এর প্রতিফলন দেখতে পাই।
ভারতের সেনাবাহিনীও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। দেশটি মাঝে মধ্যেই যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে। চীনের সঙ্গেও উত্তেজনা রয়েছে সীমান্ত নিয়ে। কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশে সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত থাকতে হয়। এ অবস্থায় পেশাদারিত্ব অপরিহার্য। আত্মীয়তা কিংবা অন্য কোনো ধরনের আনুগত্যের ভিত্তিতে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তার খেসারত কোনো না কোনো সময়ে দিতেই হয়।
ভারতের করপোরেট হাউসগুলোর মধ্যেও পেশাদারিত্বের মনোভাব লক্ষণীয়। টাটা-বিড়লা-রিলায়েন্স এবং এ ধরনের বড় বড় হাউস এখন বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তারা প্রধান নির্বাহী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিবারের বাইরে তাকাচ্ছে।
কিন্তু এর নেতিবাচক দিক হচ্ছে, রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ কিংবা বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে কিছু করতে চাইলে আমলাতন্ত্রের সাড়া পেতে সমস্যা হয়। তারা চলে চারদিক দেখেশুনে এবং সিদ্ধান্ত নেয় ধীরগতিতে।
আমলাতন্ত্র, সশস্ত্র বাহিনী এবং ব্যবসায়ী জগতের পেশাদারিত্ব স্বীকৃত; কিন্তু সমাজের গণতন্ত্রায়নে মূল শক্তি হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এখানেই বড় দুর্বলতা। শুধু ভারতে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেই আমরা দেখছি যে রাজনৈতিক দলগুলো পেশাদারিত্বের পথে চলতে পারছে না। ২০১১ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, যেসব পার্লামেন্ট সদস্যের (লোকসভা) বয়স ত্রিশের নিচে তারা মনোনয়ন পেয়েছেন পারিবারিক প্রভাবের জোরে। যাদের বয়স ৪০ বছরের কম তাদের তিনভাগের দুইভাগ এসেছেন রাজনৈতিক পরিবার থেকে। ২৭ জন লোকসভা সদস্যকে বলা হয় 'হাইপার হেরিডিটরি'। একাধিক পারিবারিক কানেকশনই এর মূলে। তাদের মধ্যে ১৯ জন নেহরু-গান্ধী পরিবারের সঙ্গে যুক্ত।
এই যে রাজনৈতিক কাঠামো তার কারণেই দুর্নীতির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মত দিচ্ছেন। কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সেটা নির্ধারণে পেশাদারিত্ব আদৌ গুরুত্ব পায় না। পরিবার প্রাধান্য পায়। অর্থও ভূমিকা রাখে। যেসব আসনে দলের জয়লাভে অনিশ্চয়তা বা শঙ্কা থাকে অর্থাৎ প্রতিপক্ষ দলের সঙ্গে সমান সমান অবস্থা বিরাজ করে, সেখানে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে সম্পদ ও অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা যোগ্যতা হিসেবেই বিবেচিত হয়। এভাবে যারা দায়িত্বে আসেন তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়াতে। পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ভোটারদের পরিবর্তে দলের কোটারিগোষ্ঠীকে তুষ্ট রাখার দিকে তাদের বেশি মনোযোগ থাকে। দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র থাকলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো, তাতে সন্দেহ নেই।
গণতন্ত্রের কাঠামোর আরেকটি সমস্যা হচ্ছে লোকসভার প্রতিটি আসনে ভোটার সংখ্যা। গড়ে ১১ লাখের মতো ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করেন একেকজন সদস্য। লোকসভার সদস্যরা সঙ্গত কারণেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন না। তাদের মধ্যস্তরে অনেক লোক দরকার হয়। এদের ভরণপোষণে অর্থ ব্যয় হয় এবং সে কারণেও দুর্নীতি ঘটে। ব্রিটেনে ভিন্ন চিত্র। সেখানে ৪০ হাজার ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করেন কমন্সসভার সদস্যরা। এ সংখ্যা ছাড়িয়ে গেলেই আসন বাড়ানো হয়।
সম্প্রতি ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রণব মুখার্জি। তিনি যে যোগ্য রাজনৈতিক নেতা তাতে সন্দেহ নেই। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর সময় প্রণব মুখার্জি ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য এবং তখন তার বয়স ছিল পঞ্চাশেরও কম। সে সময়ই তার নাম প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আলোচিত হয়। কিন্তু কংগ্রেস বেছে নেয় রাজনৈতিকভাবে একেবারেই নবীন রাজীব গান্ধীকে। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি অর্থ, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ সব মন্ত্রণালয় সামলেছেন। স্বীকৃতি পেয়েছেন ক্রাইসিস সামাল দেওয়ার যোগ্য লোক হিসেবে। তাকে কেন রাষ্ট্রপতির আলঙ্কারিক পদে অধিষ্ঠিত করা হলো? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত হচ্ছে, ভারতে মনমোহন সিংয়ের পরে কে_ এ প্রশ্ন যেহেতু উঠছে এবং এ ক্ষেত্রে প্রণব মুখার্জির নাম অনেকের মুখে উচ্চারিত হয় তাই তাকে আগেভাগেই সরিয়ে দেওয়া হলো। ভারতের পরবর্তী নেতা হিসেবে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উচ্চারিত হয়। পেশাদারিত্ব প্রাধান্য পেলে প্রণব মুখার্জি তাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে থাকবেন; কিন্তু একদিকে আত্মীয়তার গণ্ডি ভাঙতে না পারা, অন্যদিকে দলের মধ্যে তোষামোদকারী শক্তির উপস্থিতি দলে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা বিকশিত হতে দেয় না।
ষাট বছরের বেশি যে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে সেখানে কেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে? আমলাতন্ত্র, আর্মি এবং ব্যবসায়ী জগতে যদি পেশাদারিত্বের চর্চা সফলতার সঙ্গে অনুসৃত হয় তাহলে রাজনৈতিক দলে কেন নয়? ভারত যে বারবার হোঁচট খাচ্ছে তার কারণ চিহ্নিত করতে তাই সমস্যা হয় না। তাদের গণমাধ্যম শক্তিশালী। সিভিল সোসাইটি সক্রিয়। বন্দনা শিবা, আশীষ নন্দী, রজনী কোঠারি এবং এ ধরনের আরও অনেক নাম এখন বিশ্বে সুপরিচিত। রাজনৈতিক দলে পেশাদারিত্বের অভাবকে তারা বড় সমস্যা মনে করছেন। এটা যত তাড়াতাড়ি দূর হবে, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। এটা তারা করতে পারলে দক্ষিণ এশিয়া এবং তার বাইরেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর বিপরীতটি (প্রকৃতপক্ষে এখন যেটা চলছে) সবার জন্যই ক্ষতিকর।
ভারতের এ অভিজ্ঞতা থেকে কিন্তু বাংলাদেশেরও শেখার রয়েছে।

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : অধ্যাপক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক
 

No comments

Powered by Blogger.