এভারেস্ট অভিযাত্রী

যে কোন উচ্চতা ছুঁয়ে যাওয়া যেন মানুষের নেশা। ক্যারিয়ারের সুউচ্চ শিখরে কিংবা সাধনার শীর্ষস্থানে নিজের নাম লেখানোর জেদ সবারই থাকে। তেমনি সাধ জাগে কোন সুউচ্চ শৃঙ্গের চূড়াটা ছুঁয়ে আসার। আর এই সুউচ্চ শৃঙ্গটি যদি হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তাহলে তো কথাই নেই।


মনের অদম্য স্পৃহা আর সাহসকে সঞ্চয় করে সেটা জয় করার সাধ তো জাগবেই। হিমালয় পর্বতমালার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গটির নাম এভারেস্ট। যা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বত। সেই এডমন্ড হিলারি থেকে বহু মানুষ আজ অবধি জয় করেছে এভারেস্টের চূড়া। এ যেন এক গৌরবময় ইতিহাস। সে ইতিহাসের অংশীদার এখন আমরাও। এ দেশের মানুষও দেখিয়ে দিল এভারেস্ট জয় করার শক্তি সামর্থ্য আমাদেরও রয়েছে। বিশ্ব আরেকবার চিনে নিল বাংলাদেশকে। তবে এ কাজটি খুবই কষ্টসাধ্য একটি। যে কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় এভারেস্ট জয় করা। এর জন্য প্রয়োজন অদম্য সাহস, সঠিক প্রশিক্ষণ। উঁচু উঁচু খাড়া পাহাড়ে হুট করে ওঠা সম্ভব নয়। তাও আবার এভারেস্টের মতো পর্বত। সে কারণে সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়া পাহাড়ে বেয়ে ওঠা সম্ভব নয়। সুখবর হচ্ছে, এখন আমাদের দেশেই রয়েছে এভারেস্ট জয় করার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এভারেস্ট একাডেমী। পর্বতারোহণের বিভিন্ন ধরনের টেকনিক্যাল সরঞ্জাম নিয়ে তরুণ-তরুণীরা সম্প্রতি এ একাডেমী থেকে শেষ করেছে প্রি-বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং ট্রেনিং কোর্স। যার সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহিম। ২০১৪ সালে এভারেস্ট জয়কে টার্গেট করে চলছে এ প্রশিক্ষণ। পর্বতে ফিক্সড রোপে আরোহণ, নামার নিয়ম, ফাটল পার হওয়া, দলের সদস্য কেউ পড়ে গেলে তাকে রক্ষার কৌশল, অসুস্থ হলে সে মুহূর্তে করণীয় ইত্যাদি শেখানো হবে প্রশিক্ষণে। প্রি-বেসিকের অংশ হিসেবে বান্দরবনের খাড়া ট্রেইলে ট্রেকিং করেছে শিক্ষার্থীরা। এভারেস্ট একাডেমী শুধু ট্রেকিং নয় সাঁতার, ট্রায়ালথন, ম্যারাথনসহ অ্যাডভেঞ্চারের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
যাপিত ডেস্ক

No comments

Powered by Blogger.