পূর্ব তিমুরে নির্বাচন-প্রধানমন্ত্রী গুসমাওয়ের দলের জয়লাভ

পূর্ব তিমুরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সানানা গুসমাওয়ের দল জিতেছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি। এ কারণে জোট সরকার কিংবা সংখ্যালঘু সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ার নব্য স্বাধীন এই দেশটিতে।


নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা টমাস কাবরাল বলেন, সব ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে। প্রধানমন্ত্রী গুসমাওয়ের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল কাউন্সিল অব তিমুরিস রেজিস্ট্যান্স (সিএনআরটি) ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট জিতেছে।
গত শনিবার দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভঙ্গুর গণতন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে এ নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ফ্রেটিলিন পার্টি পেয়েছে ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পেয়েছে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকের মত। দেশটির প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা অ্যান্টোনিও ডস রিস বলেন, ‘নির্বাচনের ফল আমাদের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দলগুলোর উচিত, ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং একটি জোট সরকার গঠন করা, যাতে আমরা আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করতে পারি।’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নির্বাচনে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করায় এবং এর ফলে দুর্বল জোট সরকার গঠিত হলে দেশটিতে আবারও সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। যদিও গত মার্চ ও এপ্রিলে দুই দফায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭৫ সালে পর্তুগালের শাসন থেকে বেরিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর ইন্দোনেশিয়ার দখলে ছিল পূর্ব তিমুর। স্বাধীনতার জন্য ১৯৯৯ সালে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটিতে লড়াই, রোগব্যাধি ও ক্ষুধায় প্রায় এক লাখ ৮৩ হাজার মানুষ মারা যায়। জ্বালানিসমৃদ্ধ কিন্তু অনুন্নত দেশটির অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। এই দারিদ্র্য মোকাবিলাই হবে পরবর্তী সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের পূর্ব তিমুর প্রতিনিধি সিলাস এভারেট বলেন, আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহ যাবে দলগুলোর মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনায়। এই আলোচনার ফল হতে পারে জোট সরকার কিংবা সংখ্যালঘু সরকার গঠন। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.