হিনাকে হিলারি-অস্থিরতা ফেলে সামনে তাকাব আমরা

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে ন্যাটোর রসদ সরবরাহের পথ পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে নতুন করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করবে। অতীতের সমস্যাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।


গতকাল রবিবার টোকিওতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খারের সঙ্গে বৈঠকের পর হিলারি এ কথা বলেন।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত আফগানিস্তানবিষয়ক সম্মেলনের ফাঁকে গতকাল বৈঠক করেন হিলারি ও হিনা। ন্যাটোর জন্য পথ খুলে দেওয়ার পর দুই মন্ত্রীর মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। গত বছর ন্যাটোর বিমান হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহতের ঘটনায় হিলারি দুঃখ প্রকাশ করার পরপর পাকিস্তান গত সপ্তাহে রসদ সরবরাহের পথ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে আফগানিস্তানে ন্যাটোর রসদ সরবরাহের পথ সচল করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘ সাত মাসের বৈরিতার অবসান হয়।
বৈঠকের পর হিলারি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান বিগত দিনের অস্থিরতাকে পেছনে ফেলে ভবিষ্যতের সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করবে। সরবরাহ পথ পুনরায় চালুর সঙ্গে জড়িত কিছু সমস্যা নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। 'অতীতের তিক্ত বিষয়গুলো ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা দুজনই উৎসাহী, যাতে করে আমরা ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি। দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি যে ঐকমত্য হয়েছে, তা সচল রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে চাই আমরা। এটা আমাদের দুই দেশের স্বার্থেই করতে হবে।' বললেন হিলারি। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন। কারণ সন্ত্রাস দমন করা গেলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান দুই দেশ স্থিতিশীল হবে। এ ছাড়া, আর্থিক সহযোগিতা এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেছেন।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখনো মজবুত হয়নি। এটা এখনো নড়বড়ে। তিনি বলেন, 'সম্পর্কে টানাপড়েন চলবেই। অনেক সময়ই আমি বলেছি, চ্যালেঞ্জিং হলেও উভয় পক্ষের জন্য সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে ফের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না- এটা বিশ্বাস না করার কোনো কারণ নেই।' সূত্র : এএফপি, রয়টার্স, ডন।

No comments

Powered by Blogger.