নিজামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ৫ আগস্ট-কারাগারে ডিভিশন পাবেন মীর কাসেম

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল (এক সদস্য আদেশের পর আসেন) গতকাল রোববার এই আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মীর কাসেম কারাগারে আটক আছেন। ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়, মীর কাসেম আলী কেয়ারি লিমিটেড ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি ইবনে সিনা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি। তিনি উচ্চশিক্ষিত সফল ব্যবসায়ী ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় তিনি কারাবিধি অনুসারে ডিভিশন পাওয়ার যোগ্য। এ জন্য তাঁকে ডিভিশন-১ বরাদ্দের আবেদন মঞ্জুর করা হলো। তবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিবেচনায় তিনি ডিভিশন পান না।
মীর কাসেমকে ডিভিশন দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে (জেলা ম্যাজিস্ট্রেট) নির্দেশ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল আদেশে আরও বলেন, গত ২৮ জুন আসামিপক্ষ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মীর কাসেমকে ডিভিশন দেওয়ার আবেদন জানালে তা খারিজ করা হয়। কিন্তু ওই আদেশের সমর্থনে ট্রাইব্যুনাল কিছু পাননি।
মীর কাসেমকে গত ১৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আসামিপক্ষ তাঁর জামিনের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা খারিজ করে তাঁকে কারাগারে পাঠান। তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত চলছে।
নিজামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ৫ আগস্ট: একই ট্রাইব্যুনাল গতকাল জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৫ আগস্ট দিন পুনর্নির্ধারণ করেন। গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল তা পুনর্নির্ধারণ করেন।
সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা: একই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিনকে গতকালও জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। এ নিয়ে তাঁকে ৩৪ কার্যদিবস জেরা করা হলো। আজ সোমবার আবার তাঁকে জেরা করা হবে।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষীকে জেরা শেষ: এদিকে, বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২-এ গতকাল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হককে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে।
আসামির কাঠগড়ায় কামারুজ্জামানের উপস্থিতিতে তাঁর আইনজীবী কফিলউদ্দিন চৌধুরী গতকাল সাক্ষীকে চতুর্থ দিন জেরা করেন। জেরায় কফিলউদ্দিন মত (সাজেশন) দেন, ভারত সরকারের ইঙ্গিতে ও প্ররোচনায় আওয়ামী লীগ সরকার এ মিথ্যা মামলা তৈরি করেছে। সাক্ষী হামিদুল বলেন, এটা সত্য নয়। কফিলউদ্দিন আবার মত দেন, সাক্ষী মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষী এ বক্তব্যেরও বিরোধিতা করে বলেন, এটা সত্য নয়।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.