টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য-মানবিকতা কাম্য, তবে সমাধান মিয়ানমারের হাতেই

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রাখাইন ও রোহিঙ্গাদের জাতিগত দাঙ্গায় উত্তপ্ত হয়েছে সামগ্রিক পরিস্থিতি। এ প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মতামত জানিয়েছেন পাঠকরা। গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক


খোরশেদ
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
মিয়ানমার প্রতিবেশী দেশ। অসহায় মানুষের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত।
আহসান পলাশ
ব্যবসায়ী, রংপুর
সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত ঠিক। আমাদের দেশে শরণার্থীদের আশ্রয় না দিয়ে জাতিসংঘের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত।
খোকন মিয়া
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না।
আবদুর রহমান
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছে তা বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করার চক্রান্তের অংশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে।
লোকমান উদ্দিন লোদী
ব্যবসায়ী, সিলেট
মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তারা নৌকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এগুলো আমাদের হৃদয়কে নাড়া দিচ্ছে।
স্বপ্ন চন্দ্র দেব
চাকরিজীবী, মাধবপুর, হবিগঞ্জ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা যৌক্তিক। মিয়ানমারে যে দাঙ্গা চলছে তা জাতিগত। সেখানে কোনো যুদ্ধ চলছে না। সুতরাং একাত্তরের পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। তাই তাদের পুশব্যাক করা উচিত।
ফজলুল হক
ব্যবসায়ী, মিরসরাই, চট্টগ্রাম
রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে আসুক তা আমরা চাই না।
ফারুক আহমেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার। আরাকানে জাতিগত দাঙ্গা হচ্ছে, এর খেসারত কেন আমাদের এই স্বাধীন দেশ দেবে। মিয়ানমারে দাঙ্গা চলায় বাংলাদেশের সীমান্তে রোহিঙ্গারা প্রবেশ করতে চাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় আছে। রাখাইন-রোহিঙ্গা দাঙ্গা নিরসনে জাতিসংঘের ভূমিকা রাখা উচিত। বাংলাদেশকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে রোহিঙ্গাদের দাঙ্গার প্রভাব বাংলাদেশে না পড়ে। মানবতার খাতিরে আমরা রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা ও খাদ্য প্রদান করতে পারি কিন্তু দেশের নিরাপত্তার কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না।
মিন্টু কান্তি রায়
শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী সরকারি কলেজ
মানবতার দিক থেকে রোহিঙ্গাদের আমরা সাহায্য করতে পারি; কিন্তু তাদের আশ্রয় দেওয়া মোটেই ঠিক হবে না।
মোঃ আশরাফ আহমেদ
ব্যবসায়ী, সিলেট
তাদের আশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না। সরকারের বর্তমান অবস্থান ঠিক আছে।
আনোয়ার হোসেন
শিক্ষার্থী, নরসিংদী সরকারি কলেজ
সু চি সম্প্রতি নোবেল শান্তি পুরস্কার আনতে গেছেন। কিন্তু তার দেশেই এত অশান্তি!
সাইদ আহমেদ
শিক্ষার্থী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ইস্যু নিয়ে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী সু চির ওপর চাপ বাড়ছে। সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপারটি মীমাংসায় পদক্ষেপ রাখতে পারত। রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সু চি রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু করতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সেলিম সালেহ
শিক্ষক, পিরোজপুর
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের মানবিক দিক বিবেচনায় রেখে এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের অবস্থা স্মরণ রেখে বাংলাদেশের উচিত তাদের সাময়িক আশ্রয় দেওয়া। পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে অনুরোধ করতে হবে যে, এ আশ্রয় প্রদান যেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না হয়। যে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বাংলাদেশকে অনুরোধ করছে তারা যেন মিয়ানমারকে অনুরোধ করে এর একটি সমাধান খুঁজে বের করতে। কারণ এটা শুধুই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
শ্রমিক, ঝিনাইদহ
রোহিঙ্গাদের সমস্যা বড় আকারের সমস্যা। অতীতে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে গিয়েছিল তারা নানা অঘটন ঘটিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করেছে। তাদের ভুলের কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারপরও মানুষ মানুষের জন্য। অনাথ শিশু-বৃদ্ধরা বাংলাদেশে ঢুকতে চাচ্ছে, মানবতার জন্যই তাদের প্রশ্রয় দেওয়া উচিত। তবে আমরা যেমন মানবতার পাশে আছি, তারাও যেন আমাদের সম্মানহানি না করে।
জোবায়ের ইসলাম
মুদি দোকানি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আইনের শাসন ছাড়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বন্ধ করা যাবে না।
মিজানুর রহমান সোহেল
শিক্ষার্থী, অফিসপাড়া, মহেশখালী
মিয়ানমারে অশান্তির আগুন জ্বলছে। নৈতিকতার খাতিরে এবং বাস্তবতার দিকে তাকিয়ে এসব অসহায় মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমাদের করা উচিত। তাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় তারা মানুষ।
মোঃ মিলন
শিক্ষক, চাঁদপুর
মিয়ানমারের উচিত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেওয়া। বাংলাদেশে তাদের স্থান দেওয়া যাবে না। কারণ তারা আবার এদেশের নাগরিকত্ব চেয়ে বসবে।
শফিকুল ইসলাম
চাকরিজীবী, নড়াইল
তাদের ঠাঁই দেওয়া উচিত। কারণ ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তখন আমরাও ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলাম। তাদের ফিরিয়ে দেওয়া উচিত হবে না।
হারুনুর রশিদ শাহীন
এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা
রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকেই। এ জাতিগত দাঙ্গা তো তাদের নিজেরই সৃষ্টি। যেসব রোহিঙ্গা এখানে আছে এবং নতুন করে আসছে তাদের দায় বাংলাদেশ আর কতদিনই নেবে। বাংলাদেশ কখনোই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ছিল না। তাহলে ৩ লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী এদেশে আশ্রয় পেত না। যেহেতু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মনোযোগ এসেছে তাই শরণার্থী সমস্যা কাজে লাগিয়ে আরাকানে শান্তি কায়েমে ভূমিকা রাখতে পারে বাংলাদেশ।
হৃদয় মোঃ ওমর ফারুক বাবর
শিক্ষার্থী, গাজীপুর
সরকারের কাছে অনুরোধ, আপনারা মিয়ানমার সফরে যান। গঠনমূলক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল ও দরিদ্র দেশের পক্ষে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য মিয়ানমার সরকার যেন একটা ব্যবস্থা নেয়। তাদের নাগরিকদের গ্রহণ করতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে নানা অপরাধমূলক কাজ করছে। ফলে তাদের আশ্রয় না দেওয়াই উচিত।
আবদুর রউফ হাওলাদার
পরিচালক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, ঝালকাঠি
যদি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য কোনো হুমকি না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহলের সাহায্য নিয়ে রোহিঙ্গাদের অন্তত মানবিক সাহায্য দেওয়া হোক।
আবদুর রশীদ
ব্যবসায়ী, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
রোহিঙ্গাদের দেশে আশ্রয় দেওয়া হোক। মুসলমান হিসেবে তাদের আশ্রয় দিয়ে, তারপর মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ডা. রমিজ আহমেদ
চিকিৎসক, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম
বর্তমানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য বিপদসংকেতস্বরূপ। কারণ পত্রপত্রিকায় তাদের ব্যাপারে যা দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে, তারা অপরাধপ্রবণ। তাদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের ঠিক হবে না।
মোঃ জহিরুল ইসলাম রায়হান
মাদ্রাসা শিক্ষক, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম
জাতিসংঘের মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়া দরকার, যাতে করে রোহিঙ্গাদের ভোটার করা হয় এবং নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। নাগরিকত্ব না দিলে তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হবে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের নিজের স্বার্থেই ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত।
আনোয়ার
বেসরকারি চাকরিজীবী, ফেনী
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান প্রশংসনীয়। বিরোধী দলকে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো উচিত। দেশের স্বার্থেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মোঃ আবদুর রহিম
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে না আসাই ভালো। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করছে।
রোমান আজাদ
ব্যবসায়ী, পলাশ, নরসিংদী
রোহিঙ্গারা আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। সরকার তাদের বিষয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রশংসনীয়।
উত্তম ভট্টাচার্য
সাংবাদিক, একুশে টিভি
রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে। এই সুযোগে পুরনো যারা আছে তাদের বের করে দেওয়া উচিত।
শেখ মোঃ আবদুর রাজ্জাক সাকিল
রাজনীতিবিদ, ফেনী
রোহিঙ্গাদের জন্য কিন্তু বাংলাদেশিদের বিদেশে গিয়ে সমস্যা হয়। এর জন্য সতর্ক থাকতে হবে। তাদের শরণার্থী শিবির করে সাহায্য করা যেতে পারে। মানবিক বিচারে তাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দিলেও তারা যেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
মোঃ খোরশেদ আলম
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
আমি সৌদি আরবে ছিলাম। সৌদি আরবে বাঙালিদের ক্ষতি করেছে এই রোহিঙ্গারা। তাদের সাহায্য করার দরকার নেই। যেহেতু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর এখনও কিছু করেনি, সেহেতু বাংলাদেশেরও তাদের সাহায্য করার দরকার নেই।
আবদুল আলীম
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করলে বাংলাদেশের ক্ষতি হতে পারে। তারা যাতে তাদের নিজ জন্মভূমি মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে পারে সে ধরনের ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের এগিয়ে আসা উচিত।
মোঃ মোজাম্মেল হক
শিক্ষার্থী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
রোহিঙ্গারা যেহেতু মুসলমান তাদের মানবিক বিচারে আশ্রয় দেওয়া দরকার। আপাতত সময়ের জন্য হলেও এই আশ্রয় জরুরি।
কাজী নজরুল ইসলাম
ব্যবসায়ী, খাগড়াছড়ি
আমরা মুসলমান, রোহিঙ্গারা মুসলমান। তারা যেভাবে পানিতে রয়েছে, মানবিক বিচারেও কি তাদের বাংলাদেশের সাহায্য করা উচিত নয়?
মোঃ আমিনুর রহমান
চাকরিজীবী, হবিগঞ্জ
এই রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে ঢুকতে না দেওয়াই দরকার।
সুলতান আহমেদ
সংবাদপত্র হকার, কানাইঘাট, সিলেট
প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা আজ দেশছাড়া। কিন্তু তাই বলে তাদের বাংলাদেশের আশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না।
মোঃ আবদুল আলিম
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ রোড, ঢাকা
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে, তারা যেন বাংলাদেশে প্রবেশ না করে সে জন্য জাতিসংঘের কাছে আহ্বান করছি। জাতিসংঘ যেন তাদের সমস্যা সেদেশেই সমাধান করে।
মোশাররফ হোসেন
ব্যবসায়ী, টাঙ্গাইল
এসব রোহিঙ্গা যদি বাংলাদেশে আসে দেশের সমস্যা হবে। তাদের সমাধান যেন জাতিসংঘ ঠিকভাবে করে এবং তাদের দেশই যেন এর ব্যবস্থা নেয়।
রিপন
ব্যবসায়ী, ফেনী
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসতে দেওয়া হোক। মানুষ তো মানুষের জন্য। তাদের ওপর মিয়ানমারে হামলা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, প্রতিবেশী হিসেবে তাদের কি বাংলাদেশ আশ্রয় দিতে পারে না।
মাওলানা মোঃ আবুল হাসান শেখ
ওলামা লীগ, বিজয়নগর, ঢাকা
মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ হোক এবং বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী যেন সে দেশকে চাপ দেয়, জাতিসংঘ যেন ব্যবস্থা নেয়। তাদের দেশে আসতে দেওয়া ঠিক হবে না।
মোঃ শেখ নুরুল আবছার
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
রোহিঙ্গাদের জায়গা না দেওয়াই ভালো। তারা বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।
রবিউল ইসলাম
শিক্ষার্থী, নড়াইল
রোহিঙ্গাদের তাদের সাহায্য করা বাংলাদেশের কর্তব্য। আমরা তাদের প্রতিবেশী হিসেবে মানবিকতার কথা বিচার করে বাংলাদেশের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
মোঃ আলতাফ উদ্দিন
ব্যবসায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ভুল হবে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব যেন তাদের ইউরোপের কোনো দেশে হস্তান্তর করে। অথবা জাতিসংঘ তাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গঠন করে তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলতে হবে। পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশে শরণার্থীদের প্রবেশ জোর করে ঠেকানো উচিত হবে না। আমাদের মানবিকতার পরিচয় দিতে হবে। স্মরণ করতে হবে ১৯৭১ সালের কথা। ভারত যদি সে সময় আমাদের এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় না দিত, তাহলে আমাদের অবস্থা কী হতো। রোহিঙ্গারা মুসলিম, না অমুসলিম, সন্ত্রাসী কিংবা দুষ্ট এসব কোনো পরিচয়ই বড় নয়, বড় হলো তারা আশ্রয় প্রার্থী সাধারণ মানুষ। আনন্দে কেউ বাড়িঘর ছেড়ে আসে না। সুতরাং তাদের অসহায়ত্বকে বড় করে দেখে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দয়ার্ত হাত প্রসারিত করুক এটাই আমাদের কামনা।
কানাই
ব্যবসায়ী, কুষ্টিয়া
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া উচিত। তারা তো মানুষ, মানবিক দৃষ্টিতে দেখলেও তাদের সাহায্য করা দরকার।
মোঃ কামরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। বাংলাদেশের ওপর এই চাপ না দিয়ে মিয়ানমারেই সমাধান করতে হবে। তবুও সরকার যেন বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখে।
সালেহ আহমদ
চাকরিজীবী, সিলেট
রোহিঙ্গাদের শিশু, বৃদ্ধদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের মানবিক হওয়া উচিত। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা দরকার। অন্তত তারা যেন থাকতে পারে। প্রয়োজনে পুলিশি পাহারা দেওয়া হোক।
মোঃ আমিনুল্লাহ
পত্রিকা এজেন্ট, উখিয়া সদর, কক্সবাজার
রোহিঙ্গাদের এ দেশে আসতে দেওয়া উচিত হবে না। তারা খারাপ মানুষ। তাদের আশ্রয় দিলে আমাদের কষ্ট বাড়বে।
মোঃ এনায়েত উল্লাহ
মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মাদারীপুর
রোহিঙ্গারা মুসলমান, সে হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উচিত আশ্রয়সহ যতরকম সহযোগিতা দরকার সব সহযোগিতা করা।
আবুল কালাম আজাদ
ব্যবসায়ী, সন্দ্বীপ
রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের নয়, মিয়ানমারের সংকট। সুতরাং জাতিসংঘের উচিত মিয়ানমার সরকারকে চাপ দিয়ে তার সমাধান করা। বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়।
 

No comments

Powered by Blogger.