কালান্তরের কড়চা-কোনো সরকারই আমাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি দিতে পারল না by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

গত শনিবার (১৩ আগস্ট) খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাত্যহিক কলাম লিখতে বসেছি, টেলিফোন বেজে উঠল। এ রকম প্রায়ই বাজে। সাধারণত টেলিফোন কলটা আসে ঢাকা থেকে। যেদিন যে পত্রিকার জন্য লিখি, সেই পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগ থেকে কলটা আসে। লেখা তাড়াতাড়ি পাঠানোর জন্য তাগাদা।


এখন রমজান মাস। পত্রিকায় কম্পিউটার সেকশনের কর্মীরা ইফতার ব্রেকে চলে যান। তারপর তারাবি নামাজ। লেখা এ মাসটাতে তাড়াতাড়ি না পাঠালে পরের দিনের কাগজে ধরানো মুশকিল।
তাই শনিবারের টেলিফোন কলটাও ধরে নিয়েছিলাম, পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগ থেকে লেখা তাড়াতাড়ি পাঠানোর তাগাদা। কিন্তু রিসিভার তুলতেই কানে এল বন্ধু কলামিস্ট এ বি এম মূসার কণ্ঠ। অত্যন্ত বিষাদভরা কণ্ঠ। বললেন, 'গাফ্ফার, সড়ক দুর্ঘটনা আবার পাঁচটি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আমাদের রিয়ালিস্টিক ফিল্ম নির্মাণের এক পথিকৃৎ তারেক মাসুদ আর নেই। নেই একাত্তরের শহীদ মুনীর চৌধুরীর ছেলে মিশুক মুনীর। সঙ্গে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারেকের স্ত্রী ক্যাথেরিন গুরুতর আহত। কী করে যে এ দেশে বেঁচে থাকব! বেঁচে আছি, তা জানি না।'
মূসার কথা আর শুনতে ইচ্ছা হয়নি। অবশ হাতে রিসিভারটা ধরে রেখেছি। মূসারও সম্ভবত আর কিছু বলার মতো মনের অবস্থা ছিল না। তিনি তাঁর রিসিভারটা রেখে দিয়েছেন। পরে টেলিভিশনে এবং ওয়েবসাইটে পুরো খবর জেনেছি। আমার পাঠকরাও জেনেছেন। সুতরাং এখানে আর পুনরাবৃত্তির দরকার নেই। খবরটা শোনার পর আর কলম চালাতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। বারবার মনে পড়ছিল, স্বাধীনতার সেই সূচনালগ্নে আমাদের প্রবীণ সাংবাদিক-রাজনীতিক নির্মলদা, নির্মল সেনের একটি নিবন্ধের শিরোনাম 'স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই'। দেশের নাগরিকদের এই স্বাভাবিক মৃত্যুর অধিকার ও নিশ্চয়তা কোনো সরকারই দিতে পারল না।
কবুল করব, না-চেনা মানুষের মৃত্যুর খবরের চেয়ে চেনা মানুষের মৃত্যুর খবর মনে অনেক বেশি আঘাত দেয়। তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের সঙ্গে যদি আমার ব্যক্তিগত পরিচয় না থাকত তাহলেও তাঁদের এই আকস্মিক ও মর্মান্তিক মৃত্যু আমাকে গভীর শোকে মুহ্যমান করত, যেমন এখন করছে। তারেক এবং তাঁর মার্কিন স্ত্রীর সঙ্গে আমার পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা তো এই দম্পতি নিউইয়র্কে যখন থাকে এবং চিত্র নির্মাণে নতুন নতুন এঙ্পেরিমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত, তখন থেকে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে চিত্রশিল্পের নতুন ও প্রগতিশীল ধারার নিবেদিত কর্মী। তারেক মাসুদকে এত অবেলায় হারানো শুধু আমাদের চিত্রশিল্পের জন্য নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি।
শহীদ মুনীর চৌধুরী আমার শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ছেলেকে ছোট বয়সে আমি দেখেছি। আমাদের দুজনেরই বিদেশবাসের ফলে ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের সুযোগ ছিল না। শুনেছি, মিশুক কর্মজীবন শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করলেও বিবিসির হয়ে ফিলিস্তিনে সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কানাডায়ও কাজ করেছেন রিয়াল নিউজ নামের সংবাদ সংস্থার হয়ে। দেশে ফিরে সাত-আট মাস আগে এটিএন টেলিভিশনের নিউজ চ্যানেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সম্পাদক পদে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা মানিকগঞ্জ গিয়েছিলেন তাঁদের ছবির শুটিংয়ের লোকেশন ঠিক করার কাজে। কাজ শেষ করে মানিকগঞ্জে ফিরছিলেন ঢাকায় ফেরার পথে। যন্ত্রদানবের আকস্মিক হামলায় এই মর্মন্তুদ মৃত্যু। সঙ্গে তাঁদের গাড়ির চালক এবং দুজন শুটিংকর্মীরও মৃত্যু।
দেশ থেকে সুদূর বিদেশে লিখতে বসে ভাবছি, তারেকের স্ত্রী ক্যাথেরিন, চলচ্চিত্র শিল্পের হাতছানিতে বাঙালি স্বামী গ্রহণ করে যিনি তাঁর কায়া ও ছায়া হয়ে উঠেছিলেন, তিনি এখন কী করে, কী নিয়ে জীবন ধারণ করবেন? শুনেছি তাঁদের একটি শিশুসন্তানও আছে। আর লিলি ভাবি? শহীদ মুনীর চৌধুরীর বিধবা পত্নী। ১৯৭১ সালে রাজাকার ও আলবদরদের হাতে স্বামীর নির্মম মৃত্যুর শোক তিনি এখনো নিশ্চয়ই কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তারপর এই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত যুবক পুত্রের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু! কী করে তিনি এই দুঃসহ শোক সংবরণ করবেন? আমরা সমবেদনা জানাতে পারি। কিন্তু তা জানিয়ে কি এই গভীর ক্ষতে সামান্য প্রলেপও লাগাতে পারব?
আমি ভাগ্যে একেবারে বিশ্বাস করি না, তা বলি না। নইলে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের ভাগ্যে একই ঘটনা বারবার ঘটবে কেন? দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের খ্যাতিমান কথাশিল্পী এবং চলচ্চিত্রের মেধাবী পরিচালক জহির রায়হান তাঁর বড় ভাই শহীদ শহীদুল্লা কায়সারের (তখন তাঁকে নিখোঁজ বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল) খোঁজে গিয়ে নিজেও নিখোঁজ হলেন। পরে অবাঙালি রাজাকারদের হাতে পড়ে তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেল।
তারপর গেলেন আরেক প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক আলমগীর কবির। তিনিও তারেক মাসুদের মতো সড়ক দুর্ঘটনার শিকার। সুস্থ মানুষ। কিছুদিন আগে জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। আজরাইল যে তাঁর জন্য দেশেই অপেক্ষা করছে, তা জানতেন না। তিনিও সম্ভবত একজন অভিনেত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ছবির কাজেই কোথাও গিয়েছিলেন। নদীপারে ফেরির অপেক্ষায় নিজেদের গাড়িতে বসে ছিলেন। পেছন থেকে লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এসে গাড়িটাকে ধাক্কা মেরে নদীতে ফেলে দেয়। পানিতে ডুবে এক অসাধারণ প্রতিভাবান চিত্রপরিচালকের মৃত্যু। কিছুকাল আগে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন তাঁর স্ত্রীকে হারিয়েছেন সড়ক দুর্ঘটনায়। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রথম হিরোদের অন্যতম রহমান তাঁর পা হারিয়েছিলেন সড়ক দুর্ঘটনায়। দীর্ঘকাল পঙ্গুজীবন যাপনের পর তাঁর মৃত্যু হয়। সব শেষে গেলেন তারেক মাসুদ। কিন্তু এটাও কি সব শেষের দুর্ঘটনাজাত মৃত্যু? সেই নিশ্চয়তা আমাদের কে দেবে? আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির জগৎ এবং চলচ্চিত্র শিল্পে আর কতকাল একটার পর একটা ট্র্যাজেডি ঘটতে থাকবে?
বাংলাদেশে লঞ্চডুবিতে, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে আমি আর দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলি না। বলি অবাধ হত্যাকাণ্ড। কয়েক দিন আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইতে অসংখ্য কিশোরের মৃত্যুর হৃদয়বিদারক ঘটনা এবং বুড়িগঙ্গায় ট্রলারের ধাক্কায় লঞ্চডুবিতে আরো বহু জীবনহানির খবর তো বছরের একটি-দুটি খবর বা ঘটনা নয়। বলা চলে, প্রাত্যহিক ঘটনা, প্রাত্যহিক খবর। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যলিপি এখন স্থির হয়ে গেছে, হয় সন্ত্রাসীদের হাতে, নয় লঞ্চডুবিতে, নয় সড়ক দুর্ঘটনায় দলে দলে তাদের প্রত্যহ প্রাণ দিতে হবে। আর প্রাণহরণের প্রক্রিয়াটিকে দুর্ঘটনা বলা হলেও তা দুর্ঘটনা নয়। এগুলো মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ঘটনা এবং অক্ষম সরকার, দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিবেকবর্জিত প্রশাসনের চোখের সামনে সংঘটিত প্রাত্যহিক হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিকারের এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়ার তেমন কোনো উদাহরণ নেই।
মিরসরাইতে তথাকথিত ট্রাক দুর্ঘটনায় যখন অসংখ্য কিশোর-প্রাণ ঝরে গেল, সন্তানহারা মায়ের কান্নায় দেশের আকাশ-বাতাস ভারাক্রান্ত, তখন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা_দুজনই পাল্লা দিয়ে ছুটেছিলেন মিরসরাইতে। সন্তানহারা কয়েকজন মাকে বুকে জড়িয়ে ধরে সাংবাদিকদের সামনে ফটোসেশনও করেছিলেন। কিন্তু দুই নেত্রীর একজনও সন্তানহারা জননীদের অথবা শোকার্ত দেশবাসীকে এই আশ্বাস দিতে পারেননি যে মানুষেরই অবহেলা এবং লোভ ও দুর্নীতির দরুন যে অস্বাভাবিক ও প্রাত্যহিক দুর্ঘটনা ঘটছে, তার প্রতিকার তাঁরা করবেন এবং অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি দেবেন। প্রধানমন্ত্রী এই কথা ঘোষণা করতে পারেননি যে বছরে দুই-চারবার যে স্বাভাবিক দুর্ঘটনা ঘটবে, তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাঁর নেই, কিন্তু দেশে মনুষ্যসৃষ্ট যে প্রাত্যহিক দুর্ঘটনায় অবাধ হত্যাকাণ্ড চলছে, তা তিনি কঠোর হাতে বন্ধ করবেন এবং অপরাধীচক্রকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবেন।
বিরোধী দলের নেত্রী তো কিছু নন-ইস্যুকে ইস্যু করে আন্দোলনে নামার এবং তাঁর দুই ছেলেকে দুর্নীতির মামলা থেকে মুক্ত করার 'সংগ্রামে' সর্বক্ষণ নিয়োজিত। একই সঙ্গে তিনি দেশে যন্ত্রদানবের এই অবাধ হত্যাকাণ্ড রোধে সরকারের চরম ব্যর্থতাকে ইস্যু করে সংসদে এসে এর প্রতিকার-পন্থার জন্য জোর দাবি জানাতে পারেন এবং রাজপথেও আন্দোলনে নামতে পারেন। তা না করে দুই নেত্রীই কোনো ট্র্যাজেডি ঘটলে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন দেন এবং এই ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি রোধে কোনো প্রতিকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। মানুষ একটি ট্র্যাজেডির বেদনা ভোলে; সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি ট্র্যাজেডি এসে তাদের সামনে দাঁড়ায়।
সন্দেহ নেই, বাংলাদেশ আজ কিলিংফিল্ড এবং মানুষের জীবন সবচেয়ে সস্তা। সরকার এই অবস্থা পরিবর্তনে অক্ষম, উদাসীন অথবা অদক্ষ। বিরোধী দলের কাছে এটা কোনো ইস্যুই নয়। সব ইস্যুই তাদের কাছে সরকারকে গালি দেওয়ার ইস্যু। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের আন্দোলনের ইস্যু নয়। নদীপথে অথবা স্থলপথে প্রতিটি দুর্ঘটনার পরই দেখা যায়, ভাঙা রাস্তা, তাতে ভয়াবহ যানজট এবং তার চেয়েও বেশি লক্কড় বাস, ব্রেকবিহীন লরি ও ট্রাক এবং অদক্ষ বাস বা লরিচালক (মিরসরাইতে দেখা গেছে চালকের বদলে তার হেলপার বাস চালাচ্ছিল) এসব মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। তা ছাড়া ট্রাফিক আইন যেমন রাজধানীর রাজপথে, তেমনি তথাকথিত হাইওয়েগুলোতেও কেউ মেনে চলে না।
একই অভিযোগ নদীপথে লঞ্চ চালনার ক্ষেত্রেও রয়েছে। লঞ্চ নিয়ে নদীপথ পাড়ি দেয় অদক্ষ চালক। লঞ্চগুলো মেরামত করা হয় না বছরের পর বছর। অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল বোঝাই হয় অহরহ। তার ওপর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেওয়া বিপৎসংকেতকে আমলে নেওয়া হয় না_এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ। সরকার এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ এই লঞ্চ মালিকরা, বাস-ট্রাক-লরির মালিকরা, তাদের সংগঠন-সমিতির কর্মকর্তারা বেশির ভাগই যে সরকার যখন ক্ষমতায় থাকে, তাদের নিজস্ব লোক। অদক্ষ বাসচালক, লঞ্চচালক, এমনকি রিকশাচালকদের পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের একটা বড় অংশ দেদার ঘুষ নিয়ে চালকের লাইসেন্স ইস্যু করেন। এই সিন্ডিকেট ভাঙার ক্ষমতা সরকারের নেই। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের এ ব্যাপারে আগ্রহ নেই। তাঁরা সংসদে না গেলে কী হবে, সংসদের বেতন-ভাতা নিতে যেমন কুণ্ঠিত নন, তেমনি এই ঘুষ-দুর্নীতির সিন্ডিকেটের অংশীদারি ছাড়তেও রাজি নন।
এই অবস্থা যত দিন চলবে, তত দিন দুর্ঘটনার নামে এই ট্র্যাজেডি এবং প্রাত্যহিক হত্যাকাণ্ডেরও কোনো নিবৃত্তি নেই। এ বছরের গোড়ায় আমি দেশে ছিলাম। বগুড়া, রংপুর, কুষ্টিয়া, মানিকগঞ্জ প্রভৃতি স্থানে গাড়িযোগে ঘুরে বেড়িয়েছি। প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় ছোটবড় দুর্ঘটনা দেখেছি। নিজেরাও যে দুর্ঘটনার শিকার হইনি, সেটাও বোধ হয় ভাগ্যের ব্যাপার। মানিকগঞ্জে যেতে রাস্তার যে হাল দেখেছি, তাতে আমরা যে কেন তথাকথিত সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হইনি, তা ভেবে বিস্মিত হচ্ছি। দেশে অনেক উন্নত হাইওয়ে হয়েছে। তার সংস্কার ও মেরামতের ব্যবস্থা নেই। যোগাযোগমন্ত্রী কী করছেন জানি না। অন্যদিকে পরিবহনমন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়? তাঁরা আর কত দিন দেশকে কিলিংফিল্ড বানিয়ে কুম্ভকর্ণের নিদ্রা দেবেন? একটিমাত্র রেল দুর্ঘটনায় ভারতে রেলমন্ত্রী থাকাকালে লালবাহাদুর শাস্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। আর বাংলাদেশে অনবরত সড়ক দুর্ঘটনা ও লঞ্চ দুর্ঘটনা সত্ত্বেও বিবেকপীড়া থেকেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন, তা বোধ হয় স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না।

লন্ডন, ১৫ আগস্ট, সোমবার, ২০১১

No comments

Powered by Blogger.