মিরকাদিমে ভেঙে পড়েছে পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা

মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভায় পয়োনিষ্কাশন-ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জায়গা না থাকায় সড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। যত্রতত্র ময়লা ফেলতে নিষেধ করে এলাকাবাসীর নির্দেশনাসংবলিত সাইনবোর্ডও উপেক্ষা করছে লোকজন।


এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নর্দমা-সংকট ও খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে মানুষ সড়কের পাশে ময়লা ফেলছে। এ জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ দায়ী। ময়লা-আবর্জনায় পৌরসভার কালন্দিপাড়া, গোপপাড়া, টেঙ্গর, পূর্বপাড়া, পশ্চিমপাড়া, ধোপাপট্টিসহ প্রায় গোটা পৌরসভা এলাকা একটি নোংরা শহরে পরিণত হয়েছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। স্থানীয় কয়েকটি খাল ভরাট (দখল) হয়ে যাওয়ায় এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাই বাধ্য হয়ে সড়কের পাশে সাইনবোর্ড সেঁটে দিয়েছেন, ‘এখানে ময়লা ফেলিবেন না...।’ তার পরও ওখানেই ময়লা ফেলা হচ্ছে।
গোয়ালপাড়া এলাকার সিরাজ আহমেদ বলেন, ‘পৌরসভার পুরোনো সব নর্দমা অগভীর ও অপ্রশস্ত। ফলে নর্দমার ময়লা-আবর্জনা ও পানি সড়জে উপচে পড়ে। অন্যদিকে, গোবিন্দ আখড়া এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়।’
এলাকাবাসীর দাবি, শহর থেকে প্রতিদিনের আবর্জনা সরাতে পৌর কর্তৃপক্ষকে একটি আবর্জনা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন একাধিক গাড়ি। সড়কগুলো থেকে প্রতিদিন ময়লা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
মিরকাদিম পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, সংকট কাটাতে তারা পৌরসভার টেঙ্গর থেকে নগরকসবা পর্যন্ত আধা কিলোমিটার দীর্ঘ নর্দমা তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৬ টাকা বরাদ্দ এসেছে। দরপত্র প্রদানসহ ঠিকাদারও নিয়োগ হয়ে গেছে। প্রকল্পের কাজও শিগগির শুরু হবে।
মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, চলতি অর্থবছরে পৌরসভা ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এই টাকা নর্দমা ও সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে।
মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুল আলম বলেন, মিরকাদিমের মেয়রের সঙ্গে কথা বলে নর্দমা-সংকট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হবে।

No comments

Powered by Blogger.