কালের পুরাণ-নূর হোসেনের অতৃপ্ত আত্মা ও লোকমানের ‘অদৃশ্য ঘাতক’ by সোহরাব হাসান

১০ নভেম্বর ছিল শহীদ নূর হোসেন দিবস। নেতা-নেত্রীদের অনেকেই দিনটি ভুলে গেলেও সাধারণ মানুষ ভোলেনি। আজ থেকে ২৪ বছর আগে এই দিনে স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে রাজপথ কাঁপিয়েছিলেন যুবলীগের কর্মী নূর হোসেন। তাঁর বুকে-পিঠে লেখা ছিল, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক! স্বৈরাচার নিপাত যাক’।
কোনো স্বৈরাচারী শাসকই তাঁর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের ‘ঔদ্ধত্য’ সহ্য করে না। এরশাদও করেননি। নূর হোসেন আর ব্যক্তি থাকেননি, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রথাগতভাবে শহীদ নূর হোসেন দিবসটি পালন করে। যেখানে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন, সেই জিরো পয়েন্টে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এবারও সেই শ্রদ্ধা অর্পণেও কোনো দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ছিলেন না। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে গুটি কয়েক নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।
অথচ এই দুটি দলই আন্দোলন করে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটিয়েছিল। সেই আন্দোলনে ছিল বামপন্থী দলগুলোও। অথচ আজ তাদের অবস্থান বিপরীত সারিতে। বিএনপি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আওয়ামী লীগ এরশাদকে নিয়ে মহাজোট করেছে।
এর একটি অদ্ভুত ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, তাঁদের আন্দোলন ছিল স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। রাজনীতিকেরা এভাবেই সাদাকে কালো ও কালোকে সাদা বানান। এরশাদ কোনো ব্যক্তি ছিলেন না, ছিলেন স্বৈরশাসনের প্রতিভূ।
দুই দলই আশির দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করেছে। একদল পতিত স্বৈরাচারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, আরেক দল একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে। এর পক্ষে দুই দলের বিজ্ঞ নেতারা যে ব্যাখ্যাই দিন না কেন, দেশের সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম তাতে আশ্বস্ত হবে না। নারায়ণগঞ্জের সাম্প্রতিক নির্বাচন তার বড় প্রমাণ। নারায়ণগঞ্জের এক মহাশক্তিধর সাংসদ একই মুখে বঙ্গবন্ধু ও এরশাদের বন্দনা করে ছোট ভাইকে জিতিয়ে আনতে চেয়েছিলেন। পারেননি।
মাহবুব উল আলম হানিফের যুক্তি মেনে নিলে পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসকের বিচার করা যায় না। আন্দোলনের ইতিহাসও নতুন করে লিখতে হয়। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ যে আন্দোলন করেছিল, তাও নিশ্চয়ই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ছিল না। তাহলে এখনো তাঁরা কেন জিয়ার ওপর আক্রোশ দেখাচ্ছেন? রাজনীতির যাঁরা অ আ ক খ পাঠ করেছেন, তাঁরাও জানেন স্বৈরশাসকেরা ব্যক্তি থাকেন না। তাঁরা মানবাধিকার হরণকারী। গণতন্ত্র হত্যাকারী।
জাতির দুর্ভাগ্য হলো, একদা যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছিল, তারাই এখন ক্ষমতার স্বার্থে স্বৈরাচারকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। রাজনৈতিক দর্শনেও তারা গণতন্ত্রের বদলে স্বৈরাচারকে অনুসরণ করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বৈরাচারকেও হার মানিয়েছে। সরকার ও বিরোধী দল একে অপরের সম্পূরক না হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। গত দুই দশকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির গণতান্ত্রিক শাসনের নমুনা সাবেক দুই সেনাশাসকের অপকর্ম অনেকাংশেই ঢেকে দিয়েছে। দুই সেনাশাসকের আমলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে তাও বন্ধ আছে।
শহীদ নূর হোসেনের মা বলেছেন, ‘স্বৈরশাসক এরশাদ জনতার কাছে ক্ষমা চাইলে নূর হোসেনের আত্মা শান্তি পাবে এবং আমার পরিবারের লোকজনও খুশি হবে।’ কত মহানুভব এই মা। সন্তান হত্যার বিচার পাননি বলে তাঁর কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি চান, স্বৈরাচারী শাসক অন্তত তাঁর অপরাধটা স্বীকার করুক। কৃতকর্মের জন্য একবার ক্ষমা চাক।
আমরা জানি না, নূর হোসেনের মায়ের এই আকুতি এরশাদের কানে পৌঁছাবে কি না? পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসকই স্বেচ্ছায় তাঁর অপকর্মের দায় স্বীকার করেন না। নব্বইয়ে স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ এরশাদকে সেই দায় স্বীকার করতে বাধ্য করেছিল। পৃথিবীতে এরশাদই একমাত্র স্বৈরশাসক, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরও যিনি রাজনীতিতে বহাল তবিয়তে আছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের ব্যঙ্গবিদ্রূপ করছেন।
এই সাহস তিনি কোথায় পান?
অস্বীকার করার উপায় নেই, যে লক্ষ্য ও আদর্শ সামনে রেখে নূর হোসেন-সেলিম-দেলোয়ার-তাজুল-রাজুরা জীবন দিয়েছেন, রাষ্ট্র ও সমাজে সেই লক্ষ্য ও আদর্শ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারকে হটাতে পারলেও গণতন্ত্র পুরোপুরি মুক্তি পায়নি। গণতান্ত্রিক দলগুলোর ব্যর্থতা ও দুর্বলতার সুযোগে স্বৈরাচার ও মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

খালেদা জিয়ার তিন স্তরের আন্দোলন
ঈদুল আজহার দিন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লেডিস ক্লাবে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এতে বিদেশি কূটনীতিক ছাড়াও ব্যবসায়ী নেতারা ছিলেন, ছিলেন দলীয় সমর্থক বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী প্রতিনিধি। বিএনপির যেসব নেতা ১/১১-এর পর আড়ালে-আবডালে ছিলেন, জেলে বা বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার প্রকাশিত হতে শুরু করেছেন। ইদানীং সভা-সমাবেশেও সেই বিতর্কিত পুরোনো মুখগুলো দেখা যাচ্ছে।
সেই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া আগামী বছর সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। যাক, আগামী দেড়-দুই মাসের জন্য স্বস্তি পাওয়া গেল। তিনি বলেছেন, ২০১০ সাল ছিল দল গোছানোর বছর। তবে দল তিনি কতটা গোছাতে পেরেছেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এখনো ১/১১-এর ভূত বিএনপিকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। নেতারা কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। খালেদা জিয়া এখনো দলের মহাসচিব ঠিক করতে পারেননি। কয়েক দিন আগে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লন্ডনে গিয়েছিলেন তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করতে। তাহলে কি আমরা ধরে নেব, বিএনপি লন্ডন থেকে পরিচালিত হচ্ছে? দেশে এত যে বাঘা বাঘা নেতা আছেন, তাঁরা কি শুধুই হিজ মাস্টার্স ভয়েস?
খালেদা জিয়ার ভাষায়, ২০১১ সালটি বিএনপির জনমত গঠন করার। এ ক্ষেত্রে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন, বলা যাবে না। অধিকাংশ সাংসদ ও কতিপয় মন্ত্রীর দুর্নীতি, অদক্ষতা ও অযোগ্যতা এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের আত্মম্ভরিতার কারণে মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নিজেকে বিকল্প শক্তি হিসেবে তুলে ধতে পারেনি।
এ অবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসন আগামী বছর সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তা আমাদের শঙ্কিত করে। এই আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি কী হবে? লাগাতার হরতাল-অবরোধ? ঢাকার পথে লংমার্চ? বিএনপিতে যেহেতু এখন ভাসানী ন্যাপের কিছু নেতা সক্রিয় আছেন, তাঁরা গ্রাম থেকে শহর ঘেরাওয়ের কথা ভাবতেই পারেন। কিন্তু তাতে দেশের ও দেশের মানুষের কি লাভ হবে? তাদের ঢাকামুখী লংমার্চের আগাম ঘোষণা আমাদের ২০০৪ সালের ৩০ জুনের কথা মনে করিয়ে দেয়। সে সময় আওয়ামী লীগ ট্রাম্পকার্ড দিয়েছিল, ৩০ জুনের মধ্যে বিএনপি সরকারে পতন ঘটবে, খালেদা জিয়া আর ক্ষমতায় থাকবেন না। কিন্তু খালেদা জিয়া ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পর্যন্তই ক্ষমতায় ছিলেন। এবার বিএনপির অবস্থা তার চেয়ে ভালো, সে কথা জোর দিয়ে বলা যাবে না। অতএব, সরকার পতনের আন্দোলনে নামার আগে খালেদা জিয়াকে আরেকবার ভাবতে হবে। আর তিনি যদি কর্নেল অলি আহমদদের ভবিষ্যদ্বাণীতে প্ররোচিত হয়ে থাকেন, তাহলে বলব ২০০৬ সালে এঁরা কী বলেছিলেন, তাও যেন মনে রাখেন।
পাঁচ বছর পর পর দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন হবে। মানুষ ভোট দিয়ে পছন্দসই সরকার গঠন করবে। তা নিয়ে বছরের পর বছর হাঙ্গামা কেন? কেন নেতা-নেত্রীরা জনগণের প্রতি আস্থা রাখছেন না? কেন প্রশাসনকে, নির্বাচন কমিশনকে হাত করতে চাইছেন? কেন যে যাঁর সুবিধামতো সংবিধান সংশোধন করছেন? দেশে হাজারো সমস্যা আছে, সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্যের চাপে পিষ্ট, জনজীবনে নিরাপত্তা নেই, পথে-ঘাটে, ঘরে-বাইরে মানুষ খুন হচ্ছে, গুম হচ্ছে। দফায় দফায় জ্বালানির দাম বাড়ানো হচ্ছে। সেসব নিয়ে বিরোধী দলের মাথাব্যথা নেই। তাদের এক দফা—আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে হবে।

নরসিংদীর মেয়রকে কি ভূত মেরেছে?
সম্প্রতি নরসিংদী পৌরসভার জনপ্রিয় (আমাদের দেশে জনপ্রিয় মানেই সৎ ও নিষ্কলুষ চরিত্রের মানুষ নন) মেয়র লোকমান হোসেন প্রকাশ্যে নিজ অফিসের সামনে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হওয়ার পরই সন্দেহের তীর স্থানীয় সাংসদ ও মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমদের প্রতি। তাঁর ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহত মেয়রের ভাই ও ছাত্রলীগের নেতা কামরুজ্জামান। মেয়র হত্যার পর নরসিংদীতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে, হরতাল-অবরোধ হয়েছে। ট্রেনে আগুন জ্বলেছে। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বা করেনি।
নিহত মেয়রের সঙ্গে মন্ত্রীর বিরোধ ছিল। মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরোধ ছিল। বলা যায়, নরসিংদীতে আওয়ামী লীগ দ্বিধাবিভক্ত ছিল—মন্ত্রী গ্রুপ বনাম মেয়র গ্রুপ। এ অবস্থায় মেয়র নিহত হন সন্ত্রাসীদের গুলিতে। এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক হত্যা। এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই অভয় দিতে হবে যে তারা স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে পারবে। আসামিদের ধরলে কাউকে বদলি হতে হবে না। কিন্তু ঘটনার ৯-১০ দিন পরও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমদকে ডেকে নিয়ে বলেছেন, তাঁকে এবং তাঁর ভাইকেই প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা নির্দোষ। মন্ত্রী যেখানে অভিযুক্ত, সেখানে প্রধানমন্ত্রী কেন তাঁকে ডেকে নিলেন? এর মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তারা কী বার্তা পাবেন? বরং তিনি নিহত মেয়রের পরিবারকে ডেকে যদি এ সম্পর্কে জানতে চাইতেন, তাহলে তাঁরা আশ্বস্ত হতেন—অপরাধীরা ধরা পড়বে, হত্যার বিচার হবে।
বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকের পর এলাকার সাংসদেরা বলেছেন, মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা নিরপরাধ। তাঁরা এই খুনের সঙ্গে জড়িত নন। এই খুনের সঙ্গে মন্ত্রী বা তাঁর ভাইও জড়িত নন। তাঁদের দাবি, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এই কাজ করেননি, যুবলীগও করেনি। তাহলে দিনদুপুরে এই হত্যাকাণ্ডটি কে ঘটাল? তাহলে কি বিএনপির নেতা খায়রুল কবির খোকন রিমোট কন্ট্রোলে ঢাকায় বসে এ কাজ করেছেন? না হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো কেন? সাংসদ নজরুল ইসলাম দাবি করেছেন, ঘটনার সময় দেশের বাইরে ছিলেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব। এ কারণে তিনি এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন না। একই যুক্তি খোকনের বেলায় প্রযোজ্য হবে না কেন? তিনি বিএনপির নেতা বলে?
নজরুল ইসলাম আরও বলেছেন, ‘আমি শুধু এমপিই ছিলাম না, একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে বলছি, সালাহউদ্দিনকে আমি যত দিন ধরে চিনি, আমার মন কিছুতেই বলছে না, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত।’ কারও মনে হওয়া দেখে অপরাধী চিহ্নিত হতে পারে না। আর সেই কাজটি সাংসদেরও নয়। সরকার মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করেছে, তারাই তদন্ত করে দেখবে, কে অপরাধী কে নিরপরাধী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১১ থেকে ১৪ নম্বর আসামি মেয়র লোকমান হোসেনকে গুলি করেছে। আর সাংসদ নজরুল দাবি করছেন, মুখোশধারী সন্ত্রাসী ছিল একজনই। তিনি মুখোশটা চিনতে পারলেও মুখোশের ভেতরে কে ছিল, তাও নিশ্চয়ই জানেন।
আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না, নিহত মেয়র আওয়ামী লীগের একজন নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর খুনিদের বাঁচাতে স্থানীয় সাংসদেরা এত মরিয়া হয়ে উঠেছেন কেন? তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, যাদের নামে মামলা হয়েছে, তার কেউ খুন করেনি। যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তারা কেউ খুনের সঙ্গে জড়িত নয়। তাহলে কি অদৃশ্য ভূত এসে লোকমান হোসেনকে খুন করে গেছে?
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net

No comments

Powered by Blogger.