চার জেলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪২ নেতা-কর্মী আটক

শেরপুর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বরগুনায় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির এবং বিএনপির ৪২ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে ও আজ সোমবার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ এনে তাঁদের আটক করা হয়। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর: শেরপুর: আজ ভোরে জেলা শহরের দমদমা কালীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বিএনপির তিন


কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. আবদুল্লাহ (৪৫), জাকারিয়া বাদল (৩২) ও মো. মোজা মিয়া (৩৮)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকরাম হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বিকেলে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ওই তিনজনকে শেরপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাউফল (পটুয়াখালী): গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মো. ইসাহাক ও যুবদলের নেতা মো. ইসমাইল হোসেনসহ বিএনপি ও জামায়াতের ১৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সদর, বাউফল, গলাচিপা, দুমকী ও দশমিনা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
আটক হওয়া নেতা-কর্মীরা হলেন মো. মিলন গাজী (৪০), ইব্রাহিম ফরাজি (৪৩), আমিনুল হাওলাদার (৩৯), মোবারক হাওলাদার (৩৭), মো. বশির উদ্দিন (৩২), মো. রুবেল (২৯), মো. মাসুদ কাজী (৩০), হোসেন মাতুব্বর (৪০), মো. ফারুক হোসেন, মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর ইসলাম (৪০) ও বাচ্চু মিয়া (৩৮)। বাউফল থানার ওসি নরেশ চন্দ্র কর্মকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পিরোজপুর: গতকাল রাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি ও জামায়াতের ১০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

বরগুনা: গতকাল রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অভিযোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক হওয়া নেতা-কর্মীরা হলেন সদর উপজেলার যুবদলের কর্মী মজিবর মৃধা, বেল্লাল, জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. মাসুদ ও জলিল গোলদার, আমতলী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হায়াতুজ্জামান মিরাজ, উপজেলা যুবদলের সদস্য আজাদ মৃধা ও মো. জামাল, তালতলী থানা বিএনপির কর্মী মো. বাদল, শাহ আলম ও আল আমিন, বেতাগী উপজেলায় ছাত্রদলের কর্মী নুরুজ্জামান খান ও শাহিন খান, বামনা উপজেলায় বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মী জসিমউদ্দিন, গোলাম মোস্তফা ও শিমুল।
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহবুব হাকিম বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কিছু মামলার আসামিসহ তাঁদের আটক করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.