শেষ দু'দিনে বাড়লেও সাপ্তাহিক সূচক কিছুটা নিম্নমুখী

শেয়ারবাজার সংকট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের খবরে সপ্তাহের শেষ দু'দিনে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের প্রায় সব শেয়ারের দর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ব্যাপক দরপতন হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সূচক সামান্য কমেছে। সপ্তাহের সার্বিক হিসাবে ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত ছাড়া অন্য খাতের শেয়ারগুলোর দর সামান্য কমেছে। গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।


প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ৮৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৭২টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দর। ডিএসইর সাধারণ সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫১৬৬ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া সার্বিক সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমলেও বেঞ্চমার্ক সূচক ডিএসই-২০ বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। সপ্তাহের মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৩০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকায়। দৈনিক গড় লেনদেন ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ার দর ও সূচক বেড়েছে। গেল সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ১৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজের মধ্যে ১২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দর। নির্বাচিত খাত সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩৫৮ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে মোট ১৬৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার।
গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রায় সব শেয়ারের দর বাড়লেও সপ্তাহের হিসাবে ব্যাংক ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত ছাড়া অন্য খাতের প্রায় শেয়ারগুলোর দর কমেছে। ব্যাংকিং খাতের ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ২৪টিরই দর বেড়েছে। এ খাতের সার্বিক দরবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ৩৭টির মধ্যে ৩১টিরই দর বেড়েছে।
খাতওয়ারি লেনদেনের দিক থেকে গত সপ্তাহে মিশ্রাবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। ব্যাংকিং খাতে সর্বাধিক ৫২৯ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৩৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে জ্বালানি ও শক্তি খাতে ১৪১ কোটি, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০৬ কোটি, প্রকৌশল খাতে ৯৬ কোটি, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতে ৮৪ কোটি, বীমা খাতে ৮১ কোটি টাকা, বস্ত্র খাতে ৭৭ কোটির টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.