পাকিস্তানকে এগিয়ে নিলেন হাফিজ

ভিষেক ২০০৩ সালে। প্রথম চার বছর আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকার পর মাঝে তিন বছর উপেক্ষিতই ছিলেন, তবে গত বছর ফেরার পর থেকেই দারুণ সময় যাচ্ছে মোহাম্মদ হাফিজের। পরশু দুবাইয়ে সে রকম আরেকটি দিন কেটেছে তাঁর, আর সুবাদে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ২১ রানের জয় পেয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে আবার এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয়টা জিতে সিরিজে সমতা এনেছিল লঙ্কানরা।


২০১০-এর সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৩৯.৭৯ গড়ে হাফিজ করেছেন ১৩৫০ রান। শেষ ১০ ওয়ানডেতে উন্নতির গ্রাফটা আরো বেশি চোখে পড়ার মতো। এ সময়ে দুই সেঞ্চুরি, তিন ফিফটিসহ তাঁর রান ৫০৮, গড় ৫৬.৪৪। পরশুও সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন, সেটা না পেলেও তাঁর ১০১ বলে ৮৩ রানে ভর করেই ৮ উইকেটে ২৫৭ রান করেছিল পাকিস্তান। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ২৩৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে উজ্জ্বলতা ছড়ানোর পর বল হাতেও ২৯ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন হাফিজই। এক বছরে ষষ্ঠবার ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার রহস্যটা তিনি ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, 'টেকনিক নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি, এতে ফল পাওয়ায় বেড়ে গেছে আত্মবিশ্বাসও। দলের সাপোর্ট স্টাফ, বিশেষ করে আমার ব্যাটিং কোচ শহীদ আসলামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।'
দিনটা নিজের করে নিতে পারতেন মাহেলা জয়াবর্ধনেও। ওয়ানডে ইতিহাসের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে পরশু ১০ হাজার রানের মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক (৩৫৫ ম্যাচে ১০০০৪ রান)। ৩৬তম ওভারে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে নেওয়ার সময় জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৯০ বলে ৯১, হাতে ৭ উইকেট। জয়াবর্ধনে তখন অপরাজিত ২৫ বলে ১৭ রানে। কিন্তু সাঈদ আজমলের করা পাওয়ার প্লে'র প্রথম বলেই তিনি স্টাম্পড হয়ে গেলে বিপদে পড়ে যায় লঙ্কানরা। এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের ৪০ বলে অপরাজিত ৩২ রানও জয় এনে দিতে পারেননি শ্রীলঙ্কাকে। ক্রিকইনফো

আজ চতুর্থ ওয়ানডে
পাকিস্তান : ২৫৭/৮, ৫০ ওভারে (হাফিজ ৮৩, ফারহাত ৭০, ইউনিস ৪২; মালিঙ্গা ২/৫৭, প্রসন্ন ২/৩৯)।
শ্রীলঙ্কা : ২৩৬/১০, ৪৮.৫ ওভারে (দিলশান ৬৪, সাঙ্গাকারা ৪৫, চন্ডিমল ৩১, জয়াবর্ধনে ১৭; আজমল ৩/৪২, গুল ৩/৪৮, আফ্রিদি ২/৪২)।
ফল : পাকিস্তান ২১ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ হাফিজ।

No comments

Powered by Blogger.