খুলনা অঞ্চলে পাটকল স্থাপনে বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ছে

খুলনা অঞ্চলে গত দুই বছরে বেসরকারি খাতে ১৪টি পাটকলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ১০০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি অর্ধলক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হবে। খুলনা বিনিয়োগ বোর্ড সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।সূত্র জানায়, গত দুই বছরে শুধু খুলনা ও যশোর জেলায় বেসরকারি ১৪টি পাটকলের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর কয়েকটিতে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা এবং কয়েকটিতে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে।


অনুমোদন পাওয়া পাটকলগুলোর মধ্যে এ এম এম জুট মিলস লিমিটেড, পাবনা জুট মিলস লিমিটেড, রেজা জুট মিলস লিমিটেড, শেখ জুট মিলস লিমিটেড, এফ আর জুট মিলস লিমিটেড ও ফুলতলা জুট মিলস লিমিটেডের বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার মধ্যে থাকায় এগুলো স্থাপনের অনুমতি বিনিয়োগ বোর্ড খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওহাব জুট মিলস লিমিটেড, মদিনা জুট মিলস লিমিটেড ১ ও ২, সালাম জুট মিলস লিমিটেড, আমজাদ জুট মিলস লিমিটেড এবং আফিল জুট মিলস লিমিটেডসহ আরো দুটি মিলের প্রতিটির বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ কোটি টাকার বেশি হওয়ায় এগুলো স্থাপনের অনুমতি বিনিয়োগ বোর্ড ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।
তবে ভবিষ্যতে ১০ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে পাটকল স্থাপনের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন লাগবে না উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১১ অক্টোবর বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী কমিটির ৫৩৮ ও ৫৩৯তম সভায় আঞ্চলিক অফিসগুলোয় উপসচিব পদমর্যাদার পরিচালক কর্মরত থাকলে তাঁরাই এসব প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খুলনায় এ পদ সৃষ্টি করে একজন উপসচিব পদমর্যাদার পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে বিনিয়োগ বোর্ড খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শেখর লাল সাহা জানান, দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় খুলনাঞ্চল পাটকল স্থাপনের উপযোগী। এখানে জমির মূল্য কম, সস্তায় শ্রমিক পাওয়া যায়। তা ছাড়া খুলনাঞ্চলে পাটের ফলনও বেশি।
তিনি বলেন, আরো কয়েকটি পাটকল অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে অনুমোদন পাওয়া পাটকলগুলো চালু হলে এখানে হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।
এ ব্যাপারে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব মো. আশরাফ-উজ-জামান বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য খুলনাঞ্চল একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। এখান থেকে পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল হচ্ছে। কিন্তু শুধু গ্যাস না থাকায় এ অঞ্চলে প্রয়োজনের তুলনায় বিনিয়োগ কম হচ্ছে। বাসস।

No comments

Powered by Blogger.