১০ হাজারের মাইলফলকে আজই জয়াবর্ধনে!

য়ানডেতে ১৮ হাজার রান হয়ে গেছে শচীন টেন্ডুলকারের। এই সৌধের দিকে তাকালে ১০ হাজার আর এমন কী? টেন্ডুলকারের তুলনা টেন্ডুলকারই, তবে ১০ হাজার এখনো গৌরবের মাইলফলক যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য। কেননা ৪০ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র আটজনই পেঁৗছাতে পেরেছেন এখানে। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ১০ হাজারের মাইলফলকে নাম লেখানোর সুযোগ রয়েছে মাহেলা


জয়াবর্ধনের। শ্রীলঙ্কার সাবেক এ অধিনায়ক ৩৫৪ ওয়ানডেতে করেছেন ৯ হাজার ৯৮৭ রান অর্থাৎ টেন্ডুলকার, পন্টিং, ক্যালিসদের কাতারে নাম লেখাতে গেলে করতে হবে মাত্র ১৩ রান।
এ নিয়ে অবশ্য খুব বেশি উচ্ছ্বসিত নন ৩৪ বছর বয়সী জয়াবর্ধনে। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোয় লেখা কলামে জানালেন সে কথাই, 'টেস্ট, ওয়ানডে দুই ফরম্যাটের ক্রিকেটেই ১০ হাজার রান করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম বছর তিনেক আগে। তবে এই মাইলফলকগুলো নিয়ে খুব বেশি ভাবিনি আমি।' ওয়ানডের মতো টেস্টেও ১০ হাজারের দোরগোড়ায় জয়াবর্ধনে। ১২৫ টেস্টে ৫১.৩০ গড়ে করেছেন ৯ হাজার ৯৫৪ রান, যা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে অবশ্য ৪৪৫ ম্যাচে ১৩ হাজার ৪৩০ রান করে জয়াবর্ধনে সামনে রয়েছেন সনাৎ জয়াসুরিয়া। তাহলে এবার কি জয়াসুরিয়াকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন জয়াবর্ধনে? এ নিয়ে তাড়াহুড়া নেই তাঁর, 'আগে ১০ হাজার হোক, তারপর না হয় আগামী ছয় মাসের নতুন লক্ষ্যটা ঠিক করব।'
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাসেনি জয়াবর্ধনের। ৬ ইনিংসে করেছিলেন ২৮, ৪, ৬, ৫, ৩৯ ও ২০। এরপর প্রথম ওয়ানডেতেও আউট হয়েছিলেন ২৪ করে। রান-খরাটা কেটেছে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। তাঁর ৫০ ও উপুল থারাঙ্গার ৭৭-এর ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কা করেছিল ২৩৫। জবাবে পাকিস্তান অলআউট হয় ২১০-এ। দুই দলের শেষ পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কা যেখানে করেছিল বিনা উইকেটে ৪৮, সেখানে পাকিস্তান ২৬ রান করতে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। ৪০ ওভারের মধ্যে পাওয়ার প্লে শেষ করার নতুন নিয়মের কারণে ওয়ানডেতে ২৫০ রানের স্কোরটাকেই নিরাপদ মনে হচ্ছে জয়াবর্ধনের, 'দুটি নতুন বল দুই প্রান্তে ব্যবহার হয় এখন, পাওয়ার প্লের বিন্যাসও হয়েছে নতুন করে। তাই নতুন বল আর পাওয়ার প্লে নিয়ে ভাবতে হবে আমাদের। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আমরা হয়তো ২০ রান কম করেছিলাম। তবে আমার মনে হয়, নতুন নিয়মে ২৩০-২৫০ রান অনেক ভালো স্কোর।'
৩ নম্বরে কুমার সাঙ্গাকারার পর এত দিন ৪ নম্বরে আসতেন জয়াবর্ধনে। এখন সেই জায়গাটা নিয়েছেন দিনেশ চণ্ডিমল আর জয়াবর্ধনে আসছেন পাঁচে। এটাকে দলের নতুন কৌশল হিসেবেই উল্লেখ করলেন জয়াবর্ধনে,' আমার ৫ নম্বরে নেমে আসাটা দলেরই প্রয়োজনে। সাঙ্গাকারা আর আমার মাঝে চণ্ডিমলকে পাঠানোর অর্থ যেন পরিস্থিতিটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি আমরা। চণ্ডিমলও যথেষ্ট প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান, আর এভাবেই সুযোগ দিতে হবে তরুণদের।' ক্রিকইনফো

No comments

Powered by Blogger.