নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ

চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ৩৮৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি।
আর ২০১০ সালের একই সময়ে এই রপ্তানি থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩১৮ কোটি ডলার।
চলতি বছরের শুরু থেকেই আমেরিকার বাজারে রপ্তানির যে ঊর্ধ্বগতি চলছিল, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে যে গতিতে রপ্তানি বাড়ছিল, তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। প্রথম আট মাসে যেখানে আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছিল, সেখানে নয় মাস শেষে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশে।
অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় বাড়লেও রপ্তানির প্রবৃদ্ধির ধারা সামান্য শ্লথ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, মার্চ মাসের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি প্রায় প্রতিমাসেই ছিল নিম্নমুখী। মার্চে যেখানে ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছিল, সেখানে জুলাই মাসে তা নেমে যায় ৪১ কোটি ৩১ লাখ ডলারে।
তবে আগস্ট মাসে রপ্তানি হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। ওই মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ কোটি ৩১ লাখ ডলার। কিন্তু সেই ধারা সেপ্টেম্বর মাসে আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। এই মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি থেকে আয় কমে দাঁড়ায় ৩৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলারে।
অন্যদিকে, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আমদানিও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত বছরের একই সময়ে যেখানে ৪০ কোটি ৩০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, সেখানে চলতি বছরের নয় মাসে আমদানি হয়েছে ৭০ কোটি ৫৮ লাখ ডলার।
এর ফলে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩১৬ কোটি পাঁচ লাখ ডলার। গত বছরের এই সময়ে উদ্বৃত্ত ছিল ২৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

No comments

Powered by Blogger.