আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর পাঁয়তারা by শংকর কুমার দে

 দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিকল্পিতভাবে অবনতি ঘটানোর পাঁয়তার চালানো হচ্ছে। গত দুই মাসে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে খুন, রাজাহানি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, নারী নির্যাতন, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি সন্ত্রাস, জঙ্গী তৎপরতা, রাজনৈতিক সহিংসতা, নৃশংস অপরাধের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে দলবাজি, তদ্বির, তোয়াজ, পদোন্নতি, প্রাইস পোস্টিং, আখের গোছানোর তালে ব্যসত্ম পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশ বাহিনীর মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি, জামায়াত_শিবিরের অনুসারী পুলিশ কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর জন্য উস্কানি দিচ্ছে। এ খবর সংশিস্নষ্ট সূত্রের।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গত জানুয়ারি মাস থেকে চলতি মার্চ মাস পর্যনত্ম দুই মাসে খুন হয়েছে ৬০৫ জন । প্রতিদিন দেশে গড়ে খুন হচ্ছে ১০টি। খুনের পেছনে রয়েছে নানা অপরাধের কাহিনী। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য রাজনৈতিক সহিংস ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যান্য যে কোন সময়ের তুলনায় ভাল আছে। রাজধানী ঢাকায় গত ফেব্রম্নয়ারি মাসে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এই কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সামসুল হক টুকু বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত_শিবির দেশের অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। চট্টগ্রামের বাঘাইছড়িতে পাহাড়ী-বাঙালীর মধ্যে সহিংস ঘটনার পর সরেজমিনে ঘটনা পরিদর্শন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম শহীদুল হক রাজধানীতে ছিনতাই বৃদ্ধির ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন, রাজধানীর অন্যান্য অপরাধের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সনত্মোষজনক। সীমানত্মের চোরাইপথে রাজধানীতে আগ্নেয়াস্ত্র আসার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। গত ফেব্রম্নয়ারি মাসে রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে মাসিক অপরাধ সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এই কথা বলেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে হঠাৎ করেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যত না অবনতি ঘটেছে তার চেয়েও ভয়াবহতা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করানোর চিত্র দেখা গেছে। ৰমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, হল দখলকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে শিৰাঙ্গনে। ছাত্রলীগের সহিংস ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয়েছে মেধাবী ছাত্র আবু বক্কর। বিরোধী দল বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অভ্যনত্মরীণ দলীয় কোন্দলের কারণে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনায় ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ বেশ কয়েক ছাত্রদল নেতাকর্মী গুরম্নতর আহত হয়েছে।
জামায়াত_শিবিরের ছাত্ররা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রগকেটে, হাতুড়ি, বাটাল দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে খুন করে লাশ ম্যানহোলে ফেলে দেয়ার ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোকে উস্কে দেয়।

No comments

Powered by Blogger.