পুষ্পিতা হাজির by মাসুদ রানা

‘কিমায় ভরা কলসি পুলি’ নাম শুনেই মনে পড়ে যায় আমাদের পিঠা-ঐতিহ্যের গল্প। এই পিঠা নিয়ে রাঁধুনি পিঠা পায়েস বইতে লিখেছেন আয়েশা সিদ্দিকা। শুধু পিঠা নয়, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি দেন হরেক রকম রান্নার রেসিপি।
শুধু কি তাই, তাঁর নাচের মুদ্রা দেখে মুগ্ধ হতে হয়! এ-ই শেষ নয়, তাঁর আঁকা ছবির দিক থেকে আবার চোখ ফেরানো যায় না! জামাকাপড় যা-ই পরেন, নিজেই এর ডিজাইন করেন। সময় পেলে কবিতাও লেখেন। তাঁর ডাকনাম পুষ্পিতা। তিনি প্রথম আলো রাজশাহী বন্ধুসভার সক্রিয় সদস্য।
আয়েশা সিদ্দিকার বাবা সাদেকুল ইসলাম ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। মা সাবিনা ইয়াসমিন গৃহিণী। বাড়ি রাজশাহী নগরেই। তাঁরা দুই বোন। আয়েশা ছোট। গত বছর তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন।
অনেক ছোটবেলায় মায়ের রান্না দেখেই তাঁর রান্নার শখ হয়েছিল। সেই থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রান্নার রেসিপি তৈরি করা এবং রান্না করে মানুষকে খাওয়ানোর নেশা তাঁকে পেয়ে বসে। কেউ খেয়ে প্রশংসা করলে তাঁর খুব ভালো লাগে। সেখান থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার উৎসাহ জাগে। তারপর একে একে চলে আসে পুরস্কার। ২০১০ সালে ‘সূর্য রাঁধুনির খোঁজে’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ, ২০১১ সালে ‘রাঁধুনি পিঠা পায়েস উৎসব’-এ চ্যাম্পিয়ন, ২০১২ সালে মালয়েশিয়ান পামঅয়েল সেরা শেফ’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ, একই বছর ‘পৌষ পার্বণ পিঠা’ মেলায় প্রথম স্থান এবং এ বছর জিটিভি আয়োজিত ‘আজকের অনন্যা’য় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। গত বছর নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রোডাক্ট আয়োজিত ‘ডিপ্লোমা মিষ্টির লড়াই’-এ তাঁর পাঠানো রেসিপি ‘চকলেট কোটেড ক্ষীর’ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের বইয়ে ছাপা হচ্ছে। তিনি চ্যানেল আইয়ে করেন ‘দেশ-বিদেশের রান্না’, চ্যানেল নাইনে ‘টনিস কিচেন’ ও মাছরাঙায় ‘সেহরি থেকে ইফতার’। এসব নিয়ে এখন পুষ্পিতার ব্যস্ত সময় কাটছে। তাঁর ভেতর আঁকছেন ছবি। ঘরোয়া নাচের অনুষ্ঠানগুলোয় যোগ দিচ্ছেন। সেই সঙ্গে বন্ধুসভার সব অনুষ্ঠানেই থাকছে তাঁর নিয়মিত হাজিরা।
 রাজশাহী বন্ধুসভা

No comments

Powered by Blogger.