ভেন্যু এম এ আজিজ- আশা এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের by প্রণব বল

শহরের মানুষের যেন কোনো কাজকর্ম নেই। সবাই ছুটছে। গন্তব্য এক। সব পথ যেন মিশে গেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। এত দর্শক! গেল শুক্রবারের দৃশ্য। দর্শক-উপস্থিতিতে ওইদিন সব দিনকে ছাপিয়ে যায়। বেলা যত গড়িয়েছে, তত স্টেডিয়ামের আশপাশে বেড়েছে ভেতরে ঢুকতে না পারা মানুষের সংখ্যা।
খুব একটা কম যায়নি গতকাল শনিবার শেষ দিনের উপস্থিতিও।
এত দর্শক দেখে আপ্লুত খোদ বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসানও। শুক্রবার প্রেসবক্সে এসে বলেই ফেললেন, ‘চট্টগ্রামের দল হারতে পারে। কিন্তু এখানকার মানুষ ক্রিকেটমুখী, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা না এলেও বিপিএল চট্টগ্রামে এত দর্শক পেয়েছে, এটা অসাধারণ। এটাকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে রাখার জন্য আমরা আইসিসির সঙ্গে কথা বলব।’
তবে সেই শুক্রবার ঘরের দর্শকের সামনে চট্টগ্রাম নিজ মাঠে প্রথম জয় পায়। আনন্দ আর দেখে কে! ফলে শনিবার আবারও ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের খেলা দেখতে পুনরায় ভরে যায় গ্যালারি। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর—কে ছিল না! হাজার হাজার চোখ, ক্রিকেটের জয়গান গেয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে তারা গর্জন তুলেছে বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের মতো। আর এই গর্জন প্রত্যাশা বাড়িয়েছে স্থানীয় আয়োজক চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) কর্মকর্তাদের। তাঁদের প্রত্যাশা আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়া। বিসিবির সভাপতি যতই বলুন বিকল্প ভেন্যুর কথা, সিজেকেএসের কর্মকর্তারা স্বপ্ন দেখছেন আসরটির অংশীদার হওয়ার। সিজেকেএসের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বললেন, ‘চট্টগ্রাম প্রমাণ করেছে এখানকার মানুষ খেলাপাগল। মাঠে এসে তারা ক্রিকেট দেখতে অভ্যস্ত। তাই আমরা প্রত্যাশা করব, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলা এই মাঠেও দেওয়া হোক।’
এখানে ছোটখাটো সংকট রয়েছে। কারণ, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম আইসিসির টেস্ট মর্যাদা পেলেও এই মাঠে অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। দিন বদলেছে, কিন্তু সেই অনুপাতে বড় হয়নি প্রেসবক্স। ড্রেসিংরুম উইকেট বরাবর নয়। আউটফিল্ডও শক্ত। রয়েছে আরও কিছু ছোটখাটো ঘাটতি। তবে আয়োজক হওয়ার আশ্বাস পেলে সবকিছু রাতারাতি বদলে ফেলতেও রাজি সিজেকেএস।

No comments

Powered by Blogger.