চীনে বিশুদ্ধ বায়ু কেনার হিড়িক

বায়ুদূষণ থেকে সৃষ্ট ধোঁয়াশায় ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে ছেয়ে আছে চীনের রাজধানী বেইজিংসহ বেশ কিছু এলাকা। কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে বেশ কিছু কলকারখানা বন্ধ রাখাসহ রাস্তায় যানবাহন কমানোর নির্দেশ দিয়েছে।
তবে জীবিকার প্রয়োজনে যারা প্রতিদিন বাইরে বের হচ্ছে, তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে কর্তৃপক্ষ সেই অর্থে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ সুযোগে এগিয়ে এসেছেন চীনের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী চেন গুয়াংবিয়াও। বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে তিনি বিশুদ্ধ বায়ুভর্তি ক্যান বিক্রি শুরু করছেন। বিক্রিও হচ্ছে দেদার। গত ১০ দিনে ৮০ লাখ ক্যান বিক্রি হয়েছে।
বেইজিং থেকে শুরু করে চীনের উপকূলীয় সিনজিয়াং প্রদেশেও বিশুদ্ধ বায়ুর ক্যান বিক্রি করছেন চেন। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, '২০ মিনিট বাইরে হাঁটাহাঁটি করার পর আমার গলা শুকিয়ে আসছিল এবং মাথা ঘুরছিল। দেশের প্রধান, সব নগরীর মেয়র এবং বড় কম্পানিগুলোকে একটা কথা বলতে চাই_মানুষের জীবন ও প্রতিবেশ বিপন্ন করে প্রবৃদ্ধির পেছনে ছোটা ঠিক হবে না।'
বায়ুভর্তি সবুজ ও কমলা রঙের ক্যানের ওপরে লেখা আছে 'ভালো মানুষ হও, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখো ও ভালো কাজ করো।' এ প্রসঙ্গে চেন বলেন, 'মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ কাজ করছি।' গত বুধবার এসব ক্যান বিনা মূল্যে বিতরণ করা হলেও এর দাম মূলত পাঁচ ইউয়ান। চীনের বায়ু দূষণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। বায়ু দূষণের ক্ষুদ্রতম কণার নাম পিএম ২ দশমিক ৫। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতি ২০ মাইক্রোগ্রামের (এক মিলিগ্রামের এক হাজার ভাগের এক ভাগ) বেশি থাকা উচিত নয়। কিন্তু গত ১২ জানুয়ারি বেইজিংয়ের বাতাসে পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রা ছিল ৭৫৫ মাইক্রোগ্রাম। সূত্র : টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.