আনারস জ্বর সর্দি ও কৃমিনাশক by ডা: মৌসুমী রিদওয়ান

আনারস পুষ্টিসমৃদ্ধ বর্ষাকালীন ফল হলেও এখন প্রায় সারা বছর পাওয়া যায়। আনারসে ব্রমেলিন নামক হজমকারক পদার্থ থাকে। এর রস গলাব্যথা এবং ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা উপশমে উপকারী। এটি অতিরিক্ত শ্লেষ্মা গলিয়ে দেয়।
মূত্রবর্ধক হিসেবে আনারসের রস কিডনির কার্যাবলী স্বাভাবিক রাখে। সর্দিজ্বর সারাতে আনারস ওষুধের মতো কাজ করে। খালি পেটে আনারস খাওয়া ঠিক না। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আনারস ক্ষতিকর।

আনারসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, বি ও সি। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে আনারস খেলে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ভিটামিন ‘এ’ এবং-২০০ গ্রাম আনারস খেলে ভিটামিন ‘সি’-এর অভাব পূরণ হয়। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম ও আয়রন আনারসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রয়েছে। খাদ্যোপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম জলডুবিজাত ও দেশীজাত আনারসে পুষ্টি থাকে যথাক্রমে জলীয় অংশ ৯২.৪ ও ৮৯.৩ গ্রাম, মোট খনিজ পদার্থ ০.২ ও ০.৩ গ্রাম, আমিষ ০.৯ ও ১ গ্রাম, শর্করা ৬.২ ও ৯.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ ও ১৭ গ্রাম, আয়রন ০.৯ ও ১.২ মি. গ্রা., ভিটামিন বি ১-০.১১ ও ০.১৭ মি. গ্রাম., ভিটামিন বি-২ ০.০৪ ও ০.০৫ মি. গ্রা., ভিটামিন সি ২১ ও ২৬ মি. গ্রা., ভিটামিন এ ৬১০০ ও ২১৩৩ আইইউ এবং খাদ্যশক্তি ৩০ ও ৪২ কিলোক্যালরি। তবে আনারসের জাত, উৎপাদনের স্থান ও জলবায়ুর ওপর এই পুষ্টিমানের কিছুটা তারতম্য হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.