ষড়যন্ত্র কত প্রকার- রিচার্ড. টি. মধু

দেখতে দেখতে দিনবদলের সরকারের ১৪ মাস পূর্ণ হয়েছে। মহাজোট তাদের নির্বাচনী এজেন্ডা আস্তে অস্তে পূরণের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার বিগত এক বছরের মধ্যে দেশে উন্নয়নের পাশাপাশি অনেক অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখিন হয়েছে।
কিন্তু দেখা গেছে, সরকার তাও সুন্দর ও সঠিকভাবে সেসব সমস্যার সমাধান করেছে। গত বছর ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিশেষ কালো অধ্যায়, সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা ছিল, যা আমাদের মতো দেশপ্রেমিকদের বার বার কাঁদায়, ভাবিয়ে তোলে। প্রথম ষড়যন্ত্র কিন্তু সরকার সফলভাবে মোকাবেলা করেছেন। যদিও এর পেছনে কাদের ইন্দন বা হাত ছিল বা কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল জনগণের কাছে তাদের মুখোস খুলে গেছে। বর্তমানে বিরোধী দলের সেটি ছিল প্রথম নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বাংলার মাটি থেকে এই ষড়যন্ত্র কোন দিনই দূর হবে না। কারণ বর্তমানে যারা বিরোধী দল তারা যখন ৰমতায় ছিল তখন ৰমতায় থেকে যা করেছে তা শুধু এদেশের জনগণের মধ্য সীমাবদ্ধ নয়-বিদেশেও তা বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এখানে লুকোচুরি করার কোন সুযোগ নেই।
দেশ-বিদেশের মানুষ জানে বিএনপি ৰমতায় থাকতে চারদলীয় জোট সরকারের কতিপয় মন্ত্রী ৰমতাবান এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পর্যন্ত অবৈধভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রধান থাকার সময় তার টাকার পাহাড় গড়েছে, চাকরি না করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে, অনেক ধরনের সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছে। জনগণ ও রাষ্ট্রের ৰতি ছাড়া ভাল কিছু আশা করা বোকামি। ষড়যন্ত্র করে যাদের দল গঠিত হয়েছে এই বাংলার বুকে তারা ত ভাল কিছু করতে চায় না এবং কেই ভাল কিছু করতে চাইলেও করতে দিতে চায় না বরং বিরোধিতা করে_এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল জেনারেল জিয়া যে দলের শুরম্নই ছিল মিথ্যা দিয়ে, যাদের ৰমতার উৎস ছিল মিথ্যা, যে দলের সদস্য যুদ্ধাপরাধী, তারা আবার যুদ্ধাপরাধীদের অপকর্মের ন্যায় বিচারের বিরোধিতা করে তাদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করা তাদের সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
কয়েকদিন আগে খোন্দকার দেলোয়ার পুত্র পবন যে কাজটি করেছে তা কি কোন সুনাগরিক করতে সাহস পেত। কারণ তার পেছনে লোক আছে, দল আছে, পেশিশক্তি আছে। যদিও তার অতীত ইতিহাস ভাল নয়_অর্থাৎ ৰমতায় তাদের দল থাকার সময় অনেক অপকর্ম করেছে এবং এখন ৰমতায় না থেকে তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। শুধু ষড়যন্ত্রের কৌশল পরিবর্তন করেছে। তাদের দলের লোকেরাই তাদের জীবনের জন্য হুমকি মধ্যখানে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী; বেগম খালেদা জিয়ার জন্য নিরাপত্তা জোরদার করতে আদেশ দিয়েছেন। এদেশে একটি প্রবাদ আছে 'ঘরের ইঁদুর, ঘরের বেড়া কাটলে, অন্যের করার কিছু থাকে না।' আমার মনে হয় বিএনপির অফিসে বা তার সামনে তাদের দলের লোক ছাড়া এবং কিছু হতে পারে জঙ্গিবাদ বা জামায়েতের লোক ছাড়া কেউ যায় না। কারণ যে দলে এত দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত লোক রয়েছে সেখানে ভাল লোক গিয়ে তাদের সুনাম নষ্ট করবে কেন। ৰমতায় থাকতে করবে চুরি, ৰমতার না থাকলে করবে ষড়যন্ত্র। আর এইভাবে তারা জনগণের ও রাষ্ট্রের বিরম্নদ্ধে কাজ করে। যে দলের ছোট থেকে বড় নেতা পর্যনত্ম যে কোন ব্যাপারে মিথ্যার আশ্রয় নেয়, তারা কিছু না যেনে, না বুঝে কোন কিছু যাই না করে কিছু হলেই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। কিন্তু দেখা গেছে, তাদের সময়ে তৈরি করা মিডিয়াই অতি উৎসাহী হয়ে তাদের কথা শোনে। এটিও একটি অন্যায়, অপরাধ। যারা বিরোধী দলে রয়েছে যারা রাজনীতি করে তারা যদি তাদের নিজের পায়ে কুড়াল মারে তাহলে অন্যকে দোষ দিয়ে কোন লাভ হবে না। কারণ মানুষ বোকা নয়। বর্তমানে বিরোধী দল সত্যিই তারা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছে আসলে তারা ৰমতা চায়, সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করতে দিতে চায় না, নিজেদের স্বার্থের দিকে তাদের নজর। পবন, তারেক আমাদের সামনে বার বার আসবে ভাল কিছু নিয়ে নয়। সুতরাং জনগণকে সেটি বুঝতে হবে। জোট সরকার ৰমতায় থাকার সময়ই তারা সরকারের বিভন্ন স্থানে এমনভাবে লোক বসিয়েছে যা বর্তমান সরকারের কল্পনা করতেই লাগবে আরও কিছু সময়। কিন্তু এই দুষ্টদের কোনভাবেই সরকারী দলের লোকেরা যেন কোন রকম সাহায্য, সহযোগিতা না করে।

No comments

Powered by Blogger.