শক্তিশালী বিমানবাহিনী গড়ে তোলা হবে॥ প্রধানমন্ত্রী- বার্ষিক মহড়া উপলক্ষে কুর্মিটোলায় বাহিনী সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দিন বদলের ধারায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়নত্মী ২০২১ সালের মধ্যে বর্তমান সরকার বিমানবাহিনীকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে একটি সুদৃঢ়, শক্তিশালী ও কার্যকর বিমানবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রী বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া ২০১০ উপল েঢাকা সেনানিবাসের বিএএফ ঘাঁটি কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনীর সকল সত্মরের সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণে বুধবার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শীঘ্রই বিমানবাহিনীর জন্য জঙ্গী বিমান, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম, হেলিকপ্টার, এয়ার ডিফেন্স রাডার ও আর্মামেন্ট সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। তিনি তাঁর ভাষণে বলেন, দেশের বিশাল সমুদ্রসীমায় অর্থনৈতিক কর্মকা-ের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন দুর্গম এলাকায় জনগণের কাছে ত্রাণসামগ্রী পেঁৗছে দেয়ার ল্যে জঙ্গী ও পরিবহন বিমানসমূহ পরিচালনার সুবিধার্থে কক্সবাজারে ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধানত্ম নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে বিমানবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪৬৭ জনে উন্নীত হয়েছে, যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় দ্বিগুণ। এছাড়া আরও ১০০ থেকে ১৫০ সদস্যের এক অথবা দু'টি বিএএফ কন্টিনজেন্ট জাতিসংঘ মিশনে প্রেরণের বর্তমান সরকারের পরিকল্পনার কথাও তিনি জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিএএফ ঘাঁটি কুর্মিটোলায় বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়ার মূল অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের জঙ্গী বিমান, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টারের আকর্ষণীয় উড্ডয়ন মহড়া প্রত্য করেন। প্রধানমন্ত্রী এই মহড়ায় বিমানবাহিনীর বৈমানিকদের পেশাগত নৈপুণ্য ও দতায় মুগ্ধ হন এবং সনত্মোষ প্রকাশ করেন।
'এক্সারসাইজ-থান্ডার' শীর্ষক উড্ডয়ন মহড়ায় বিমানবাহিনীর মিগ টুয়েন্টি নাইনসহ বিভিন্ন প্রকার জঙ্গী বিমান, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার অংশগ্রহণ করে। বিমানবাহিনীর জঙ্গী বিমান মহড়ায় আকাশযুদ্ধে আধুনিক যুদ্ধ বিমানের বিভিন্ন রণকৌশল প্রদর্শন করে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে রেপলিংয়ের মাধ্যমে সৈন্য অবতরণ করানো হয়, যা যুদ্ধেেত্র সেনা সংযোজনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া পরিবহন বিমান থেকে বিমানবাহিনী উদ্ভাবিত প্যারাসুটের মাধ্যমে রসদসামগ্রী আকাশ থেকে ভূমিতে নামানো হয়। এ পদ্ধতিটি দুর্গম এলাকায় জরম্নরী ত্রাণসামগ্রী পেঁৗছানোর জন্য বিশেষ উপযোগী। প্রধানমন্ত্রী কুর্মিটোলা টারমাকে আকাশ প্রতিরা সতর্ক কেন্দ্র থেকে শত্রম্ন বিমানকে প্রতিহত করার ল্যে দু'টি জঙ্গী বিমানের দ্রম্নত উড্ডয়নও প্রত্য করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী এয়ার কমান্ড অপারেশন সেন্টার ও এয়ার ডিফেন্স অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন। এখানে তাঁকে মহড়া সম্পর্কে সার্বিক ব্রিফ প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বিএএফ ঘাঁটি কুর্মিটোলায় পেঁৗছলে তাঁকে স্বাগত জানান বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শাহ্ মোঃ জিয়াউর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রতিরা সচিব খোন্দকার মোঃ আসাদুজ্জামান, প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও উর্ধতন বিএএফ অফিসারবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। _আইএসপিআর প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

No comments

Powered by Blogger.